রাজ্য
উম্পুন প্রলয়ের পরে: খেটে খাওয়া মানুষের পাশে বরানগরের একদল কিশোর

স্মিতা দাস
লকডাউনের মধ্যে কাজ হারানো মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিল বরানগরের পাঠবাড়ি এলাকার ক্লাব পাঠবাড়ি বয়েজ। রবিবার সকাল থেকে এলাকার প্রায় ২০০ দরিদ্র পরিবারের হাতে তুলে দিল আনাজপাতি, মুড়ি, দুধ, বিস্কুট, মশলাপাতি ইত্যাদি।
ক্লাবটি কিশোর তরুণদের একটি ছোট্টো সংগঠন। মাত্র এক বছর বয়স এই ক্লাবটির। তবুও এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই প্রচেষ্টা তাদের।
এই উদ্যোগে তাদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার কাউন্সিলার ও বরানগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান-সহ অনেকেই। পাঠবাড়ি এলাকা তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পলি কয়াল এই উদ্যোগের জন্য ক্লাব সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, এমন উদ্যোগের কথা মাথায় আসতেই সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নেয়। এমন ভাবে তরুণ প্রজন্ম মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে, এটি খুবই ভালো ব্যাপার। ভবিষ্যতেও এমন কাজ যেন তারা করে যায়।
ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়ও তরুণ প্রজন্মের এই প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগের জন্য সব রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও তাঁর বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে।

এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিন্দ্য চৌধুরী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব সভাপতি গৌর মালাকার।
গৌর মালাকার বলেন, করোনা ও উম্পুনে বিধ্বস্ত মানুষের দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ। বলেন, এত কম বয়সের হয়েও এই ভাবাবেগ সত্যিই প্রশংসার।
অনিন্দ্য চৌধুরী বলেন, মানুষ খুব বিপদে আছে। এই রকম উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি কোনো দানের ব্যাপার নয়, মানুষকে সহযোগিতা করা। এই কাজের মাধ্যমে মানুষের আশীর্বাদ পাবেন। সাধারণ মানুষের সুস্থতা প্রার্থনা করেন তিনি।
পাঠবাড়ি বয়েজের সম্পাদক বলেন, এই অনুষ্ঠানের একটি অংশে রয়েছে উম্পুনের ফলে ক্ষতি হওয়া গাছের ঘাটতি মেটাতে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানও। তা ছাড়া করোনাকালে উম্পুন পরবর্তী পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকা হারিয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর স্বার্থেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই দিন এই সমস্ত সামগ্রী হাতে পেয়ে বেশ খুশি মানুষেরা। ক্লাবটির দীর্ঘায়ু কামনা করেন তাঁরা।
ভারতে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমল, আশা জাগাচ্ছে সুস্থতা
রাজ্য
Bengal Corona Update: হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ, তার মধ্যেও সামান্য কমল সংক্রমণের হার
কলকাতায় আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে সামান্য একটা ইতিবাচক দিক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেটা হল সংক্রমণের হারের কিছুটা পতন। এর বাইরে অবশ্য সব কিছুই খারাপ। দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে ৮ হাজারের কাছাকাছি চলে গেল। তবে গতিপ্রাপ্ত হয়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও। মৃতের সংখ্যা বাড়লেও, মৃত্যুহার ক্রমশ কমছে রাজ্যে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৭১৩ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,৪২৬ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। ফলত এ দিন মৃত্যুহার ছিল ০.৪৪ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১০ হাজার ৫৪০ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,২৫৩ জন সক্রিয় রোগী বেড়েছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯১.৪৩ শতাংশ। সংক্রমণের এত বৃদ্ধির পরেও রাজ্যের সুস্থতার হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশিই রয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণের হার নামল ১৬ শতাংশে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৭১টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১৬.৪২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হারটি ১ শতাংশ কমেছে।
গত বছর জুলাইয়ে একটা সময়ে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। শুক্রবার সংক্রমণের হার সেই রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলেছিল। বর্তমান ঢেউয়ে দেখা যাচ্ছে অনেক রাজ্যেই সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশে গিয়ে থিতু হয়েছে। এমনকি পড়শি বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। তাই শনিবার সংক্রমণের হার কমলেও আগামী দিনে তা আরও বাড়তেই পারে।
রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হার বর্তমানে রয়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। শনিবার পর্যন্ত মোট ৯৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
বর্তমানে রাজ্যে কোভিড-শয্যার সংখ্যা ৭,৬৭৬। বর্তমানে ৩৯.৫৯ শতাংশ বেড ভরতি রয়েছে। তবে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা প্রায় নেই বললেই চলে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড করেই চলেছে। কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত ১,৯৯৮ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১,৬৯৩ জন। এই দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৮৩৭ এবং ৭৪৩ জন। কলকাতা ১০ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৮ জন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৭২। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১২ হাজার ৬৪২ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯ হাজার ৯৩৮ জন। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,২০১ এবং ২,৫৮৮ জনের।
রাজ্যের বাকি জেলার চিত্র
রাজ্যে বাকি ২১টি জেলায় সংক্রমণ কেমন ছিল, তার তালিকা দেওয়া হল নীচে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে এ দিন কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য দেওয়া হল ব্র্যাকেটে।
১) দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৪৯১)
২) হাওড়া (৪৩২)
৩) বীরভূম (৪০৬)
৪) মালদা (৩৪৪)
৫) হুগলি (৩২১)
৬) পশ্চিম বর্ধমান (৩১০)
৭) পূর্ব বর্ধমান (২৬৯)
৮) নদিয়া (২৬১)
৯) মুর্শিদাবাদ (২৫৭)
১০) পুরুলিয়া (২৪৭)
১১) পূর্ব মেদিনীপুর (১৬৫)
১২) দার্জিলিং (১৪১)
১৩) পশ্চিম মেদিনীপুর (৮৪)
১৪) উত্তর দিনাজপুর (৭৭)
১৫) জলপাইগুড়ি (৭৬)
১৬) বাঁকুড়া (৭০)
১৭) দক্ষিণ দিনাজপুর (৪৪)
১৮) কোচবিহার (৩৭)
১৯) আলিপুরদুয়ার (২৫)
২০) কালিম্পং (১৪)
২১) ঝাড়গ্রাম (৪)
দঃ ২৪ পরগনা
গুজরাত রেল পুলিশ ক্যানিং থেকে উদ্ধার করল ৮ কেজি চোরাই সোনার গয়না
প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের আট কেজি সোনার গয়না উদ্ধার করল গুজরাত রেল পুলিশ।


উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: বারুইপুর জেলা পুলিশের ক্যানিং থানার সহযোগিতায় গুজরাত রেল পুলিশ উদ্ধার করল আট কেজি চোরাই সোনার গয়না। এই ঘটনায় ধৃত দুই।
ঘটনায় প্রকাশ,বারুইপুর পুলিশ জেলার আওতাধীন ক্যানিং থানার পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় আট কেজি সোনার গয়না-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত রেল পুলিশের স্পেশাল টিম।
ধৃতরা হল অশোক সরকার ও বিজন হালদার। ধৃতদের বাড়ি ক্যানিংয়ের বাহিরবেনা ও থুমকাঠি এলাকায়। উদ্ধার হওয়া সোনার গয়নার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ এপ্রিল গুজরাতে একটি চলন্ত ট্রেন থেকে ওই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না চুরি হয়। চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করে গুজরাত রেল পুলিশ। তারা সূত্র মারফত খবর পায় ধৃত ওই দু’জনের। তাদের বাড়ির ঠিকানাও জোগাড় করে গুজরাত রেল পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তের অগ্রগতি হতেই গুজরাত রেল পুলিশ বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীন ক্যানিং থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই মতো শুক্রবার রাতেই গুজরাত রেল পুলিশ রাজ্যে আসে। শুক্রবার রাতেই ক্যানিং থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের আট কেজি সোনার গয়না। ঘটনায় দুই অভিযুক্ত বিজন হালদার ও অশোক সরকারকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়তে পারেন: ‘ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ’ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্য
Bengal Polls 2021: ভোটের শেষ লগ্নে অসুস্থ মদন মিত্র
অক্সিজেন নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন মদন। শ্বাসকষ্টও অনেকটাই কমেছে।


খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের শেষ লগ্নে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)।
ঘটনায় প্রকাশ, সন্ধ্যেয় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন। এমনিতেই তাঁর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে দলীয় কার্যালয়েই অক্সিজেন দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে আসেন দু’জন চিকিৎসক। আচমকা কেন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, সেটাই দেখেন চিকিৎসকেরা।
এ দিন সকাল সকাল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন মদন। আড়িয়াদহের একটি বুথে ঢোকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সারাটা দিন গোটা এলাকা কার্যত চষে বেড়ান।
বিকেলে গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভ করেন। তিনি বলেন, “এখন সাঙ্গ হল খেলা, একেবারে খেলা শেষ, এখন মনের আনন্দে হোলি খেলব”। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এক হাত নিয়ে বলেন, “তুমি মাইনে পাও। আমি পয়সা দিয়ে ক্যান্ডিডেট হয়েছি। আমি গণতন্ত্রের আসল পাহারাদার”। সন্ধ্যায় কামারহাটির তৃণমূল কার্যালয়ে ফিরলে অসুস্থ বোধ করেন।
অক্সিজেন নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন মদন। শ্বাসকষ্টও অনেকটাই কমেছে। আপাতত তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার প্রয়োজন না থাকলেও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণেই রাখা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: বুক পকেট সার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর! হুঙ্কার মদন মিত্রের
-
রাজ্য12 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ16 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী