আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে আবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু দিনের নীরবতার পরে বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে দেশের ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, “এমন কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে হবে যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।”
গত ৯ অগস্ট, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবার মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক, তবে তার পরে তার নীরবতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল নানা জল্পনা। এই জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার অভিষেক তার পোস্টে দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনাগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গত ১০ দিনে দেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতি দিন ৯০টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট লেখা হয়েছে। অথচ এত কিছুর পরও এই অপরাধের কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না।”
আরজি করের আন্দোলনকারীদের দাবিতে বদলি ৪ আধিকারিক, সরানো হল সন্দীপ ঘোষকে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি সমস্ত রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, “সমস্ত রাজ্যগুলির সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা। এর থেকে কম কিছু হলে তা প্রতীকী হবে এবং তাতে কোনো কার্যকরী পরিবর্তন আসবে না।”
আরজি করের ঘটনার পর, অভিষেক তার পোস্টে জানিয়েছিলেন যে তিনি কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তার এই দীর্ঘ নীরবতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে তার নিষ্পৃহতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পোস্টে অভিষেক ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নে কেন্দ্র উপর চাপ সৃষ্টি করার পক্ষে মতপ্রকাশ করলেন।