শ্রয়ণ সেন
হুংকার দিচ্ছে বঙ্গোপসাগর। আর কিছু দিনের মধ্যেই সেখানে জন্ম নেবে একটি ঘূর্ণিঝড়। আর তার প্রভাবে ঝড়ের থেকেও বেশি জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। ফলে দুর্বল বাঁধ মেরামতির ওপরে নজর দেওয়া উচিত প্রশাসনের।
এখনও পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত নয়, তবে বেশ কিছু মডেল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আগামী ২৫-২৬ মে নাগাদ এই ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করবে। অতিক্রম করার সময় সে যথেষ্ট শক্তিশালী থাকবে। এ দিকে ২৩ মে পূর্ণিমা হওয়ার ফলে ওই সময়ে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভূমি অতিক্রম করার সময় আর জোয়ারের সময় যদি মিলে যায়, সে ক্ষেত্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এবং তার ফলে উপকূল অঞ্চলে বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আয়লায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্বল নদী বাঁধ অতিক্রম করে প্রচুর নোনা জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। এর পর ২০২১ সালে ইয়াসের সময়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
ফলে, এবার প্রশাসন যদি একটু আগে থেকে সতর্ক হয়, সে ক্ষেত্রে বড়ো বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল।