আলিপুরদুয়ার
এই প্রথম আলিপুরদুয়ার পুরভোটে জোট বাম-কংগ্রেসের
আলিপুরদুয়ার পুরভোটে এই প্রথম জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস।

ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের শুরুর দিকেই জোট সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছিল। সেই সম্ভাবনার রেশ ধরেই আসন্ন আলিপুরদুয়ার পুরভোটে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতাও পাকা হয়ে গেল।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আলিপুরদুয়ার পুরসভার (Alipurduar Municipality) নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। মেয়াদ শেষের তিন-চার মাসের মধ্যেই এই নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস লকডাউন-সহ একাধিক কারণে তা থমকে যায়। তবে ফের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আসন সমঝোতা
আলিপুরদুয়ার পুরভোটে এই প্রথম জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। সোমবার আলিপুরদুয়ার টাউনের বাবুপাড়ায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জোট।
জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থির হয়েছে, ২০ আসনের পুরসভায় সিপিএম (CPIM) লড়ূবে সাতটিতে, আরএসপি (RSP) পাঁচটিতে, সিপিআই (CPI) একটিতে এবং বাকি সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী।
সিপিএম– ওয়ার্ড নম্বর ১,৩,৪,১৩,১৬,১৭ এবং ১৮।
আরএসপি-ওয়ার্ড নম্বর ৫,৬,৭,১০ এবং ১১।
সিপিআই– ওয়ার্ড নম্বর ৮।
কংগ্রেস– ওয়ার্ড নম্বর ২,৯,১২,১৪,১৫,১৯ এবং ২০।
বোর্ড গঠনের প্রত্যাশা
আসন সমঝোতার পর কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেন, “এর আগেই আমরা স্থির করেছিলাম, এ বারের পুরভোটে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে। এখন আসন সমঝোতাও হয়ে গেল। আমরা আশাবাদী, আগামী পুরবোর্ড বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটই গঠন করবে”।
অন্য দিকে সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করেন, “আলিপুরদুয়ারের সাধারণ মানুষ আশা করেন, তাঁদের চাহিদা পূরণ করতে পারে একমাত্র আমাদের এই জোট। এটা শুধুমাত্র আসন সমঝোতা নয়, তার থেকেও বেশি কিছু”।
শেষ ভোটের পর…
শেষবার আলিপুরদুয়ার পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে ২০১৩ সালে। যে নির্বাচনে লড়াই ছিল মূলত ত্রিমুখী। বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মোট ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা আটটিতে এবং কংগ্রেস ও তৃণমূল ৬টি করে ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলররা অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে আলিপুরদুয়ারে পুরবোর্ড গঠন করে বামেরা। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই কংগ্রেস কাউন্সিলররা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে এই পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে যায়।
আলিপুরদুয়ার
বন সহায়কপদের নিয়োগে কারসাজি! তৃণমূলত্যাগী নেতার কেলেঙ্কারির হদিশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিরাট একটি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। নাম না করে কাকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ারের কর্মিসভায় নাম না করেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? এ দিনের বিস্ফোরক মন্তব্যে বিরাট একটি কেলেঙ্কারিরও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
কারও নাম না করেই মমতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে ছিল, এখন বিজেপির কাছে চলে গিয়েছে। বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করেছে, এই অভিযোগ আমার কাছে অনেকেই করেছেন। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে”।
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “ওই ছেলেটা, যে পাহাড়ে গিয়ে অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে। তার আগে তাকে প্রশ্ন করুন, বন সহায়কপদে নিয়োগ নিয়ে কী করেছে। চুরি করে বিজেপির পকেটে চলে গেছে। বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। কালো চোর সেখানে যায়, আর বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে বেরিয়ে আ্সে। এটাই বিজেপির কাজ। আবার বলে, তৃণমূলকে হারাও। তৃণমূলকে কোনো দিনই হারাতে পারবে না বিজেপি”।
এ দিনের সভা থেকে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দলত্যাগীদের উদ্দেশেও দিলেন কড়া বার্তা।
বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”। দেখুন নীচের ভিডিয়োয়-
আরও পড়তে পারেন: আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
“আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় যোগ দিয়ে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এ দিন তিনি বলেন, “যাঁরা লোভী, ভোগী তাঁরাই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যাঁরা যাবেন, চলে যান, তাঁদের জন্য রাস্তা খোলা”।
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। তৃণমূলের টিকিট টাকা দিয়ে বিক্রি হয় না। তৃণমূলের টিকিট পেতে লবি করতে হয় না। তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। বিজেপি লোভ-ভোগে ভরে গেছে”।
রাজ্যের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, পুরোটাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হয়েছে দাবি করে এ দিনের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “সারা দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কেরোসিন থেকে ভরতুকি তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলে সেস বসিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট করেছে, সেটা জনবিরোধী। আমাদের বাজেট আসছে শুক্রবার। বিজেপি গরিবের কথা ভাবে না। ওরা ধনীলোকেদের দল। ভোট এলে গরিবের কথা বলে, আর ভোটের পরেই পালিয়ে যায়”।
দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “যত চোর-গুণ্ডাদের নিচ্ছে বিজেপি। ওটা যেন ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজদের নিচ্ছে আর ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে কালোকে সাদা করে দিচ্ছে। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে। আর বলছে বিজেপি জিতবে। বিজেপি কোনো দিন জিতবে না। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, দার্জিলিং থেকে পাহাড়, সব জায়গাতেই তৃণমূল জিতবে। সারা বাংলায় তৃণমূলই জিতবে”।
তিনি আরও বলেন, “লকডাউনের সময় অভিবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সবরকমের ব্যবস্থা করেছে। অভিবাসীদের পৌঁছাতে কিছু করেনি বিজেপি। আর এখন তৃণমূল ভাঙিয়ে নেতা নিতে চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে”।
বাজেটে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “ওরা বলছে, বাংলায় ৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করে দেবে। মোদীজি দেখে যান, বাংলায় ৮৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করবে বলছে, বরং আসুন আপনাকে আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে মেপে নিন, কতটাতে ৬৫০ কিমি পথ হয়”।
আরও পড়তে পারেন: বিরোধীদের দাবি মেনে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় রাজি হল কেন্দ্র, তার পরেই উত্তাল রাজ্যসভা.
আলিপুরদুয়ার
৪৫০ জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ, নবদম্পতিদের হাতে উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সাড়ে চারশো জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবদম্পতিদের হাতে উপহার তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৯০০ জন যুবক-যুবতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তাঁদের সবাইকে আমার অভিনন্দন।আজ যাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাঁরা আমাদের গর্ব”।

গণবিবাহের অনুষ্ঠানের পর আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টার নথি-সহ এ দিনেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, “কোনো কাজ করে না ওরা। কোনো কাজ নেই, তাই শুধুমাত্র কুৎসা আর অপপ্রচার করে বেড়ায়। ওরা বলেছিল, সাতটা চা বাগান খুলবে, একটাও খুলতে পারেনি। আমরা ন’টা চা বাগান খুলেছি”।
পাশাপাশি নিজের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আগের বার বাজেটে কথা দিয়েছিলাম। এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করল রাজ্য সরকার। শ্রমিকরা পাকাপাকি ভাবে জমির পাট্টা পেলেন। তাঁরা পাকাপাকি ভাবে এই পাট্টা পেলেন।”।
আরও পড়তে পারেন: দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে দু’বছরে বিভিন্ন মন্ত্রকে ১.৪ লক্ষের বেশি মানুষকে চাকরি মোদী সরকারের
-
রাজ্য3 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা