আলিপুরদুয়ার
ফসল বাঁচাতে ফের নৃশংস হাতিনিধন, কেরলের পর এ বার আলিপুরদুয়ারে

আলিপুরদুয়ার: নৃশংস ভাবে পূর্ণবয়স্ক একটি গর্ভবতী হাতিকে হত্যা করে কিছু দিন আগেই খবরের শিরোনামে এসেছিল কেরল (Kerala)। এ বার একই রকম ঘটনা ঘটল এ রাজ্যের আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। বন দফতরের বক্তব্য, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।
জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের কাঞ্চিবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এই হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। যাঁর খেতে এই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাতিটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে কোনো ভাবেই এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে চাননি স্থানীয়রা।
আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের সভাপতি অম্লান দত্ত বলেন, “হাতির মৃতদেহটা যে ভাবে পড়ে ছিল, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। বিদ্যুতের শক বা বিষ প্রয়োগ করে ওকে মারা হয়েছে।”
কিছু দিন আগেই বক্সার একটি গ্রামে একই রকম ভাবে পূর্ণবয়স্ক আরও একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল।
বক্সার আশেপাশে গ্রামগুলিতে মানুষ বনাম হাতির লড়াই লেগেই থাকে। হাতিদের আটকানোর জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখে নিজেদের চাষের জমিকে রক্ষা করা হয়। ধৃত ব্যক্তিও ফসল বাঁচানোর জন্য তার চাষের জমিতে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রাখে। সেখানেই তড়িদাহত হয়ে মারা যায় এই হাতিটি।
আলিপুরদুয়ার
বন সহায়কপদের নিয়োগে কারসাজি! তৃণমূলত্যাগী নেতার কেলেঙ্কারির হদিশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিরাট একটি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। নাম না করে কাকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ারের কর্মিসভায় নাম না করেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? এ দিনের বিস্ফোরক মন্তব্যে বিরাট একটি কেলেঙ্কারিরও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
কারও নাম না করেই মমতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে ছিল, এখন বিজেপির কাছে চলে গিয়েছে। বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করেছে, এই অভিযোগ আমার কাছে অনেকেই করেছেন। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে”।
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “ওই ছেলেটা, যে পাহাড়ে গিয়ে অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে। তার আগে তাকে প্রশ্ন করুন, বন সহায়কপদে নিয়োগ নিয়ে কী করেছে। চুরি করে বিজেপির পকেটে চলে গেছে। বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। কালো চোর সেখানে যায়, আর বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে বেরিয়ে আ্সে। এটাই বিজেপির কাজ। আবার বলে, তৃণমূলকে হারাও। তৃণমূলকে কোনো দিনই হারাতে পারবে না বিজেপি”।
এ দিনের সভা থেকে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দলত্যাগীদের উদ্দেশেও দিলেন কড়া বার্তা।
বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”। দেখুন নীচের ভিডিয়োয়-
আরও পড়তে পারেন: আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
“আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় যোগ দিয়ে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এ দিন তিনি বলেন, “যাঁরা লোভী, ভোগী তাঁরাই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যাঁরা যাবেন, চলে যান, তাঁদের জন্য রাস্তা খোলা”।
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। তৃণমূলের টিকিট টাকা দিয়ে বিক্রি হয় না। তৃণমূলের টিকিট পেতে লবি করতে হয় না। তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। বিজেপি লোভ-ভোগে ভরে গেছে”।
রাজ্যের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, পুরোটাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হয়েছে দাবি করে এ দিনের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “সারা দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কেরোসিন থেকে ভরতুকি তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলে সেস বসিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট করেছে, সেটা জনবিরোধী। আমাদের বাজেট আসছে শুক্রবার। বিজেপি গরিবের কথা ভাবে না। ওরা ধনীলোকেদের দল। ভোট এলে গরিবের কথা বলে, আর ভোটের পরেই পালিয়ে যায়”।
দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “যত চোর-গুণ্ডাদের নিচ্ছে বিজেপি। ওটা যেন ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজদের নিচ্ছে আর ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে কালোকে সাদা করে দিচ্ছে। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে। আর বলছে বিজেপি জিতবে। বিজেপি কোনো দিন জিতবে না। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, দার্জিলিং থেকে পাহাড়, সব জায়গাতেই তৃণমূল জিতবে। সারা বাংলায় তৃণমূলই জিতবে”।
তিনি আরও বলেন, “লকডাউনের সময় অভিবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সবরকমের ব্যবস্থা করেছে। অভিবাসীদের পৌঁছাতে কিছু করেনি বিজেপি। আর এখন তৃণমূল ভাঙিয়ে নেতা নিতে চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে”।
বাজেটে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “ওরা বলছে, বাংলায় ৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করে দেবে। মোদীজি দেখে যান, বাংলায় ৮৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করবে বলছে, বরং আসুন আপনাকে আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে মেপে নিন, কতটাতে ৬৫০ কিমি পথ হয়”।
আরও পড়তে পারেন: বিরোধীদের দাবি মেনে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় রাজি হল কেন্দ্র, তার পরেই উত্তাল রাজ্যসভা.
আলিপুরদুয়ার
৪৫০ জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ, নবদম্পতিদের হাতে উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সাড়ে চারশো জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবদম্পতিদের হাতে উপহার তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৯০০ জন যুবক-যুবতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তাঁদের সবাইকে আমার অভিনন্দন।আজ যাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাঁরা আমাদের গর্ব”।

গণবিবাহের অনুষ্ঠানের পর আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টার নথি-সহ এ দিনেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, “কোনো কাজ করে না ওরা। কোনো কাজ নেই, তাই শুধুমাত্র কুৎসা আর অপপ্রচার করে বেড়ায়। ওরা বলেছিল, সাতটা চা বাগান খুলবে, একটাও খুলতে পারেনি। আমরা ন’টা চা বাগান খুলেছি”।
পাশাপাশি নিজের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আগের বার বাজেটে কথা দিয়েছিলাম। এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করল রাজ্য সরকার। শ্রমিকরা পাকাপাকি ভাবে জমির পাট্টা পেলেন। তাঁরা পাকাপাকি ভাবে এই পাট্টা পেলেন।”।
আরও পড়তে পারেন: দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে দু’বছরে বিভিন্ন মন্ত্রকে ১.৪ লক্ষের বেশি মানুষকে চাকরি মোদী সরকারের
-
রাজ্য2 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক3 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
রাজ্য2 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য1 day ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য