আলিপুরদুয়ার
আরও দুই গন্ডারের মৃত্যু, অ্যানথ্র্যাক্সের ভয়ে কাঁটা জলদাপাড়া

মাদারিহাট (আলিপুরদুয়ার): আরও দু’টি গন্ডারের মৃত্যু হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। এর জেরে গত ৭২ ঘণ্টায় মৃত গন্ডারের সংখ্যা দাঁড়াল ৫-এ। ফলে অ্যানথ্র্যাক্সের আশঙ্কা ক্রমে জোরালো হচ্ছে।
যদিও গন্ডারের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রাজ্যের বন দফতর নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। তারা এখনও মেডিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষাতেই রয়েছে। তবে পরিবেশবিদদের অনেকেই মনে করছেন, অ্যানথ্র্যাক্সই মৃত্যুর কারণ।
জানা গিয়েছে, মৃত ৫টি পরিণত বয়স্কের মহিলা গন্ডার। এর মধ্যে চারটির মৃত্যু হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার সিসামারা বিটে। অপর একটি গন্ডারের দেহ উদ্ধার হয় বুধবার রাতে, মালাঙ্গি বিট থেকে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে প্রথম দু’টি গন্ডারের মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে বন দফতর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে জারি হয়ে যায় চরম সতর্কতা।
আরও পড়ুন কী হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে! উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে ফের গণধর্ষণ
কিন্তু চরম সতর্কতা জারির পরেও আরও তিনটি গন্ডার মারা গিয়েছে। আরও কোনো গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা দেখতে হাতির পিঠে চড়ে জাতীয় উদ্যানে নজর রাখছেন বনকর্মীরা।
পাঁচ গন্ডারেরই রক্তের নমুনা জরুরি ভিত্তিতে বেলগাছিয়ার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। লক্ষণ দেখে অ্যানথ্রাক্স বলে আশঙ্কা করা হলেও, মৃত্যুর আসল কারণ পরীক্ষার পরেই জানতে পারবে বন বিভাগ।
অ্যানথ্র্যাক্স যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তা হলে জলদাপাড়া উদ্যানের কাছে তা ভয়াবহ হতে পারে। শুধু গন্ডারই নয়, এই জঙ্গলে হাতির সংখ্যাও প্রচুর। চিন্তা তাদের নিয়েও। এমনকি রোগগ্রস্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এলে বনকর্মীদের শরীরেও এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
আলিপুরদুয়ার
একই দিনে সভা বিমল গুরুং, বিনয় তামাংয়ের, দু’জনেরই আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি
পাহাড়ের রাজনীতিতে ফের নতুন করে নাটক।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: তিন বছর ধরে আত্মগোপন করে থাকার পর ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছেন বিমল গুরুং। এখনও পাহাড়ে উঠতে না পারলেও সমতলে একাধিক সভা করছেন তিনি। অন্য দিকে বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তাঁর চরম বিরোধী বিনয় তামাংও।
রবিবার উত্তরবঙ্গের সমতলের দুই প্রান্তে দু’টি সভা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা। এবং সরাসরি, দু’জনেরই টার্গেট কিন্তু কেন্দ্রের শাসক বিজেপি। সব মিলিয়ে পাহাড়ের রাজনীতি ফের নতুন করে নাটক তৈরি করছে।
ইন্দো-ভুটান, ইন্দো-নেপাল চুক্তি বাতিলের দাবি বিনয়ের
শিলিগুড়ির কাছে সুকনায় সভা করেন বিনয়। সেখানে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেও দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়। তাঁর হুঁশিয়ারি, “আপনাদের সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সমাধান করুন। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিনয়ের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বার পাহাড়ের গোর্খাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও কেন্দ্র সেটা শোনেনি। ইন্দো-নেপাল এবং ইন্দো-ভুটান চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার দাবিও তোলেন বিনয়। তাঁর কথায়, “ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠাব।”
মমতা কথা রাখতে জানেন, বললেন গুরুং
অন্য দিকে, বীরপাড়ার সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার বার্তা দেন বিমল গুরুং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানান।
সভায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকেই বিঁধেছেন তিনি। বলেন, “পঞ্চায়েতে বিজেপিকে জেতালাম, বিধানসভায় জেতালাম, লোকসভায় জেতালাম। কিন্তু আমাদের কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বলেছিলেন আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কিছুই করেননি।”
মমতা স্তুতি করে গুরুং বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে রাখতে জানেন। তাই তাঁর হাত ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাব।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আন্দোলন আরও তীব্র, অনশন শুরু কৃষকদের
আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ারে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে ‘হামলা’, প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল
রণক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার, ভাঙল দু’টি গাড়ির কাচ, প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল।

আলিপুরদুয়ার: বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল বৃহস্পতিবার। অভিযোগের তির গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দিকে।
ঘটনায় প্রকাশ, এ দিন জয়গাঁয় জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। পথিমধ্যে দলসিংপাড়াতে উত্তেজনা তৈরি হয়। দিলীপ ঘোষের মিছিলে বাধা দেয পুলিশ। অনুমতি না থাকায় বাইক মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। যা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুলিশের। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের নিষেধ তোয়াক্কা না করেই বাইর মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান।
জয়গাঁর মঙ্গলাবাড়িতে পৌঁছালে দিলীপকে উদ্দেশ্য করে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গো ব্যাক স্লোগান তোলা হয়। কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে মোর্চার বিরুদ্ধে।
এর পরই উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করে। কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। কনভয়ে থাকা দু’টি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। বিজেপির অভিযোগ, মোর্চার সমর্থকরা পাথর ছুড়েছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। দিলীপবাবুরা পাহাড়ে আগুন জ্বালানোর জন্য কিছু মানুষকে উৎসাহ দিয়েছিল। বিজেপির নিজের লোকেরাই এখন জবাব চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই ঘটনার সঙ্গে মোর্চার কোনো সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার কাছে খবর নেই”।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চলছে। বিহার ভোটের পর্যালোচনা করতে গিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন”।
দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির কার্যালয় থেকে মিছিলের আয়োজন করে দলের যুব মোর্চা। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, প্রত্যেকটা জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।
আরও পড়তে পারেন: কালীপুজোয় রাজবেশে সেজে ওঠেন নৈহাটির বড়োমা
অনুষ্ঠান
হাসিমারার কিছু প্রকৃত গুণী শিল্পীর নিবেদন ‘আগমনী আলোর অপরাজিতা’

স্মিতা দাস
‘হাসিমারা সাংস্কৃতিক মঞ্চে’র পক্ষ থেকে প্রথম প্রয়াস, সুরে ছন্দে বাচিকে মহালয়ার বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করা। অনুষ্ঠানটি নামকরণ করা হয়েছে ‘আগমনী আলোর অপরাজিতা’। ভুটান পাহাড়ের কোলে অবস্থিত হাসিমারা নামক একটি ছোট্ট জনপদের অখ্যাত অথচ প্রকৃত গুণী কিছু শিল্পীকে নিয়ে এই প্রচেষ্টা। অনুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিচালনায় সঞ্জয় চৌধুরী।
মহাভারত অনুসারে, মৃত্যুর পর, স্বর্গলোকে পিতৃপুরুষকে জল না দানের অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন কর্ণ। এই কাজে তাঁকে পক্ষকাল সময় প্রদান করা হয়েছিল। কর্ণের জলপ্রদানের উদ্দেশ্যে মর্ত্যে আসার এই পক্ষকালকেই পিতৃপক্ষ বলে। আর সেই পক্ষকালের পঞ্চদশতম দিন হল মহৎ আলোয় বা মহালয়। মহালয় থেকেই মহালয়া। মনে করা হয়, স্বর্গগত পিতৃপুরুষরা এই দিন মর্ত্যে ফেরেন জল লাভের আশায়। নদীর ঘাটে ঘাটে এই দিন তাই চলে তর্পণের পালা।
দিনটির পৌরাণিক গুরুত্ব যাই হোক না কেন, আপামর বাঙালি বছরভর যে শারদোৎসবের প্রতীক্ষায় থাকে তার সূচনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এইদিন। আসলে মহালয়ার পরের দিনই আসে দেবীপক্ষ – শারদোৎসবের পক্ষ। এই মহালয়ার ভোরে আকাশবাণী থেকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গম্ভীর কণ্ঠের চণ্ডীপাঠ মনে আলোড়ন তোলে, যা শোনার জন্য গোটা একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। এ যেন এক ম্যাজিকাল মোমেন্ট।
চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন করতে এক দিকে চলে দেবীদুর্গার স্তোত্র বন্দনা, অপর দিকে ভোরের আকাশে অনুরণিত হয় আলোর বেণুর চিরকালীন সুর। তারই সঙ্গে হাসিমারা পাহাড়ের আঞ্চলিক প্রকৃত কৃতী অখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে দেবীবন্দনার আরও এক রূপ আগমনী আলোয় অপরাজিতা।
আরও – মহালয়া উপলক্ষ্যে অনলাইনে ‘বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গন’-এর নিবেদন ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’
-
বিদেশ3 days ago
১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার
-
শিল্প-বাণিজ্য3 days ago
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম!
-
বিনোদন3 days ago
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অভিযাত্রিক’, সিনেমার ‘মাস্টার’দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
-
দেশ24 hours ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র