রাজ্য
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা প্রয়াত
লালা বলেছিলেন, কলকাতা শহরে কাজের দিনে অফিস টাইমে রাস্তা আটকে মিছিল বন্ধ করা উচিত। এই নিয়ে তৎকালীন সিপিএম নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয় বিচারপতি লালাকে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনামুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেলা হল না তাঁর। কোভিড-পরবর্তী শারীরিক সমস্যার জেরে প্রয়াত হলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা (Amitabh Lala)।
সোমবার গভীর রাতে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
করোনামুক্ত হয়েও তাঁর ইনফেকশন ধরা পড়ে। শরীরে প্লাজমার ঘাটতি দেখা দেয়। তাঁর পরিবার প্লাজমার আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই তিনি মারা গেলেন।
১৯৭৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে অমিতাভবাবুর। পরবর্তী কালে সেখানেই বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০০৫-এ এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি হন তিনি। ২০১২ সালে অবসর নেওয়া আগে সেখানে বেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেন।
বিচারপতি হিসেবে এ রাজ্যে থাকাকালীন তিনিই প্রথম রাস্তা আটকে মিছিল-মিটিং করার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটা ২০০৪ সাল। এক দিন হাইকোর্টে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি প্রবল যানজটে আটকায়।
আদালতে পৌঁছোতে তাঁর অনেক দেরি হয়। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা শহরে কাজের দিনে অফিস টাইমে রাস্তা আটকে মিছিল বন্ধ করা উচিত। এই নিয়ে তৎকালীন সিপিএম নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয় বিচারপতি লালাকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘প্রিয়ঙ্কা-সালামাতকে আমরা হিন্দু-মুসলিম হিসেবে দেখি না,” ঐতিহাসিক রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
রাজ্য
‘সংযুক্ত মোর্চা’ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, সতীর্থ নেতাকে তোপ অধীররঞ্জন চৌধুরীর
নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা খোঁজার জন্য কোনো কোনো কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে সময় নষ্ট করছেন, তোপ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।

খবর অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। গত সোমবার জোটের সমালোচনায় সরব হন আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এর পরই একের পর এক টুইটে সতীর্থকে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
আনন্দ শর্মার সমালোচনা করার একদিন পরে রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান এবং লোকসভার সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী এই জোটের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “কংগ্রেস এবং বামেরা বিজেপিকে পরাস্ত করতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে”।
কী বলেছিলেন আনন্দ শর্মা?
গত রবিবার কলকাতার ব্রিগেড মঞ্চে আইএসএফের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের উপস্থিতিকে “বেদনাদায়ক এবং লজ্জাজনক” উল্লেখ করে আনন্দ শর্মা টুইটারে লিখেছিলেন, “আইএসএফের মতো শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা নেহরু-গাঁধীর ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবনার সঙ্গে মেলে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনও বাছ-বিচার করতে পারে না”।
কী বললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী?
এর পাল্টা দিতে একাধিক টুইট করেন অধীর। তিনি লিখেছেন, “আনন্দ শর্মাজি, আপনি সত্যটা জানুন। সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছে যার মধ্যে কংগ্রেস একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনমূলক রাজনীতি এবং স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কংগ্রেস নিজের চাহিদা মতো আসনগুলির সম্পূর্ণ অংশ পেয়েছে। বামফ্রন্ট তার অংশ থেকে নতুন গঠিত ভারতীয় আইএসএফকে আসন দিচ্ছে। সিপিএম-নেতৃত্বাধীন ফ্রন্টের সিদ্ধান্তকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলার জন্য আপনার এই মন্তব্য শুধুমাত্র বিজেপির মেরুকরণ এজেন্ডারই প্রচার করছে”।
শর্মার উদ্দেশে অধীর বলেছেন, দলকে শক্তিশালী করা দরকার। তাঁদের যে বৃক্ষ লালনপালন করেছে, তাকে ক্ষুণ্ণ করার কোনো মানে হয় না।
অধীর বলেছেন, “এক দল বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে সময় নষ্ট করছেন। তাঁদের কর্তব্য দলকে শক্তিশালী করা এবং যে বৃক্ষ তাঁদের লালনপালন করেছে, তার প্রতি কর্তব্য পালন করা”।
অধীরের পাশে জিতিন প্রসাদ
দলীয় নেতৃত্বের বাগ্যুদ্ধে অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে এআইসিসির পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ। তিনি বলেন, “জোটের সিদ্ধান্ত দল ও কর্মীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই নেওয়া হয়। যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, সেখানে কংগ্রেসের সম্ভাবনা জোরদার করার জন্য সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার এখন সময় এসেছে”।
রাজনৈতিক মহলের যুক্তি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আনন্দের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সম্ভবত সেই প্রসঙ্গ টেনেই তাঁকে খোঁচা দিতে চাইলেন!
আরও পড়তে পারেন: ৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত
দঃ ২৪ পরগনা
বালি দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যে রাজ্য সরকারের এক গুচ্ছ প্রকল্প, আগে দেখেছেন?
স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাসাগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলছে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে এরই মাঝে ফুটে উঠল রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ভাস্কর্য-রূপ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য পেতে গঙ্গাসাগরে ইতিমধ্যে যজ্ঞ করেছেন সাগরের বিধায়ক। আর এ বার গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

শিল্পী দেবতোষ দাস এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় যাতে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন, সোমবার তাই সকাল ৬টা থেকে বালি দিয়ে এই কাজ শুরু করি এবং তা শেষ করি দুপুর ২টোয়”।
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এক হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন শিল্পীকে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১২৫ জন ব্রাহ্মণ ও ২৫ জন বৈষ্ণব নিয়ে যজ্ঞ হয় সাগরে। মা মাটি মানুষের সরকারের মঙ্গল কামনায় এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীপদে নির্বাচিত করার লক্ষ্যেই ওই যজ্ঞ বলে জানান বিধায়ক।
আরও পড়তে পারেন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে সাগরে মহাযজ্ঞ করলেন বিধায়ক
রাজ্য
নচিকেতা-দিলীপ ঘোষ সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়, সব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শিল্পী
নিজেকে ‘প্রাইভেট কমিউনিস্ট’ হিসেবেও পরিচয় দিয়েছেন নচিকেতা।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিজেপিশাসিত গুজরাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর একটি গান লিখেছিলেন তিনি। সেখানে কয়েকটি শব্দ ছিল ‘তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনও গুজরাত হয়ে যায়নি।’ সেই নচিকেতাকেই যখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা গেল, স্বাভাবিক ভাবেই নানা রকম জল্পনা তৈরি হয়ে গেল। যদিও সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন নচিকেতা।
বাংলা আধুনিক গানে ১৯৯০ উত্তরকালে সুমনের পর পরই যে বর্ণময় চরিত্রের নাম আসে, তিনি নচিকেতা চক্রবর্তী। দিলীপের সঙ্গে নচিকেতার এক ফ্রেমে ছবিই এখন ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বাম আমলে বামের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নচিকেতা, এমনই বলেন অনেকে। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বাম বিরোধী বিদ্বজ্জনদের কর্মসূচিতে তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরও নচিকেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাছের লোক’ বলেই পরিচিত ছিলেন। সেই নচিকেতাকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখে কৌতূহল উপচে পড়েছে নেট মাধ্যমে।
যদিও নচিকেতা সাফ জানিয়েছেন, তিনি নন, দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সেখানে অনেকেই ছিলেন। হঠাৎ দেখি দিলীপ ঘোষ আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। তিনি আমার গান পছন্দ করেন। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু তাতে কী এল-গেল। আমি তো অসভ্য নই। শিষ্টাচার দেখিয়েছি।”
এই প্রসঙ্গে নিজেকে ‘প্রাইভেট কমিউনিস্ট’ হিসেবে পরিচয়ও দিয়েছেন নচিকেতা। তিনি বলেন, “উনি আমার গান ভালবাসেন সেই সূত্রেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’’
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
রাজ্য2 days ago
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ