রাজ্য
রাজ্যের ৯৭ বিধায়ক কোটিপতি, ধনীর তালিকায় প্রথম তিন শাসক দলের
কোন দলে কত জন কোটিপতি বিধায়ক রয়েছেন, দেখে নিন এক নজরে…


খবর অনলাইন ডেস্ক: শাসক-বিরোধী মিলিয়ে রাজ্যের ৯৭ জন বিধায়ক কোটিপতি। পাশাপাশি উচ্চ সম্পদশালী বিধায়কদের তালিকায় প্রথম তিন স্থানেই রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়ক। নাগরিক নজরদার সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
দলগত ভাবে বিধায়কদের গড় সম্পদের তালিকায় সমীক্ষকরা জানিয়েছেন কোন দলে কত জন কোটিপতি বিধায়ক রয়েছেন। বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ২০৫ জনের মধ্যে ৭৮, জাতীয় কংগ্রেসের ৩৯ জনের মধ্যে ১৩, সিপিআই(এম)-এর ২৪ জনের মধ্যে ২, বিজেপির ৬ জনের মধ্যে ২, এক নির্দল, আরএসপির ৩ বিধায়কের মধ্যে ১ জন বিধায়ক কোটিপতি। সেই তালিকা নীচে দেখে নিন।

একই ভাবে উচ্চ সম্পদশালী বিধায়কদের তালিকায় প্রথম তিন স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের সমীর চক্রবর্তী, জাকির হোসেন এবং জাভেদ আহমেদ খান। সেই তালিকা নীচে দেখে নিন।

আবার কম সম্পদের অধিকারী বিধায়কের তালিকায় প্রথম তিন স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে সিপিএমের সেখ ইব্রাহিম আলি, তৃণমূলের পুণ্ডারিকাক্ষ সাহা এবং সিপিএমের অজিত রায়। সেই তালিকা নীচে দেখে নিন।

ওই সমীক্ষায় বর্তমান বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিবরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা-সহ অন্যান্য বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠন জানিয়েছে, রাজ্যের ২৮২ জন বিধায়কের নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আরও দেখতে পারেন এখানে: https://fb.watch/3-5h4n9kwT/
রাজ্য
Bengal Polls 2021: ভোটের দিনক্ষণ পালটাচ্ছে না, প্রচারে ‘নৈশ কার্ফু’ জারি নির্বাচন কমিশনের
শুক্রবার কমিশনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত কমাতে কিছুটা পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। প্রচারে ‘নৈশ কার্ফু’ জারি করল তারা। অর্থাৎ, যে যে জায়গায় ভোট বাকি রয়েছে সেখানে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী সভা বা সমাবেশ করা যাবে না। একই সঙ্গে, বাকি তিন দফার ক্ষেত্রেও ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এই সিদ্ধান্ত এমন একটা দিনে ঘোষণা করল কমিশন যে দিনও রাজ্যে করোনাবিধি উপেক্ষা করে যথারীতি রোড শো হয়েছে, জনসভাও হয়েছে। এবং সেই সব রোড শো ও জনসভায় জনসমাগমও হয়েছে প্রচুর। কিন্তু শেষ তিন দফা ভোটকে এক দফায় করার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাতে ‘না’ করে দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যে কোভিড সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে না তা লক্ষ করেছে কমিশন। কমিশন বলেছে, সমস্ত প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মাস্ক পরতেই হবে। সভার সংগঠকদের খেয়াল রাখতে হবে সবাই যেন মাস্ক পরেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন।
ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার যে স্বাভাবিক বিধি রয়েছে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে শনিবার পঞ্চম দফার ভোটের জন্য। আগামীকাল শনিবার যে সব জায়গায় ভোট নেওয়া হচ্ছে সে সব জায়গায় ৭২ ঘণ্টা আগেই প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নিয়ম শেষ তিন দফা ভোটের জন্যও জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার একটা অন্যতম কারণ যে নির্বাচনী রোড শো, জনসভা ইত্যাদি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও প্রচারে জমায়েত কমানো যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই ব্যাপারে শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারের সময় যাতে কোভিড গাইডলাইন মেনে চলা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে চলার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আদালতের এই নির্দেশের পরেই কমিশনের তরফ থেকে শুক্রবার সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। তৃণমূল, বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চার বিভিন্ন শরিক-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: Bengal Corona Update: প্রতি একশো টেস্টে পজিটিভ হচ্ছেন ১৭ জন, কলকাতায় আক্রান্ত ১৮৪৪
রাজ্য
Bengal Corona Update: প্রতি একশো টেস্টে পজিটিভ হচ্ছেন ১৭ জন, কলকাতায় আক্রান্ত ১৮৪৪
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,৮১৮ জন।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে সামান্য ইতিবাচক কিছু যদি থাকে সেটা হল সংক্রমণের হারের সামান্য বৃদ্ধি। গত কয়েকদিন ধরে এই হারটা যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, এ দিন তেমনটা হয়নি। আর বাকি পুরোটাই নেতিবাচক। টেস্ট কমলেও নতুন সংক্রমণ বেড়েছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদে কিছু জেলার পরিস্থিতি ভয়ংকর। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি বাড়লেও সে ভাবে গতিপ্রাপ্ত হয়নি। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মারাত্মক বাড়ছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৯১০ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৯৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,৮১৮ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ২৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। ফলত এ দিন মৃত্যুহার ছিল ০.৩৭ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১০ হাজার ৫০৬ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪১ হাজার ৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,০৬৬ জন সক্রিয় রোগী বেড়েছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯১.৯৯ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫৩টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১৭.২০ শতাংশ। গত বছর জুলাইয়ে একটা সময়ে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। শুক্রবার সংক্রমণের হার সেই রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলল। বর্তমান ঢেউয়ে দেখা যাচ্ছে অনেক রাজ্যেই সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশে গিয়ে থিতু হয়েছে। এমনকি পড়শি বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। রাজ্যের পরিস্থিতি সেই রকম দিকেই যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হার বর্তমানে রয়েছে ৬.৬৩ শতাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৯৭ লক্ষ ১৫ হাজার ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
কিছুটা নিশ্চিন্তের ব্যাপার হল সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে, সেই তুলনায় শয্যা সে ভাবে ভরতি হচ্ছে না। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড-শয্যার সংখ্যা ৭,৪২৮। বর্তমানে ৩৬.৫১ শতাংশ বেড ভরতি রয়েছে। যে পরিমাণে কোভিডরোগী রাজ্যে বাড়ছে, সেই তুলনায় শয্যা বেশি ভরতি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই একমাত্র আশার আলো।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড করেই চলেছে। কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত ১,৮৪৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১,৫৯২ জন। এই দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬৭৯ এবং ৫৯৩ জন। কলকাতা ৯ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৭ জন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০২, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৩৩। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৫ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯ হাজার ৫০ জন। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১৯১ এবং ২,৭৮০ জনের।
রাজ্যের বাকি জেলার চিত্র
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণচিত্র দেখে মনে হচ্ছে কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি কলকাতার থেকেও খারাপ। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের জেলাগুলিতে বেশি পরিমাণে টেস্ট হয় না। সব থেকে বেশি টেস্ট কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণাতেই হয়। কিন্তু বেশি টেস্ট না হওয়া সত্ত্বেও ওই কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের যা তথ্য সামনে এসেছে, তা রীতিমতো ভয়ের।
রাজ্যে বাকি ২১টি জেলায় সংক্রমণ কেমন ছিল, তার তালিকা দেওয়া হল নীচে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে এ দিন কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য দেওয়া হল ব্র্যাকেটে।
১) হাওড়া (৪২০)
২) দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৪০২)
৩) বীরভূম (৩৭৪)
৪) পশ্চিম বর্ধমান (৩৫৯)
৫) হুগলি (২৯৪)
৬) মালদা (২৭৬)
৭) নদিয়া (২২৭)
৮) মুর্শিদাবাদ (২০৩)
৯) পুরুলিয়া (১৫৭)
১০) পূর্ব বর্ধমান (১৩৬)
১১) বাঁকুড়া (১২০)
১২) দার্জিলিং (১২৬)
১৩) পূর্ব মেদিনীপুর (৯১)
১৪) জলপাইগুড়ি (৮৪)
১৫) পশ্চিম মেদিনীপুর (৬১)
১৬) উত্তর দিনাজপুর (৫৮)
১৭) কোচবিহার (৪৪)
১৮) দক্ষিণ দিনাজপুর (২৫)
১৯) কালিম্পং (৯)
২০) আলিপুরদুয়ার (৪)
২১) ঝাড়গ্রাম (৪)
কোচবিহার
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাইল এপিডিআর, দোষীদের শাস্তি দাবি
নিহতদের পরিবারবর্গ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে এপিডিআর।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি তথা এপিডিআর (APDR)। সেই সঙ্গে এই গুলিচালনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারবর্গ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে তারা। শুক্রবার এপিডিআরের এক প্রেস বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় এবং কয়েক জন আহত হন। অভিযোগ, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথ আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের গুলিতে চার গ্রামবাসী মারা যান। আর ২৬৫ নং বুথ পাঠানতলীতে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণের।
আমতলী ও পাঠানতলীর ঘটনা নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের জন্য এপিডিআরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ওই দুই জায়গায় যাওয়া হয় বলে ওই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এপিডিআর-এর সামনে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা তারা প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে।
আমতলীর ঘটনা
এপিডিআরকে গ্রামবাসীরা বলেছেন, সে দিন বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ১৪ বছর বয়সি জাহিদুল হককে সিআইএসএফ বাহিনী নির্মম ভাবে মারধর করে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী সাময়িক ভাবে বিক্ষুব্ধ হলেও তারা কখনোই সেই সময় ১২৬ নং বুথ চত্বরে প্রবেশ করেনি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে কোনো জমায়েতও করেনি।
গ্রামবাসীরা বলেছেন, ৩০০-৩৫০ জন মহিলা ১২৬ নং বুথে জমায়েত করে তাদের ঘিরে ধরে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে দাবি করেছে, তা আদৌ ঘটেনি। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিল বলে যে কথা বলছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। গ্রামবাসীদের দাবি, সে দিন কোনো রকম প্ররোচনা ছাড়াই সিআইএসএফ গুলি চালিয়েছিল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নির্বাচনের জন্য আগের দিন থেকে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ বাইরে থেকে আসা সিআইএসএফ জওয়ানরা এই গুলি চালায়। গুলি চালানোর আগে কোনো রকম ঘোষণা, লাঠি চালানো, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করা, রবার বুলেট ছোড়ার মতো কোনো উপযুক্ত পদ্ধতিগত সতর্কীকরণ করা হয়নি।
গুলি চালানোর প্রশাসনিক পদ্ধতিগত কোনো রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি বলে এপিডিআরের প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ভোটের লাইনে হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায় মিলিয়ে প্রায় ৭০-৭৫ জন ভোটার দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সিআইএসএফ-এর গুলিতে কেবলমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার জন কী ভাবে মারা গেল, সে নিয়ে এপিডিআরের প্রেস বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এপিডিআরের প্রতিনিধিদের কাছে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, প্রথম বর্ষের এক কলেজপড়ুয়াকে মাটিতে ফেলে পায়ে চেপে বুকে গুলি চালানো হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাইরে থেকে আসা সিআইএসএফ জওয়ানরা নিহত চার জনকে ওখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাজ্য পুলিশ বা ওই বুথে আগে থেকে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী সাহায্য না করায় গ্রামের দুই যুবক টোটোতে করে তাদের দেহ মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে রাজ্য পুলিশ তাদের দু’জনকে মাথাভাঙা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখে।
এপিডিআর বলেছে, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও গ্রামবাসীদের কথা অনুযায়ী ওই গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। বিদ্যালয়ের সরস্বতীপুজোয় সকলে একসঙ্গে যোগ দেয়। গ্রামে কোনো রকম সাম্প্রদায়িক অশান্তি নেই।
পাঠানতলীর ঘটনা
এপিডিআরের সহ-সম্পাদক আলতাফ আমেদের জারি করা ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঠানতলীতে ২৬৫ নং বুথে ভোট চলাকালীন আনন্দ বর্মন নামে যে তরুণের মৃত্যু হয়, তিনি দলীয় হিংসার বলি। আনন্দ ছাড়াও সে দিন বেশ কয়েক জন আহত হন। এই ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে একটি রাজনৈতিক দল পাঠানতলী এলাকায় সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে এপিডিআরের অভিযোগ।
শীতলকুচির ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে এপিডিআর যে তথ্য পেয়েছে, তার ভিত্তিতে তারা পুরো ঘটনার সার্বিক বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে। তাদের আরও দাবি, যে সব জওয়ান গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
নিহতদের পরিবারবর্গকে ন্যূনতম ২০ লক্ষ টাকা ও আহতদের পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে এপিডিআর।
-
রাজ্য2 days ago
স্বাগত ১৪২৮, জীর্ণ, পুরাতন সব ভেসে যাক, শুভ হোক নববর্ষ
-
কলকাতা2 days ago
মাস্ক থাকলেও কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে শারীরিক দুরত্ব চুলোয়, গা ঘেষাঘেঁষি করে হল ভক্ত সমাগম
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণের মধ্যে কী ভাবে ভোট, শুক্রবার জরুরি সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন
-
কোচবিহার2 days ago
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির গুলিচালনার ভিডিও প্রকাশ্যে, সত্য সামনে এল, দাবি তৃণমূলের