ইন্দ্রাণী সেন বোস, বাঁকুড়া: দু’দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওলাইচণ্ডী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার আকুই গ্রামে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বহুবিধ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে মায়ের পূজার্চনা।
উল্লেখ্য, ইন্দাসের আকুই পশ্চিমপাড়ার ওলাইচণ্ডী মা ‘হাটতলামা’ নামেই পরিচিত। আকুই গ্রাম থেকে ৪ কিমি দূরে বর্ধমান জেলার বোঁয়াইচণ্ডীতে রয়েছে বোঁয়াইচণ্ডী মায়ের মন্দির। স্থানীয় মানুষজন বিশ্বাস করে, ‘হাটতলামা’ বোঁয়াইমায়ের বোন।
ঠিক কবে থেকে আকুই পশ্চিমপাড়ায় ‘হাটতলামা’-এর পুজোর প্রচলন হল তার ইতিহাস পাওয়া যায় না। এলাকার প্রবীণদেরও পুজো শুরুর ইতিহাস অজানা।

এক সময়ে গ্রামবাংলা উজাড় হয়ে যেত কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া মহামারিতে। আকুই গ্রামও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেই মহামারি ঠেকাতেই যে এখানে ‘হাটতলামা’-এর পুজো শুরু হয়েছিল, সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।
সেই প্রাচীন সময়ের মতোই গত দু’টি বছর ধরে করোনা অতিমারিতে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। দেশবিশেষে করোনার অভিঘাতের হয়তো তারতম্য আছে, কিন্তু সমগ্র বিশ্বই এই ভাইরাসের আক্রমণে জেরবার। সেই করোনা থেকে সবাইকে রক্ষা করার জন্য ভক্তরা ‘হাটতলামা’-এর কাছে প্রার্থনা করেন।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী পুজো হয় মঙ্গলবার ও ভোগ বুধবার। তার ঠিক তিন আগে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে পশ্চিমপাড়ার মানুষের কাছে মায়ের আগমনবার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পর কেউ আর পাড়ার বাইরে যেতে পারেন না, বা গেলেও পুজোর দিন ফিরে আসতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রমাপ্রসাদ জানালেন, মায়ের পুজো দু’দিনের। প্রথম দিন পুজো হয়, দ্বিতীয় দিনে হয় অন্নকূট। এ বার করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে নিয়মরক্ষার পুজো হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে পাড়ার তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: Religious Places in Bengal: বারুইপুরের শিবানীপীঠ
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।