
বাঁকুড়া: টালির চাল আর টিন দিয়ে ঘেরা ঘরের এক দিকে শতচ্ছিন্ন প্লাস্টিক পর্দার আবরণ। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মিলের জল। বাঁশের কঞ্চি দেওয়া চালায় গাদাগাদি করে ছাগল, গোরু আর মুরগির বাসস্থান। ভৈরবতলা এলাকায় গাদাগাদি করে ঘিঞ্জি পরিবেশে ওদের বাড়ি। ভৈরবতলা বাঁকুড়া আর বর্ধমান জেলার সীমানাবর্তী এলাকা।
সকালে ঘুম থেকে চোখ খোলার পর থেকে শুতে যাওয়া পর্যন্ত ওরা লড়াই করে জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার জন্য। ওরা ‘প্রয়াস’-এর পড়ুয়া। সুরজ, সৌমেন, মলয়, অরণ্য, মোহিত, পারমিতা আর রণজিৎ – এই সব দাদাদিদির কাছে সপ্তাহে দু’ দিন পড়তে বসে ওরা। আর ওরা সবাই ‘প্রয়াস’-এর সদস্য। পড়া ছাড়াও ওরা সবাই ‘প্রয়াস’-এর দাদাদিদিদের কাছে নাচ, গান আর আঁকাও শেখে।
উল্লেখ, ‘প্রয়াস’ হল ছাত্রছাত্রীদের একটি সংগঠন যারা ওই প্রান্তিক শিশুগুলোকে পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল শিক্ষার পাঠ দেয়।
এ বার ‘প্রয়াস’-এর পড়ুয়াদের প্রাপ্তি আবার অন্য রকম। মহালয়ায় নতুন জামার গন্ধে মম করছে ‘প্রয়াস’-এর পাঠশালা। সম্প্রতি ‘প্রয়াস’-এর পঞ্চাশ জন প্রান্তিক পড়ুয়ার হাতে পুজোর উপহার দিলেন ইন্দাসের বিডিও মানসী ভদ্র চক্রবর্তী। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পোশাক ওদের হাতে তুলে দেওয়া হল।

নতুন পোশাক পেয়ে বেজায় খুশি ফুলমতি, শ্রীকান্ত, ফান্টুশ আর রুপশারা।
আরও পড়ুন: ‘তারক মেহতা’য় ফিরছেন দিশা ভাকানি
বিডিও মানসী ভদ্র চক্রবর্তীর কথায়, “পুজো মানেই আনন্দ আর নতুন জামার গন্ধ। যখন আমরা আমাদের এই আনন্দের ভাগ অন্যদের সঙ্গে, বিশেষ করে ছোটোদের সঙ্গে ভাগ করে নিই তখন তার মাত্রা বহু গুণ বেড়ে যায়। ওদের খুব ভালোবাসি। তাই সব সময়ই ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।”