রাজ্য
টিকাকরণে এক সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রাজ্য, প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী!

খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার কোভিড পরিস্থিতি এবং টিকাকরণ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, টিকাকরণে এক সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রাজ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “ভ্যাকসিনটি পাওয়া মাত্রই সবার জন্য দ্রুত এবং সর্বজনীন টিকাকরণের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় এবং অন্যান্য সমস্ত অংশীদার সংস্থার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত”।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যথাযথ ভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে”।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেন, রাজ্যে সুস্থতার হার সন্তোষজনক। অন্যদিকে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও ধারাবাহিক ভাবে কমছে।
পূর্ব পরিকল্পনা মতোই এ দিন বাঁকুড়া থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জিএসটি বাবদ রাজ্যের বকেয়ার বিষয়টিও এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন মমতা।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘ এবং কুয়াশার যুগলবন্দিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমন তাপমাত্রায় অনেকেই ভাবতে পারেন শীত বুঝি বিদায় নিতে চলেছে। তবে সেটা একদমই ভুল ভাবনা, কারণ শীত ফিরবে দ্রুত। ডিসেম্বরের শেষে যে জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল, ফেব্রুয়ারির শুরুতে সে রকম শীত পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সোমবার কোথায় কেমন পারদ
সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে দু’ ডিগ্রি বেশি। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির ঘরে থাকার ফলে সারা দিনই শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে কলকাতায়।
শহরের উপকণ্ঠের ব্যারাকপুরে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ এবং দমদমে ১৫.৩ ডিগ্রি। যদিও, উপকূলবর্তী দিঘায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে (১৯.৭ ডিগ্রি)। দক্ষিণবঙ্গে এ দিন শীতলতম স্থান ছিল বহরমপুর (৯ ডিগ্রি)।
পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রায় ব্যাপক হেরফের দেখা গিয়েছে। পানাগড়ে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ১১.৯ ডিগ্রি, কিন্তু পুরুলিয়ায় ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি। আবার আসানসোল আর শান্তিনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ এবং ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিকে উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট একটু বেড়েছে। শিলিগুড়িতে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা অন্যান্য দিনের তুলনায় কমে ৩.৪ ডিগ্রি হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও জব্বর ঠান্ডা রয়েছে।
আরও দাপট নিয়ে ফিরবে শীত
কয়েক দিন আগে উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিয়েছিল। যখনই এমন ঝঞ্ঝা হানা দেয়, তার পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গেও পড়ে। স্তব্ধ হয়ে যায় উত্তুরে হাওয়া। বাড়তে শুরু করে পারদ। অন্য দিকে, উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ভরা বাতাস দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে ঢুকতে শুরু করে।
উত্তুরে বাতাস এবং দখিনা বাতাসের সংমিশ্রণের ফলে কুয়াশার সৃষ্টি হয়। রবিবার সকালের পর সোমবার সকালেও যেটা কলকাতা-তথা গোটা দক্ষিণবঙ্গেই দেখা যাচ্ছে।
তবে এই পরিস্থিতি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার সকালেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। তার পরেই ফের কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। বুধবার থেকে কলকাতার পারদ নামতে পারে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। তবে ১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রির ঘরেও নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় ১১-১২ ডিগ্রি মানে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তা থাকতে পারে ৬-৭ ডিগ্রিতে। অর্থাৎ জাঁকিয়ে ঠান্ডার মধ্যে দিয়েই যে বছরের দ্বিতীয় মাসে পদার্পণ করতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ, তা প্রকার নিশ্চিত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আদি-নব্য দ্বন্দ্ব কাটাতে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা
রাজ্য
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের চারশোর নীচে, তবে হেরফের সংক্রমণের হারে
আগের দিনের থেকে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১.৫৪ শতাংশ।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ১৮ জানুয়ারির পর রবিবার ফের রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা চারশোর নীচে। উল্লেখযোগ্য ফারাকটা হল, আগের দিন যেখানে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৯ হাজারের কম, এ দিন তা হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি।
রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৯ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১০৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৫৪ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ১১৫।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬ হাজার ৩২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.১১ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারে কিছুটা বৃদ্ধি ধরা পড়েছে। এ দিন রাজ্যে ২৫ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৫৪ শতাংশ।
এ দিকে রাজ্যে সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭৮ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৮৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৭.২৫ শতাংশ।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
উত্তর ২৪ পরগণায় সংক্রমণ একশোর ওপরে থাকলেও কলকাতায় তা একশোর নীচেই রয়েছে। দুই জেলাতেই নতুন করে আক্রান্ত এবং সুস্থতার সংখ্যায় খুব বেশি পার্থক্য নেই এ দিন।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১৩০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ৮৯ আর উত্তর ২৪ পরগণায় ১২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। কলকাতা দু’ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় তিনজন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
২০ অথবা তার বেশি
এ দিন রাজ্যের তিন জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ অথবা তার বেশি। এগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া (আক্রান্ত-২১, সুস্থ-৩১, মৃত-১), হুগলি (আক্রান্ত-২০, সুস্থ-৩৪, মৃত-নেই) এবং দার্জিলিং (আক্রান্ত-২০, সুস্থ-১৬, মৃত-নেই)।
আরও পড়তে পারেন: কেরল, কর্নাটকে ফের চিন্তা বাড়াল করোনার দৈনিক সংক্রমণ
রাজ্য
আদি-নব্য দ্বন্দ্ব কাটাতে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা
সামনে বিধানসভা ভোট, অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের না নিলে বিজেপি বাড়বে কী করে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভিন দল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের নিয়ে কখনও-সখনও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে বিজেপির পুরনো নেতাদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে স্পষ্ট বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার তিনি বলেন, বিজেপির প্রসার ঘটাতে অন্যান্য দলের নেতাদেরও গেরুয়া শিবিরে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
তৃণমূল থেকে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বিজেপিতে যোগ দিয়েই দলের উঁচুপদে জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন পুরনোরা। যা নিয়ে দলের পুরনো নেতাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এমন আবহে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবিবার বলেন, রাজনৈতিক আনুগত্যের পরিবর্তন সবসময় নেতৃত্বের অবস্থানের গ্যারান্টি দেয় না। দিলীপের এই মন্তব্য দলের পুরনো নেতৃত্বের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তিনি জোরের সঙ্গে এ কথাও বলেন, যাতে দলের ভিত্তি প্রসারিত হয় এবং বাংলায় ক্ষমতায় আসে, সে কারণেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রত্যেকের দরকার দলীয় শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা। সেটা পুরনো হোক বা নবাগত।
দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। প্রতিটা দিন আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূল-সহ অন্য দল থেকেও অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। আমরা যদি তাঁদের স্বাগত না জানাই, তা হলে কী করে বেড়ে উঠব”।
তৃণমূল নেতাদের দলে নেওয়া নিয়ে কয়েকটি জায়গায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ার খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে আসছেন, সেটা বড়ো কথা নয়। আসল কথা হল, দলের শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা হচ্ছে কি না। কেউ-ই দলের ঊর্ধ্বে নন।
বিজেপির আদর্শগত অভিভাবক আরএসএস-এর নেতৃত্বও এই ঘটনায় খুব একটা খুশি নয় বলে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “সেটা সবাইকে নিয়ে নয়। কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের সঙ্গে যাঁরা যোগ দেবেল, তাঁদের প্রত্যেককেই নেতৃত্বের পদ দেওয়া হবে না”।
আরও পড়তে পারেন: এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে
-
হাওড়া3 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
বিনোদন3 days ago
বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের, সঙ্গে সানি দেওল
-
প্রবন্ধ2 days ago
‘কয়েকটা টাকার বিনিময়ে নেতাজির স্মৃতি ধুলোয় মিশিয়ে দেব?’, বলেছিলেন পদমবাহাদুর
-
বাংলাদেশ3 days ago
টাঙ্গাইলে জেলাশাসকের মানবিক উদ্যোগ, শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ