রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন অব্যাহত রয়েছে, যদিও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ তাঁদের এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ ইমেলের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন দাবির কথা জানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে, শুক্রবার মুখ্যসচিব রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ‘স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে’ অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
অন্য দিকে, স্বাস্থ্যভবন শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির তালিকার বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ৭০৫১টি সিসিটিভি, ৮৯৩টি ডিউটি রুম এবং ৭৭৮টি ওয়াশরুম তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার ১১৩ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ১১১৩ জন মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করে হাসপাতালগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তবে, আন্দোলনকারীদের মতে, এই সব পদক্ষেপ সরকার আন্দোলনের চাপের মুখে নিয়ে নিয়েছে। তাঁদের দাবি, বৈঠকের পরেও সরকার নতুন কিছু প্রস্তাব দেয়নি, বরং পুরনো আশ্বাসই পুনরাবৃত্তি করেছে।
চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা
এ দিকে, আন্দোলনের জেরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে শনিবার সকালেও একই দৃশ্য। জুনিয়র ডাক্তার উর্মিমালা জানিয়েছেন, অনশনকারীরা বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আন্দোলন শুধু কলকাতা নয়, বরং সারা বাংলার বলে তিনি মন্তব্য করেন। শুক্রবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও দুই জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে যোগ দিচ্ছেন।
নবমীর সন্ধ্যায় ধর্মতলায় ‘অন্য পুজো’র মঞ্চের সামনে মানুষের ঢল
আইএমএ-এর বেঙ্গল শাখার প্রতীকি অনশন
রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-এর বেঙ্গল শাখা ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছে। ডাক্তার দ্বৈপায়ন মজুমদার জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে, এবং এর পরেও কোনও সমাধান না হলে তাঁরা বিকল্প পন্থা ভাববেন।
রবিবার অরন্ধনের ডাক
এছাড়া, ডাক্তারেরা রবিবার অরন্ধন পালন এবং সোমবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালেও আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। তাঁদের মতে, সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।