কলকাতা: হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছালো ভারত বায়োটেকের তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। বেলেঘাটার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিসেস (নাইসেড)-এ এই ভ্য়াকসিনের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল হবে।
ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড-১৯ (Covid-19) টিকা কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) সহযোগিতায় এই টিকা তৈরি করছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।
নাইসেড সূত্রে খবর, এক হাজার ডোজ কোভ্যাক্সিন পাঠিয়েছে সংস্থা। সেগুলিকে মাইনাস চার ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই ওই ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম প্রথম এই টিকা নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি কোনো রকমের কাজে লাগতে পারি, তা হলে নিজেকে ধন্য বলে মনে করব”। ফিরহাদ ছাড়াও কলকাতা পুরসভার বিদায়ী মেয়র অতীন ঘোষও স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।
নাইসেডের অধিকর্ত্রী শান্তা দত্ত ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নাইসেডে এক হাজার জনের উপর এই ট্রায়াল চলবে। একটি দলকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিনের ডোজ, অন্য দলটিকে টিকার পরিবর্তে দেওয়া হবে অন্য কিছু। দু’টি দলের উপরেই পর্যবেক্ষণ চলবে। সেখান থেকেই খতিয়ে দেখা হবে ফলাফলগুলি।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকরা ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’টি ডোজ পাবেন। কোভ্যাকসিন টিকার ডোজ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবককে প্ল্যাসেবো দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় একটি দলকে দেওয়া হয় ওই ভ্যাকসিনের ডোজ, অন্য একটি দলকে দেওয়া হয় ঔষধি গুণ নেই, এমন তরল বা ভুয়ো ওষুধ। একেই প্ল্যাসেবো বলা হয়।
দেশের আর যেখানে ট্রায়াল
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ১৭টি রাজ্যের ২৩টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে মোট ২৫ হাজার ৮০০ জনের উপর এই সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা হবে।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইএমস), গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল (নয়াদিল্লি), আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বইয়ের গ্র্যান্ট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং স্যার জেজে গ্রুপ অব হসপিটালস, লোকমান্য তিলক পৌর জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিক্যালল কলেজ (সিয়ন হাসপাতাল), ডিরেক্টরেট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, চেন্নাই এবং কিং জর্জ হাসপাতাল, ভাইজ্যাগ-সহ ২২টি প্রতিষ্ঠানে কোভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল পরিচালিত হবে।
আরও পড়তে পারেন: দার্জিলিং থেকে ফিরে কোভিড আক্রান্ত আব্দুল মান্নান, ভরতি হাসপাতালে
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।