আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের ভেতরে সীমান্ত বরাবর পাঁচিল তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুটান সরকার। এর ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বন্যজন্তুদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার রাস্তা। এই পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছে রাজ্য বন দফতরে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন চিঠি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
৭৬০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলের প্রায় ৭০ কিলোমিটার ভুটান সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের এ-পার ও-পার বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কুমারগ্রামের কালীখোলা এলাকা থেকে মানুষ সমান উঁচু পাকা দেওয়াল দিতে শুরু করেছে ভুটান সরকার। এতেই চিন্তায় পড়েছে বন দফতর। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরাও।
বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “এই দেওয়াল দেওয়ার ফলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল থেকে ভুটানের বনাঞ্চলে যাওয়ার জন্য বন্যজন্তুদের রাস্তা বন্ধ হচ্ছে। আমি আধিকারিকদের কাছে লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি। সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেব। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রককে নিশ্চয়ই জানাবেন। এই প্রাচীর হলে এই এলাকার বন্যজন্তুদের সর্বনাশ হয়ে যাবে।”
কী ভাবে এই দেওয়াল তোলা থেকে ভুটানকে বিরত করা যাবে? এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ারের এক আইনজীবী বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনে দুই দেশের প্রয়োজনে এই দেওয়াল তোলার কাজ বন্ধ করা যেতেই পারে। ভারত জেনেভা আদালতে ভুটানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কিন্তু ভারত ও ভুটান যে হেতু বন্ধুরাষ্ট্র তাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।” শুধু ভারত নয়, এই দেওয়াল তৈরি হয়ে গেলে যে ভুটানের বন্যজন্তুদের কাছেও সমস্যার সৃষ্টি হবে সে কথাও বলেন ওই আইনজীবী।