বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ তদন্তের জন্য এবার ব্যক্তিগত ও বেসরকারি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে কমিশনারেট। যদিও কমিশনারেটের নিজস্ব সিসি ক্যামেরাগুলি অনেক অপরাধের কিনারা করতে সক্ষম হয়েছে, তবুও ব্যক্তিগত ও বেসরকারি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করতে চাইছে পুলিস।
বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে থাকা সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি, এবং বিমানবন্দর এলাকায় ইতিমধ্যে হাই রেজ্যুলেশনের ‘এএনপিআর’, ‘পিটিজেড’, এবং ‘বুলেট’ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গত বছরে লেকটাউন থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে একটি দমকলকর্মী খুনের ঘটনা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছিল পুলিস। এমনকি সম্প্রতি একটি শিশুকন্যাকে অপহরণের ঘটনাতেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিসকে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছে।
এখন কমিশনারেটের প্রতিটি থানা ব্যক্তিগত এবং বেসরকারি সিসি ক্যামেরার তালিকা প্রস্তুত করছে। এই তালিকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাড়ি, দোকান, অফিসের সিসি ক্যামেরার সংখ্যা, অবস্থান, লাইভ ফিড এবং স্টোরেজের ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাখা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি অলিগলির ফুটেজ পুলিসের হাতের নাগালে আসবে। এর ফলে অপরাধ সমাধানে দ্রুততা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধাননগরের যুগ্ম পুলিস কমিশনার বাদানা বরুণ চন্দ্রশেখর জানান, “অপরাধের কিনারা করার জন্য আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি। সমস্ত দোকান, বাড়ি, অফিসের সিসি ক্যামেরার তালিকা আমাদের কাছে থাকবে। কোনও অপরাধ ঘটলে আমরা এই তালিকা থেকে দেখে, সংশ্লিষ্ট ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করব। এতে তদন্তের গতি বাড়বে।”
এই উদ্যোগের ফলে, বিধাননগর এলাকায় অপরাধ দমনে আরও বেশি দক্ষতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।