বীরভূম
জেল হেফাজতে টোটোচালকের রহস্য মৃত্যুর তদন্ত এবং পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জোরালো হচ্ছে বীরভূমে
বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে টোটো চালিয়ে কোনো রকমের সংসার চলত মৃত যুবকের!


খবর অনলাইন ডেস্ক: রামপুরহাটে জেল হেফাজতে মৃত প্রভাত মণ্ডলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং মৃত্যুরহস্যের তদন্তের দাবিতে জেলা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিল বিধায়ক মিল্টন রশিদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।
ঘটনায় প্রকাশ, বীরভূমের তারাপীঠ থানার কড়কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে মল্লারপুর পুলিশ তাঁকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এর পর রামপুরহাট মহকুমা আদালত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
মৃত প্রভাসের পরিবারের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ফোন করে জানানো হয়, জেলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে টোটো চালিয়ে কোনো রকমের সংসার চলত প্রভাতের।
বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “তাঁর বাড়িতে এখন খাওয়ার মতো এক কেজি চালও নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম অবাক করার মতোই। এত দিন হয়ে গেল, অথচ কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের কোনো প্রতিনিধি মৃতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানালেন না। রামপুরহাট জেলা প্রশাসন মারফত আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়েছিলাম, এই রহস্যজনক মৃত্যুর অবিলম্বে তদন্ত করা হোক। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে যেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সরকারের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে আজ বীরভূম জেলাশাসকের কাছে আমরা স্মারকলিপি জমা দিলাম”।
তিনি আরও বলেন, “অন্য মৃত্যুর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন অথবা রাজনৈতিক নেতারা ক্ষতিপূরণ অথবা টাকাপয়সা নিয়ে পৌঁছে যান। কিন্তু তারাপীঠের এই যুবকের ক্ষেত্রে দেখা গেল না”।
আরও পড়তে পারেন: ‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
বীরভূম
Coronavirus Second Wave: মাত্র দু’সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ৮১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গের এই জেলায়
পরিস্থিতি ভয়াবহ।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। প্রথম ঢেউয়ের সময় পরিস্থিতি যে রকম ছিল, এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ। প্রথম বারের মতো এ বারও সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। এর পাশাপাশি কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি আরও বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে ৭টি জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা চার অংকে রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি সক্রিয় রোগী (৭,৭৪০) কলকাতায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগণায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫,৯৫৫ জন।
কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশেষ ভাবে চিন্তিত এখন বীরভূমকে নিয়ে। গত দুই সপ্তাহে এই জেলায় সক্রিয় রোগীতে বৃদ্ধি এসেছে ৮১৬ শতাংশ। এটা কার্যত ভাবনারও বাইরে। যে বীরভূম জেলায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্তও সংক্রমণ হত নগণ্য, সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
গত ২৯ মার্চ, এই বীরভূমেই সক্রিয় করোনারোগী ছিলেন ১৭১ জন। সেটা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১,৫৬৮ জন। গত দু’ সপ্তাহ ধরে লাগাতার এই জেলায় দৈনিক দু’শোর বেশি সংক্রমণ ঘটছে। অথচ প্রথম ঢেউয়ের সময়ে আগস্টে মাত্র একদিনই বীরভূমে সংক্রমণ দু’শো ছাড়িয়েছিল।
তবে শুধু বীরভূমই নয়, আরও কিছু জেলার পরিস্থিতি সংকটজনক। গত দুই সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ৫৮৭.৮১ শতাংশ বৃদ্ধি এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়, হুগলিতে বেড়েছে ৫২৪.০৮ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগণা এবং পশ্চিম বর্ধমানে সক্রিয় রোগী বেড়েছে যথাক্রমে ৪৪৬.৮৩ শতাংশ এবং ৪৪১.৬৬ শতাংশ। হাওড়ায় রোগী বেড়েছে ৪০৩ শতাংশ।
শতাংশের বিচারে কলকাতায় সক্রিয় রোগীর বৃদ্ধি তাও কিছুটা কম, ২৮৯.৩৩ শতাংশ। তবে এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলা। তবে সেটা এখনই সম্ভব বলে মনে হয় না। এ রাজ্যে সংক্রমণ এখনও চূড়ার দিকে যাচ্ছে। সেই চূড়া কবে আসবে কেউ জানে না। ফলে রাজ্যের সংক্রমণচিত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা ভাবাই যাচ্ছে না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Coronavirus Second Wave: কিছুটা স্বস্তির খবর দিল মহারাষ্ট্র, দৈনিক সংক্রমণকে ছাড়িয়ে গেল সুস্থতা
বীরভূম
Bengal Polls 2021: ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে আরও একটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল
এ বার বীরভূমের মুরারই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বদল!


খবর অনলাইন ডেস্ক: ভোটগ্রহণের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বীরভূমের মুরারইয়ে পূর্বঘোষিত প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
অষ্টম দফায় আগামী ২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রে। গত ৫ মার্চ এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক আব্দুল রহমান ওরফে লিটনের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম ঘোষণার পর থেকে প্রায় ২৮ দিন ধরে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু ভোটগ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে অপ্রত্যাশিত ভাবেই প্রার্থী বদল করা হল।
শনিবার রাতে তৃণমূলের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে প্রার্থী বদলের কথা জানানো হয়। বলা হয়েছে, লিটনের বদলে এ বার প্রার্থী করা হল মোশাররফ হোসেনকে। যদিও ঠিক কী কারণে প্রার্থী বদল, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে দোলের দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বদল করে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি আসনে। জানানো হয়, ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়ের বদলে প্রার্থী করা হল রাজেন সুনদাসকে।
এর আগেও ঘাসফুল শিবির চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে। কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তাঁর জায়গায় এসেছেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। অশোকনগরে প্রার্থী করা হয়েছিল ধীমান রায়কে। তাঁর পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। আমডাঙায় মোস্তাক মোর্তাজাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে রফিকুর রহমানকে। একই সঙ্গে দুবরাজপুরেও অসীমা ধীবরকে সরিয়ে আনা হয়েছে দেবব্রত বিশ্বাসকে।
আরও পড়তে পারেন: রায়দিঘিতে দেবশ্রী রায় কেন তৃণমূলের টিকিট পাননি, খোলসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গান-বাজনা
শান্তিনিকেতনের উৎসর্গ মঞ্চে বসন্ত উৎসবের সূচনা
পাঁচটি সম্মেলক সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি প্রায় ৩০ জন শিল্পী বসন্তের গান উপহার দেন রবিসন্ধ্যায়।


নিজস্ব প্রতিনিধি: বসন্ত তার রঙ দিয়ে যায় মাটির বুকে। সেই রঙ দিয়ে আঁকা হয় কৃষ্ণচূড়া পিয়ালের বন। সেই রঙ দিয়ে আঁকা হয় বনের নবীন পাতার করতালি। শুষ্ক রুক্ষ বনভূমির কোলে বসন্তের গানে গুনগুন করে মৌপিয়াসি অলিরা।
দীর্ঘ মহামারির ঘরবন্দি জীবনে বসন্ত উদযাপন দিয়ে দ্বার খোলা হল মঞ্চের। গত বছর উৎসবের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
‘ছায়াবীথি’ নিবেদিত ‘বসন্ত তার গান লিখে যায়’ শীর্ষক এক বসন্ত উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল বোলপুর শান্তিনিকেতনের উৎসর্গ মঞ্চে। পাঁচটি সংগীত গোষ্ঠীর পরিবেশনের পাশাপাশি প্রায় ৩০ জন শিল্পী বসন্তের গান উপহার দেন রবিসন্ধ্যায়। সংযোজনায় ছিলেন তমালী ঘোষ ও বিংশতি বসুমুখোপাধ্যায়। ধ্বনি সুরঝঙ্কার (বোলপুর), অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় গৌতম ভৌমিক ও অগ্নি মাইতি।

‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’, ‘দখিন হাওয়া জাগো জাগো’, ‘যদি তারে নাই চিনি’, ‘ঝরা পাতা গো’, ‘মধুর বসন্ত এসেছে’, ‘দে তোরা আমায় নূতন করে দে’, ‘এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে’-সহ নানা গানে বসন্তের ডালি ভরে উঠেছিল। সাগরিকা মজুমদার, কৃষ্ণেন্দুদের ‘ও আমার চাঁদের আলো’, ‘পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে’ — অপূর্ব নিবেদন ছিল।
তবে শুধু গান নয়। ঊর্মিমালা দত্তগুপ্তর নৃত্যের সঙ্গে দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘যদি তারে নাই চিনি গো চিনি’ গানটি ছিল যথাযথ।

সম্মেলক গানে প্রগতি চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘ঐকতান’, জ্যোতিকণা দাশগুপ্তের পরিচালনায় ‘শতভিষা সংগীত বিতান’, সোমা মিত্রের পরিচালনায় ‘সুরঙ্গম’ (দুর্গাপুর), দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘পুনশ্চ’ এবং শান্তা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘বনবাণী’র নিবেদন প্রেক্ষাগৃহে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। সম্মেলক গানে ‘বসন্তে ফুল গাঁথল’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ‘বসন্তে কি শুধু কেবল ফোটা ফুলের মেলা’ ও ‘মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল’ শ্রোতাদের মন আকৃষ্ট করে।
উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অতিথি কবি সৈয়দ হাসমত জালাল। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় স্বরচিত দু’টি কবিতা।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মলয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শোনা যায় ‘চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি’ গানটি। সংগীত ভবনের অধ্যাপক প্রশান্ত ঘোষ এবং অধ্যাপক সুরজিৎ রায় পর পর পরিবেশন করলেন ‘পথ দিয়ে কে যায় গো চলে’ ও ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’।

যাঁদের সহযোগিতায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি প্রাণ পেয়েছিল তাঁরা হলেন কীবোর্ডে অনিমেষ চন্দ, তবলায় কমলেশ রায় ও এসরাজে সৌগত দাস।
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের