বগটুই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যু আরও এক জনের, এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

রামপুরহাট: বগটুই হত্যাকাণ্ডে মৃত আরও এক। রবিবার সকালে মৃত্যু হল আতাহারা বিবি নামে এক দগ্ধ মহিলার। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০।

গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই কয়েক ঘণ্টা আগে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ।

উপপ্রধান খুনের কিছুক্ষণ পরই গ্রামে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পর দিন (২২ মার্চ) সকালে আট জনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিন পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলার মৃত্যু হয়। এর পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে মৃত্যু হল আতাহারা বিবির।

বগটুই-কাণ্ডের পর থেকে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আতাহারা বিবি। তাঁর শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। মাঝে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। রবিবার ভোরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর।

ফলে এখনও পর্যন্ত এক নাবালিকা, এক পুরুষ এবং আটজন মহিলা মিলিয়ে মোট ১০ জনের মৃত্যু হল বগটুই গণহত্যায়। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহযোগিতা ঘোষণা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বগটুই কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। তদন্তকারী দলে ছিলেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ, এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংহ এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। কিন্তু রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন।

আরও পড়তে পারেন:

একটি উত্তরণ: এক অজানা প্রণম্য কাহিনি

বিজ্ঞাপন