ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই দাসপুর তোলাবাজি মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে নোটিশ ধরিয়েছে সিআইডি। তাঁকে জেরার জন্য বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে ডেকেছিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু নির্বাচনী কাজের ব্যস্ততার দরুণ এ দিন সিআইডির জেরা এড়ালেন ভারতী। জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে তিনি আগামী শুক্রবার ভবানী ভবনে যাবেন।
গত মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানিতে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ভারতী ঘোষকে।’ শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশ নোটিশ জারি করে ডেকে পাঠাতে পারবে তাঁকেকে। তবে আগের মতোই তাঁর গ্রেফতারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না ভারতীকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ এপ্রিল। তত দিন পর্যন্ত আগের আদেশই বহাল থাকছে।
বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীদের উদ্দেশে সে দিনই জানিয়ে দেন, “আপনারা নোটিশ পাঠিয়ে জেরার জন্য ডেকে পাঠান ভারতী ঘোষকে, ডাকার পরেও উনি হাজিরা না দিলে তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব”। স্বাভাবিক ভাবে ভারতী যে নোটিশের প্রেক্ষিতে সিআইডির মুখোমুখি হবেন, সেটা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সিআইডির নির্ধারিত দিনে হাজিরা না-দিয়ে তিনি সম্ভবত নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন বলে দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো মহল থেকে।
[ আরও পড়ুন: আমরা অনেকেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখি: সায়ন্তন বসু ]
যদি ভারতী নিজে জানিয়েছেন,“এটি একটি নির্লজ্জ ও ঘৃণ্যতম কাজ হচ্ছে। ১৫ মাস আগের মামলায় এখন আমাকে নোটিস ধরাচ্ছে সিআইডি। আসলে ওরা জানে, কয়েকদিন পরেই আমার কেন্দ্রে লোকসভা ভোট। এখন আমি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে জনসভা ও রোড শোগুলিতে ব্যস্ত রয়েছি। সেই কাজে আমাকে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্যই ভবানী ভবনে ডেকে পাঠিয়ে নোটিস ধরানো হচ্ছে। এই নোংরা কাজ আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না বাংলার মানুষ। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেব আমি। তাই হাজিরার সময় পাব না। শুক্রবার যাব ভবানী ভবনে।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।