রাজ্য
বুদ্ধিজীবীদের কাছে দলকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার নয়া কৌশল বিজেপির
বৃহস্পতিবার কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে বুদ্ধিজীবীদের কাছে দলকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার আপ্রাণ প্রয়াস চালাচ্ছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে শহরের বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা (JP Nadda)।
জনমত তৈরিতে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা বাংলার রাজনীতিতে নতুন কোনো বিষয় নয়। তা কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, সেটা ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে চাক্ষুষ করেছেন বঙ্গবাসী। কতকটা একই কায়দায় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা জারি রেখেছে সঙ্ঘ-পরিবার। এর আগেও দু’বার এ ধরনের বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তবে তা থেকে আশানুরূপ ফল মেলেনি।
২০১১ বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতার রাজপথে ‘পরিবর্তন চাই’ স্লোগান-সহ বুদ্ধিজীবীদের মুখের ছবি এখনও অমলিন নয়। সেই বুদ্ধিজীবীদের পাশে পেতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহাজাতি সদন এবং আইসিসিআর-এ কয়েক মাস আগেও বৈঠক করেন। আবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় এসে বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সঙ্গে কথা বলেন।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেও একই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সে সময় রাহুল সিনহা আচমকা দেখা করেন কবি শঙ্খ ঘোষ এবং প্রয়াত অভিনতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও সেই সাক্ষাৎ সে ভাবে কাজে লাগেনি।
পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য সফরে এলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ অথবা শ্রী রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে গুরুচাঁদ ঠাকুরের স্মরণ নিচ্ছেন।
বুধবার কলকাতায় আসছেন নড্ডা। “লক্ষ্য সোনার বাংলা” ইস্তেহার প্রকাশ করতে কলকাতার সায়েন্স সিটিতে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে নড্ডার। পাশাপাশি কলকাতায় এসে নৈহাটিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ও সংগ্রহশালা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তাঁর।
তবে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে বুদ্ধিজীবীরা খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না। কারণ তাঁরা সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবুও, বাংলার সংস্কৃতি থেকে বামপন্থাকে ব্রাত্য করে একটি নতুন রাজনৈতিক আখ্যান রচনায় জোর দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়তে পারেন: ঘরে ঢুকে বাচ্চা মেয়েকে কয়লা চোর বলে দিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজ্য
Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলল নির্বাচন কমিশন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এ বার ওই ঘটনায় মন্তব্যের জেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন (EC)।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে জবাব দিতে হবে দিলীপকে।
কী বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ?
শনিবার রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সিআইএসএফের গুলিতে নিহত হন চার তৃণমূল কর্মী।মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। নির্বাচন কমিশন তিন দিনের জন্য কোচবিহারে বাইরে থেকে রাজনীতিকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করে।
গত রবিবার বরানগরের একটি সভায় দিলীপ বলেন, “ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে”।
এই মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মনে করেছিল তৃণমূল। শেষমেশ দিলীপের মন্তব্য নিয়ে পদক্ষেপ করল কমশন।
প্রচারে নিষেধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার
গত ৩ এপ্রিল মমতা হুগলির তারকেশ্বরের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। বিজেপি এলে মনে রাখবেন সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের।’’ এই মন্তব্যে মমতা ‘সাম্প্রদায়িক লাইনে’ ভোট চাইছেন অভিযোগ তুলে কমিশন যায় বিজেপি। গত মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কোনো দলীয় পতাকা ছাড়া ধরনার বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তিনি সম্পূর্ণ একা ধরনায় বসেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠলে যত রাত-ই হোক, তিনি সভা করবেন।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনায় মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এ দিনই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ভোটের প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন।
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: প্ররোচনামূলক মন্তব্য, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ওপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের
রাজ্য
Bengal Polls 2021: প্ররোচনামূলক মন্তব্য, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ওপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের
“শীতলকুচিতে ৪ জন নয়, ৮ জনকে মারা উচিত ছিল,” এমনই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ বার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এল বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার বিরুদ্ধেও। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁর বক্তব্যের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর প্ররোচনামূলক বক্তব্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা।
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখনই প্রবল উসকানিমূলক মন্তব্য করে বসেন রাহুল। হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “শীতলকুচিতে ৪ জন নয়, ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তা করেনি, তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত।”
এই প্রসঙ্গেই রাহুল আরও বলেন, “ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে যদি বিজেপি করার অপরাধে কেউ গুলি করে মারে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছুড়ে মানুষকে ভোট দিতে আটকাচ্ছে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এর পরেই সেই বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন রাহুল।
রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তার পরেই ব্যবস্থা নিতে হল নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। সেই নিষেধাজ্ঞার সময় পেরিয়ে গেলে রাত সওয়া ৮টায় বারাসতে সভা করবেন মমতা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা নির্বাচন কমিশনের
কোচবিহার
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা নির্বাচন কমিশনের
ভবিষ্যতে প্রাণহানি এড়ানোর জন্য বিশেষ কাজ করতে বলা হয়েছে বাহিনীকে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ বাহিনীকে দিল কমিশন।
কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পুলিশকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও তথ্যকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে তাদের। এতে ভবিষ্যতে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার জন। তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে ৪ জনকে খুন করেছে বাহিনী। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয় উন্মত্ত জনতার প্ররোচনাতেই এই গুলি চালানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমিশনের অস্বস্তি এখনো কাটেনি। কারণ ওই বুথের কোনো ছবি বা ফুটেজ এখনও প্রকাশ করতে পারেনি তারা। ফলে কী পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমণে পদক্ষেপ করল কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট পরিচালনায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এতে ভবিষ্যতে অশান্তি এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Polls 2021: বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি অধীররঞ্জন চৌধুরীর
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ1 day ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে