কলকাতা: এক সপ্তাহে দল ছেড়েছেন তিন বিজেপি বিধায়ক। জল্পনা চলছে, আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ফুল বদল করতে পারেন। এমন জল্পনার মাঝেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সটান জবাব, মুকুল রায়ের মতো নেতা যখন যেতে পারেন, তখন যে কেউ যেতে পারেন।
শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। দলবদলের পর তিনি বলেন, “আমার মন-প্রাণ তৃণমূলে ছিল। দিদি উত্তরবঙ্গের জন্য লড়াই করছেন। এই উন্নয়নের কাজে অংশ নিতেই আমি দলে যোগদান করেছি। মাঝে যে সময়টুকু আমি ছিলাম না, সেটা আমার ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আগামীদিনে দিদির উন্নয়নে শামিল হতে পারলে নিজেকে কৃতার্থ মনে করব”।

গত মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদারের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূলে ফিরে তাঁর মন্তব্য, “একজন জনপ্রতিনিধির কাজ এলাকার মানুষের পাশে থাকা, উন্নয়ন করা। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়নে শামিল হওয়াটা জরুরি। পুরনো দিনেও তাঁর প্রতি আমার আস্থা ছিল। এখনও রয়েছে। আমি দু’বার বনগাঁ থেকে বিধানসভায় গিয়েছি। আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকার লক্ষ্য নিয়েই আজ আমি তৃণমূলে ফিরলাম”।

তার আগের দিন, গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে তন্ময় বলেন, “রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” একই সঙ্গে তিনি বিজেপি-র অন্য বিধায়কদেরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

গতকাল কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের দলবদল প্রসঙ্গে বীরভূমের সিউড়িতে দিলীপ বলেন, তৃণমূল থেকে এসেছিলেন। বিজেপির টিকিট নিয়ে জিতেছিলেন। এখন আবার তৃণমূলে চলে গিয়েছে। তাঁর সংযোজন, কে যাবেন,কে যাবেন না, নিশ্চিত করে বলা যায় না। মুকুলবাবুর মতো নেতা যখন যেতে পারেন, তখন যে কেউ যেতে পারেন। দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতেই লাভ, ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ১১ জুন তৃণমূলে ফিরেছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তার পর থেকে একে একে ফিরছেন অনেকেই। তৃণমূলে পা বাড়িয়ে থাকা দলীয় বিধায়কদের আটকাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি বিজেপি? এমন প্রশ্নে দিলীপের সটান জবাব, “গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব। তৃণমূল পেরেছে”?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তিন বিধায়কের দলত্যাগের পর রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির ক্ষমতা আরও কমলে। ৭৭টা আসনে জিতেছিল বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবিরের বর্তমান ক্ষমতা ৭১-এ এসে ঠেকেছে। জল্পনা চলছে যে আগামী দিনে আরও কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসতে পারেন।
খবর অনলাইন-এর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য খবর পড়ুন এখানে:
টোকিও প্যারালিম্পিক ২০২০: ভারতের পঞ্চম সোনা জিতলেন কৃষ্ণ নগর
কেন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন হচ্ছে, কমিশনের জবাব চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী