কলকাতা: মহেশতলা বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, বর্তমানে বিজেপি-ই তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ। তৃণমূল ভবনে বসে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, মহেশতলার ভোট, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জয়।
তবে পার্থবাবুর নিশানায় যে কারণে বিজেপি, তার সুর্নিদিষ্ট কারণও রয়েছে। ওই কেন্দ্রের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে বিজেপির ভোটবৃদ্ধির দ্রুতহার। কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের ভোট কমেছে, তা যেমন বাস্তব উল্টো দিকে তৃণমূলের ভোট বাড়ার পাশাপাশি ভোট বেড়েছে বিজেপিরও। এখনও পর্যন্ত যা হিসাব মিলেছে তাতে দেখা গিয়েছে তৃমমূল কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল দাস পেয়েছেন,১০৪২০৬ টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী সুজিত ঘোষ এবং সিপিএম প্রার্থী প্রভাত চৌধুরী যথাক্রমে পেয়েছেন ৪১৮৮২ এবং ৩০১৮০টি ভোট। প্রাথমিক ভাবে এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, এই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ২০ শতাংশের উপর। অথচ মাত্র বছর দুয়েক আগে, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭.৭ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। অন্য দিকে বিজেপির ভোট বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিজেপি সাফল্যে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, “সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলেও দেখা গেছে বিজেপি-ই এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আবার মহেশতলার উপনির্বাচনেও সে কথা প্রমাণিত হল। প্রায় তিনগুণ ভোট বেড়েছে আমাদের। এই ভোট যে শুধু সিপিএম-কংগ্রেস থেকে এসেছে তা নয়। শাসক দলের যতই ভোটের ব্যবধান বাড়ুক সরকারের বিপক্ষে পড়া ভোট কিন্তু প্রধান বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি পেয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের ম্যাজিক”।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থবাবু দাবি করেন, “বিরোধীরা যতই জোটঘোঁট করুক, ওদের কোনো জনভিত্তি নেই। বাহিনী নয়, বাংলার মানুষকে নিয়ে ভোট করতে হয়। আসলে নির্বাচনকেই ভয় পায় বিরোধীরা। মমতার উন্নয়নে আবার আস্থা দেখিয়েছে জনগণ। মহেশতলার ভোট, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জয়। ভোট হলেও বিরোধীদের হার, ভোট না হলেও যে বিরোধীদের হার, সে কথাই প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনো বিষয় নয়, জনগণই সব”।