কলকাতা: ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান এবং তেলঙ্গনার ভোট মিটলেই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে পারে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে বিজেপির বিজয়রথ মসৃণ পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এ বার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পাখির চোখ করেছেন বাংলাকে। দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলে কর্মী-সমর্থকদের মনে বাড়তি আগ্রহের সঞ্চার ঘটানো যেতে পারে।
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে শোনা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন অমিত। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলা থেকে প্রার্থী হলে বাকি আসনগুলিতেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য একটি মহলের মতে, অ-বাংলাভাষী এলাকা হিসাবে আসানসোল থেকেও প্রার্থী করা হতে পারে অমিতকে। সে ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হবেন আসানসোলের বর্তমান বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
অন্য দিকে অমিত উত্তর কলকাতা থেকে প্রার্থী হলে ২০১৪-য় ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন উত্তরবঙ্গ থেকে। রাজ্যস্তরের নেতা শমীক ভট্টাচার্য প্রার্থী হতে পারেন কৃষ্ণনগর থেকে। তবে ওই কেন্দ্রেই জয়প্রকাশ মজুমদারের নামও শোনা যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী হতে পারেন মুকুল রায়। অন্য দিকে দমদমে প্রার্থী হতে পারেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হতে পারে বীরভূম থেকে। আর নায়িকা-রাজনীতিক লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন জেলার বোলপুর কেন্দ্র থেকে। পুরুলিয়া বিজেপি কর্মী রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সায়ন্তন বসু। তাঁকে পুরুলিয়া অথবা বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে প্রার্থী হতে পারেন প্রাক্তন আমলা বিক্রম সরকার। মেদিনীপুর থেকে প্রার্থী হতে পারেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ।
তবে বিজেপির বিভিন্ন মহলে এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হলেও দলীয় ভাবে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।