কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তে গঠিত সিবিআই সিট ভেঙে নতুন সিট তৈরি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই-এর সিট থেকে দুই জনকে সরিয়ে আরও চার জনকে যুক্ত করা হল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিটে বড়োসড়ো রদবদলের নির্দেশ দিলেন তিনি। একাধিকবার তদন্তের গতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। বুধবার বিচারপতির প্রশ্ন, “গ্রুপ ডি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৮ মে ৫৪২ জন চাকরিপ্রাপককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে”?
হাইকোর্টে সিবিআই জানায়, “১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বৃহত্তর চক্রান্তের বিষয়টি দেখছি, টাকার উত্স খুঁজছি। কাদের কাছে এই টাকা গিয়েছে তা দেখা হচ্ছে, আমরা নথি সংগ্রহ করছি”।
সিবিআই-এর মন্তব্যে বিচারপতি বলেন, “৬ মাস কেটে গিয়েছে, কিছুই করেননি, এ বার তো পরিসংখ্যান জানতে হবে”। সিবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, মোট অভিযুক্ত চাকরিপ্রাপকের ৫ শতাংশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। সিবিআইয়ের এই পরিসংখ্যান দেখেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিটে রদবদলের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সিট পুনর্গঠন করা হবে। চার জন আধিকারিকের নাম চান তিনি। তাতে অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী এবং ওয়াসিম আক্রম খানের নাম দেয় সিবিআই।
তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একজন ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে সিটের শীর্ষপদে বসাতে চাইছিলেন। এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কলকাতা দফতরে কোনো ডিআইজি না থাকায় তিনি নির্দেশ দেন, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশপ্রসাদ সিংহকে সিটের দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি অন্যত্র রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে বদলি করা যাবে না। পুনর্গঠিত সিট-কে ২১ দিনের মধ্যে ৫৪২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল, পার্থ-অর্পিতা প্রসঙ্গ টেনে তদন্তের দাবি মমতার