অনুষ্ঠান
আইসিসিআরে ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী
কলকাতা: ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাবের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হল আইসিসিআরে। শুক্রবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শশী পাঁজা ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক বিনোদ চৌহান, ভজগোবিন্দ চৌধুরী, ঋত্বিক দাস, বানী রায়চৌধুরী, অর্পণ মিত্র এবং আইসিসিআর-এর ডিরেক্টর গৌতম দে। এ বার দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছে এই প্রদর্শনী। দেশ বিদেশ মিলিয়ে মোট […]

কলকাতা: ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাবের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হল আইসিসিআরে। শুক্রবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শশী পাঁজা ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক বিনোদ চৌহান, ভজগোবিন্দ চৌধুরী, ঋত্বিক দাস, বানী রায়চৌধুরী, অর্পণ মিত্র এবং আইসিসিআর-এর ডিরেক্টর গৌতম দে।
এ বার দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছে এই প্রদর্শনী। দেশ বিদেশ মিলিয়ে মোট ৪৭৪টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে এই প্রদর্শনীতে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জার্নালিস্টস ক্লাবের পরিচিতি যে ক্রমশই বাড়ছে সে কথা বলেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গোস্বামী।

প্রদর্শনী উদ্বোধন করছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চিত্রগ্রাহক বিনোদ চৌহান, ঋত্বিক দাস, প্রান্তিক সেন প্রমুখ।
ভারতের পরেই সব থেকে বেশি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্রগ্রাহকদের। এ ছাড়াও রাশিয়া, স্পেন, ইন্দোনেশিয়া, ইংল্যান্ড এবং জাপানের চিত্রগাহকদের ছবিও এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীর জন্য মোট চার হাজারটি ছবির আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৪৭৪টি বেছে নেওয়া হয়েছে।
দিন রাত পরিশ্রম করে ছবি বাছাইয়ের কাজ করেছেন ক্লাবেরই তিন সদস্য তথা চিত্রগ্রাহক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, প্রলয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় হাজরা। আগের বারের তুলনায় ছবির মান আরও অনেক ভালো হয়েছে, সে কথা বলেন ক্লাবের সভাপতি প্রান্তিক সেন।
অনেকের সঙ্গে এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে হিমাদ্রীশেখর লাহিড়ীর দু’টি ছবিও। কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়ার জন্য চিত্রগ্রাহককে ডিএসএলআর ক্যামেরাই ব্যবহার করতে হবে, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে মনে করেন হিমাদ্রীবাবু। ডিএসএলআর ক্যামেরার বদলে তাঁর যে দু’টি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে সেগুলি নিকনের কুলপিক্স ক্যামেরায় তোলা।
আগামী রবিবার পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। সময় বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা।
অনুষ্ঠান
বাঁকুড়ার আকুই গ্রামে আবৃত্তি সম্মেলন
এ বছর আবৃত্তি সম্মেলনের অনুষ্ঠান মঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশে।


ইন্দ্রাণী সেন বোস, বাঁকুড়া: আকুই আবৃত্তি সমাজের উদ্যোগে চতুর্থ আবৃত্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের আকুই গ্রামে। আবৃত্তি সম্মেলনের থিম ছিল আবৃত্তির আবর্তে মননের উৎসব। গাছে জল দিয়ে এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন রমাপ্রসাদ সেন, প্রসেনজিৎ সরকার, নীহারেন্দু দত্ত, দিলীপ দাঁ প্রমুখ।
এ বছর আবৃত্তি সম্মেলনের অনুষ্ঠানমঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশে। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিক্ষক ও শিল্পী রবীন মণ্ডল ও তাঁর সম্প্রদায়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে পার্থ দে ও উমাপদ আচার্য জানান, আবৃত্তি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে উঠেছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও কবিতা পাঠ ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে বিজয়া প্রতিযোগী ও বিশিষ্টজনদের স্মারক-সন্মাননাও প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বর্ধমানের একটি সংস্থা শ্রুতি নাটক উপস্থাপন করে। অতিথিরা সংগীত পরিবেশন করেন ও কবিতা পাঠ করেন।
এ বছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১২৫ বছরে পা রাখল। সেই উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানে বাঁকুড়া জেলায় নেতাজির আগমনের উপর তথ্যমূলক আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. প্রসেনজিৎ সরকার। বাঁকুড়ার কোথায় কোথায় নেতাজি এসেছিলেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেন প্রসেনজিৎবাবু। পাশাপাশি ইন্দাস থানার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা আলোচনা করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পার্থ দত্ত।
আরও পড়ুন: বামনিয়া শ্রীমা সারদা সেবাশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠান
সামাজিক মাধ্যমে দুই বাংলার সঙ্গীত ও আবৃতি শিল্পীদের সেতু গড়েছে বাওবা টিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা কাল আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের থেমে না থাকার ইচ্ছেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে অতিমারী পরিস্থিতি।
কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হলেও থামেনি আমাদের কলাচর্চা। শিল্পী-স্রোতার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া। তাকেই মাধ্যম করে দুই বাংলার সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পীদের সেতু তৈরি করেছে বাওবা টিভি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে শুরু হয় এই উদ্যোগ। বাওবা টিভির ফেসবুক পেজে নিয়মিত চলছে এই সঙ্গীত এবং আবৃতির অনুষ্ঠান।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা, বাংলাদেশ সময় রাত ৮ -৩০ টা এবং আমেরিকা ও কানাডা সকাল ৯ -৩০ টায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীবন্ধুরা থাকছেন শুধুমাত্র বাংলা সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে । অনুষ্ঠানটির ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার খবর অনলাইন।
অনুষ্ঠান
শনিবার শোভাবাজারের গোপীনাথ বাড়িতে বসছে শিল্প-সংস্কৃতির জমজমাট আড্ডা

শুভদীপ রায় চৌধুরী
তিলোত্তমা কলকাতার ইতিহাসচর্চা বা সংস্কৃতিচর্চার প্রসঙ্গ উঠলেই যাদের নাম প্রথম দিকে উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হল শোভাবাজার রাজবাড়ি, যাদের ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানা আজও বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করে।
তৎকালীন সময়ে বহু রাজপরিবারে সংস্কৃতিচর্চা হত। বলা যেতে পারে গান-বাজনায় মেতে থাকত গোটা ঠাকুরদালান-সহ রাজবাড়ির অন্দরমহল। শোভাবাজার রাজবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হত সেই জলসাঘর, যে জলসাঘরে উপস্থিত থাকতেন বিশিষ্টজনেরা।
একটা সময়ে এই কলকাতায় বাই-নাচ খুবই প্রচলিত ছিল। শোনা যায়, কলকাতায় প্রথম বাই-নাচের সূত্রপাত ঘটে শোভাবাজার রাজবাড়িতেই। শুধু বাই-নাচই নয়, কবিগান, যাত্রা, রাগসংগীতের আসর ইত্যাদি নানা রকমের আড্ডা বসত রাজবাড়িতে।
আবার সেই রাজবাড়ির দালানে বসবে বিশিষ্টজনেদের আসর আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠিক ৩টের সময়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্প-সংস্কৃতির এক বৈঠকী আড্ডা। আড্ডার বিষয় ‘বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও শোভাবাজার রাজবাড়ি’। আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন শিল্প এবং সংস্কৃতিজগতের স্বনামখ্যাত মানুষজন, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রাচীন রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ির সদস্যরাও।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বসাক, অংশুমান ভৌমিক-সহ বহু বিশিষ্টজন। এ ছাড়াও এই আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার স্বনামধন্য পরিবারের সদস্যরা যেমন সাবর্ণ চৌধুরী পরিবার, শোভারাম বসাকের পরিবার, পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক পরিবার, পটলডাঙা বসুমল্লিক পরিবার-সহ আরও বিভিন্ন প্রাচীন পরিবার।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রবীর কৃষ্ণ দেব হলেও, রাজবাড়ির বিভিন্ন সদস্য যেমন নরেন্দ্র কৃষ্ণ দেব, শুভাশিস কৃষ্ণ দেব, শঙ্কর কৃষ্ণ দেব-সহ পরিবারের আরও সদস্যরা রয়েছেন এই আড্ডায় জড়িয়ে। করোনার সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধ মেনেই বসবে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া রাজবাড়ির তরফ থেকে একটি বিশেষ মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রতিটা আড্ডার সঙ্গে থাকে জমজমাট খাওয়াদাওয়া। এ বারের আড্ডায় একটু অন্য রকম আয়োজন করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে রাজবাড়ির তরফ থেকে। এই দিন বৈঠকী আড্ডার পাশাপাশি থাকবে নানা রকমের তেলেভাজা – যেমন বকফুলের বড়া, কুমড়োফুলের বড়া, বাঁধাকপির বড়া, লঙ্কার চপ, সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি আর মুড়ি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার সংস্কৃতিজগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে এক জমজমাট মুখরোচক আলোচনাসভা হতে চলেছে শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
-
রাজ্য5 hours ago
Bengal Polls Live: ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৭০ শতাংশ
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
-
রাজ্য1 day ago
Coronavirus Second Wave: আজ কমিশনের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক, ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আশায় রাজ্যবাসী
-
দেশ1 day ago
Delhi Riots 2020: পুলিশি তদন্তে অসঙ্গতি, জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন