ক্যানসার আক্রান্ত কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা বর্ষণ চক্রবর্তীর উচ্চমাধ্যমিক ফল প্রকাশের দুই বছর পর বদলে গেল তার পরীক্ষার ফল। ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অঙ্কে ৫৫ নম্বর পেয়ে হতাশ হয়েছিল বর্ষণ। তবে নিজের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সন্দেহ হলে আরটিআই করে খাতা দেখার আবেদন করে সে।
খাতা পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসে বড়সড় গাফিলতি। বর্ষণের উত্তরপত্রের তিনটি লুজ শিটই হারিয়ে গিয়েছিল। ফলে সেই অংশের উত্তরগুলির জন্য কোনও নম্বর পায়নি সে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নতুন করে বর্ষণের খাতা মূল্যায়ন করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষণের লিখিত পরীক্ষার নম্বর সংশোধিত হয়ে হয় ৭০। প্রজেক্টের ২০ নম্বর যোগ হওয়ার পর অঙ্কে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়ায় ৯০। বেস্ট অফ ফাইভ পদ্ধতিতে তার মোট নম্বর বেড়ে হয় ৪১৭, যা ৮৩.৪%।
সংসদ জানায়, লুজ শিট হারানোর কারণেই নম্বর বাড়ানো হয়েছে। বর্ষণের এই লড়াই শুধু তার নয়, সকল পরীক্ষার্থীর জন্যই একটি দৃষ্টান্ত।
শিক্ষা ও কেরিয়ার সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পড়ুন এখানে