সিজিও কমপ্লেক্সে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ছবি: রাজীব বসু
কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে সিপিআই(এম) যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার সিবিআই তলব করে। সেই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে মিনাক্ষী আজ সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে মীনাক্ষী বলেন, এই লড়াই থামার নয়, বরং আরও জোরদার হবে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য যেভাবে আন্দোলন চলছিল, সেভাবেই চলবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিজিওতে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যাতে তদন্তে সাহায্য হয়, সেই কারণেই আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমি সিবিআইয়ের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। তবে এই লড়াই থামবে না। আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কিংবা দমন করে এই লড়াইকে থামানো যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রথম থেকেই এই ঘটনায় জড়িত সমস্ত দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছি। একজন চিকিৎসক নিজের কর্মস্থলে, অন ডিউটি থাকা অবস্থায় খুন হয়ে যাবেন, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব, তা কখনওই সম্ভব নয়। এই ধরণের নৃশংস হত্যার বিচার চাইছে দেশের মানুষ। আমরা সেই লড়াইয়ে অটল।”
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তিনি আন্দোলন থেকে এক ইঞ্চিও পিছু হটবেন না। তাঁর কথায়, “আবার ডাকলে, আবার আসব। আমরা প্রথম দিন থেকেই রাস্তায় রয়েছি, আগামীতেও থাকব। দোষীদের শাস্তি চাই এবং সেই শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যে কোনো আইনি এবং আন্দোলনের লড়াই চালিয়ে যাব।”
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এই লড়াই শুধু আমাদের নয়, এটা গোটা দেশের মানুষের লড়াই। তাই সকলকে রাস্তায় নামতে হবে। লড়াই হবে আদালতে এবং রাস্তায়ও। আমাদের দাবি একটাই— সমস্ত দোষীর শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি গোটা রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এক মহিলা চিকিৎসককে কর্মস্থলে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়, যা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের ছাত্ররাও। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রশাসনিক অব্যবস্থা এবং অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনার পর থেকেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।