সরকারি আধিকারিককে হুমকি দিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রীর পদ হারিয়েছিলেন অখিল গিরি। তাঁর এই পদচ্যুতির পর, রাজ্যের কারামন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে। এতদিন চন্দ্রনাথ সিনহা রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কারাদপ্তরের দায়িত্বও তিনি সামলাবেন।
এই পরিবর্তন পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে একটি বিতর্কিত ঘটনার পর। ৩ আগস্ট সেখানে সমুদ্র সৈকতের ধারে বনদপ্তরের জমিতে বেআইনিভাবে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। বনদপ্তরের তরফে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর, ঘটনাস্থলে হাজির হন রামনগরের বিধায়ক এবং তৎকালীন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। অভিযোগ, সেখানে তিনি বনদপ্তরের এক মহিলা আধিকারিককে কার্যত হুমকি দেন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অখিল গিরিকে কারামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে যে, সরকারি আধিকারিকদের প্রতি এই ধরনের আচরণ কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। চন্দ্রনাথ সিনহার উপর নতুন দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, সরকারের তরফে কোনও ধরনের অনৈতিক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।
চরম মানসিক উদ্বেগে ভুগছে গ্রামীণ ভারত, চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়
৪ আগস্ট কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অখিল গিরি। এতদিন এই দফতর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল। তবে জানা যাচ্ছিল, এই দপ্তরের দায়িত্ব বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে দেওয়া হবে। নতুন একটি দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দপ্তরে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করে কাজ বুঝতে হবে। ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করেছেন আমাকে, সেই ভরসা আমাকে রাখতে হবে।”