কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল শিয়ালদহ আদালতে। এক সপ্তাহ পরে আগামী ১১ নভেম্বর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। শুনানি রোজ চলবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরজি কর মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র অভিযুক্ত। প্রায় এক মাস আগে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ শিট পেশ করে। সোমবার বেলা ২টো নাগাদ শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১), ৬৪ এবং ৬৬ ধারা মতে চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়।
আরজি করের ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়্বেছে। এঁরা হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতা পুলিশের টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল। এঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে।
সোমবার শিয়ালদহ আদালত ঘিরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। ওই দিন দুপুরে আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত থেকে বেরোনোর সময়ে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের চিৎকার শোনা যায়। তিনি সকলের উপস্থিতিতেই চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে।’’
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হল শিয়ালদহ আদালতে। ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আরও দুটি মামলার শুনানি চলছে দুই আদালতে। আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চলছে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি। আর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা।