স্বাস্থ্য, জল, সড়ক। তিনটি ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দিয়ে বুধবার পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক অমিল। ১০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ হলে ৩০ জন জেলায় থেকে কাজে যোগ দেন। প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের এই অভিযোগ শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মমতা, যিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। পাশাপাশি অযোধ্যা পাহাড়ের দুর্গম ৯টি গ্রামকে সড়কপথে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন জেলার সামগ্রিক পরিবহণব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার। এ দিন জেলার ২০টি ব্লকে ৯০টি জলপ্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে জাপানি ঋণদানকারী সংস্থার বদলে এডিবি-র টাকায় কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত ১০.২০ নাগাদ ট্রেন থেকে নেমে সার্কিট হাউজে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বেলা ২টো নাগাদ পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে জেলাস্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব দফতরের সচিব ও আমলারা। ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মুকুল রায়, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৩৬ জন সচিব। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলার সব প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার রিমোটের মাধ্যমে ৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে আগরপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, হুড়াই পথসাথী অতিথিনিবাস, কেন্দা ও হাতুড়ির বিদ্যুৎ সাব স্টেশন, সিধু-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ভবন, জয়চণ্ডী পাহাড়ে যুব আবাস। এ দিন জয়পুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বারোদ্ঘাটনও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।