ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন জায়ান্ট স্ক্রিনে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সন্ধ্যায় মমতা জানিয়েছেন, মানুষের জীবন রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই তিনি স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সারা রাত নবান্নে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন, এবং তিনি নিজে কন্ট্রোল রুমে থেকে সমস্ত কাজে সমন্বয় রাখবেন। তাঁর অফিসের কাজও কন্ট্রোল রুম থেকে করবেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করবেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকায়। এই দুই জেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও কাছে, নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা—এই পাঁচজন মন্ত্রীকে রাজ্যের পাঁচটি পৃথক অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য।