রাজ্য
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
বিজেপি-তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে ফেলে নিশানা ব্রিগেডের সমাবেশ মঞ্চ থেকে।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ব্রিগেডের মাঠে ‘বৃহত্তম’ সমাবেশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বামফ্রন্ট। ভোটের বাংলায় রাজ্য-রাজনীতির নজর এখন বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশে। দেখে নেওয়া যাক, ধারাবাহিক কিছু ঘটনার ঝলক-
সিপিএম নেত্রী দেবলীমা হেমব্রম বলেন, “মানুষকে এরা ভুল বোঝাচ্ছে। বিভেদের রাজনীতি কায়েম করছে। ভোটের সময় এখানে এসে টোপ ফেলছে। ঠিক যেমন পুকুর-ডোবা থেকে আমরা ছিপ দিয়ে মাছ ধরি, তেমনই বিজেপির নেতারা এখানে এসে টোপ পড়ছেন। আদিবাসী, দলিতদের বাড়িতে যাচ্ছেন, ভাত খাচ্ছেন। বিজেপির সঙ্গে কে ঘর করেছে, আমরা ভুলিনি। বিজেপি বলছে সোনার বাংলা গড়বে। কিন্তু তৃণমূল থেকে বিজেপি আর বিজেপি থেকে তৃণমূল হচ্ছে”।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমরা বলি, লাঙল যার, জমি তার। আর এখন কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, কালো টাকা যার, জমি তার। শুধু নীল-সাদা রং করে দিলেই উন্নয়ন হয় না। এখানে দিদির লুঠ, আর দিল্লিতে মোদীর লুঠ। লুঠেরা কখনও লুঠেরাকে ধরে না। মোটাভাই বলছেন, তৃণমূলে কত কামাও? কুছ পরোয়া নেহি। নোটবন্দির টাকা আছে, ইলেকটোরাল বন্ডের টাকা আছে, যত খুশি লুঠে নাও। কোনো সমস্যা যাতে না হয় চাটার্ড বিমান পাঠিয়ে দিল্লি নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমাদের এখানে সিবিআই-সিবিআই খেলা হচ্ছে। এখন দেখা যাক, আমাদের ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হওয়ার পর সিবিআই কাকে ধরতে যায়। চিটফান্ডের মাধ্যমে টাকা লুঠ করেছে। গরিব মানুষের টাকা কড়ায় গণ্ডায় ফেরত হবে। সেটা শান্তিনিকেতন বাড়ি নিলাম করে হলেও আমরা টাকা ফেরত দেব”।
সিপিএম সাধরণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “ব্রিগেডের সমাবেশ বোঝাচ্ছে, বাংলায় পরিবর্তন আনবে এই সংযুক্ত মোর্চা। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন চলছে, অনেকে শহিদ হয়েছেন, কিন্তু মোদীর ভ্রূক্ষেপ নেই। বাংলা থেকে তৃণমূলকে হঠাতে হবে। ইলেকটোরাল বন্ডের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে বিজেপি। বিজেপিকে কারা এত অর্থসাহায্য করছে জানা নেই। রাজনীতির সওদা করার জন্যে এই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যে সারদা, নারদা হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল একই”।
আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “২০২১-এ আমরা মমতাকে জিরো পাইয়ে দেখিয়ে দেব। ধর্ষণের জন্য ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছেন মমতা। আগামী দিন বিজেপি সরকার এবং তার বি-টিম মমতা সরকারকে বাংলা থেকে উৎখাত করব। আসম সমঝোতা আরও ১ সপ্তাহ আগে হলে আরও লোক জড়ো করতে পারতাম। আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই, কারণ দিদির হাত থেকে ক্ষমতা এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে গিয়েছে। আমরাই বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাব। সবার হাতে কাজ দেব, সবার জন্য খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, বস্ত্রের ব্যবস্থা করব। যেখানে যেখানে বাম শরিক দল প্রার্থী রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে জেতাতে হবে”।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “এত বড়ো সভায় বক্তব্য রাখবার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম। তাই স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা, উচ্ছাস আছেই। যারা আগামী নির্বাচনকে তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াই বলে চালাতে চাইছে, তাদের মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে এই সমাবেশ। তৃণমূল বনাম বিজেপি নয়, তাদের থেকে আরও উপরে রয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। আগামী দিনে তৃণমূল-বিজেপি থাকবে না। গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় এসে এঁরা গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছেন, দিল্লিতে মোদী বলেন, বিরোধী শূন্য চাই, এখানে দিদিও তাই বলেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা দেখে যান মোর্চার ক্ষমতা”।
আরএসপি রাজ্য সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, “এখন খুব শোনা যাচ্ছে- খেলা হবে। খেলা-মেলা হবে না, মানুষের জয় হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ফ্যাসিবাদী। মানুষে-মানুষে বিভাজন করছে। আমাদের লড়াই মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার লড়াই। মানুষ বাঁচার জন্য লড়াই করছেন, মানুষ মরছে আর ময়ূরকে দানা খাওয়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই, এই লড়াই আমরাই জিতব, কারণ মানুষের আমাদের সঙ্গে রয়েছেন”।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “আমাদের বিকল্প নিয়েই মানুষের কাছে আমাদের যেতে হবে। কারা খিস্তি-খেউর করছে, সে দিকে আমাদের দেখার নেই। জাত-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ নিপীড়িত হচ্ছেন। তাঁদের কাছেই আমাদের পৌঁছে যেতে হবে। রাজনীতিতে এখন তরজা গান চলছে। এক জনই এক বার এ পক্ষের হয়ে গাইছে, আর ও পক্ষের হয়েও গাইছে। এই তরজার গান লিখে দেওয়া হয়েছে উপর থেকে। যাতে মোরগ-মোরগ লড়াই হয়, আর তারা হাড়গোড় চিবিয়ে খেতে পারে। আসল শোষণ-বঞ্চনাকে চাপা দেওয়ার জন্যই তাদের এই কৌশল। আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধেই। রাজ্যে শিল্পের প্রসার চাই। সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। আমাদের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। আজকের পর থেকে এক দিকে তৃণমূল-বিজেপি, আর অন্যদিকে থাকব আমরা সবাই”।
বেলা ১টায় শুরু হল নেতৃত্বের বক্তৃতা। মঞ্চে রয়েছেন বিমান বসু, সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, আবদুল মান্না, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরীর-সহ অন্যান্য বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ নেতৃত্ব। রয়েছেন,ঐশী-সৃজনের মতো তরুণ নেতৃত্বও। চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র এবং শ্রীলেখা মিত্রের মতো বিদ্বজ্জনেরাও উপস্থিত মঞ্চে।
বেলা যত গড়াচ্ছে, ততই ভরে উঠছে ব্রিগেড। এই সমাবেশ থেকেই ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। সকাল ১০টা থেকেই কর্মী, সমর্থকদের গাড়ির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
শনিবার থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছিলেন বাম-কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। রবিবার সকাল থেকেই জনস্রোত ব্রিগেডমুখী।
কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন বাম নেতৃত্ব। আজ সেখানে থাকছে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির রাজনৈতিক দল আইএসএফ-এর কর্মীরাও। বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে ব্রিগেড চত্বর।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু গতকাল বলেন, রবিবারের ব্রিগেড ১৯৫৫ সালের ক্রুশ্চেভ-বুলগানিন-জওহরলালদের সভাকে ছাপিয়ে যেতে পারে। বামেদের তরফের খবর প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষের জমায়েত এবারের ব্রিগেডে দেখা যাবে। এ দিন সকাল থেকেই তার কিছুটা হলেও ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। হাওড়া স্টেশনে নেমে ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন বাম-কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা।
রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত শহরের ভিতরে সমস্ত রকম পণ্যবাহী লরি চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর-সহ ময়দান সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্তের জেলা থেকে আকাশবাণীর সামনে ময়দানে আসতে শুরু করেছে একাধিক বাস। সেখান থেকে হেঁটে ব্রিগেডের দিকে রওনা দিতে শুরু করেছেন বাম-কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা।
হাওড়া স্টেশন চত্বরে বামেদের তরফে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। সেখানে নাম নথিভুক্ত করছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা।
আপডেট দেখুন: খবর অনলাইন
আরও দেখতে পারেন: জনসমাগমে সব রেকর্ডকে ভেঙে দেবে এবারের ব্রিগেড, দাবি বিমান বসুর
রাজ্য
Bengal Polls 2021: পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ শনিবার, দেখে নিন ৪৫ কেন্দ্রে কোন দলের প্রার্থী কে
১৭ এপ্রিল রাজ্যের ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট, এক নজরে দেখে নিন সেখানকার প্রার্থীতালিকা-


খবর অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) পঞ্চম ধাপে ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ শনিবার। এই পর্বে রাজ্যের ৬টি জেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে, চার ধাপের ভোটে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন ভোটাররা।
পঞ্চম দফা (১৭ এপ্রিল)
তৃণমূল, বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চার (বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, আইএসএফ জোট) প্রার্থী ছাড়া অন্য দল এবং নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন। নীচে শুধু মাত্র তিনটি* দলের প্রার্থীর নামের তালিকা উল্লেখ করা হল।
১. ধুপগুড়ি: মিতালী রায় (তৃণমূল), বিষ্ণুপদ রায় (বিজেপি), প্রদীপকুমার রায় (সিপিএম)
২. ময়নাগুড়ি: মনোজ রায় (তৃণমূল), কৌশিক রায় (বিজেপি), নরেশচন্দ্র রায় (আরএসপি)
৩. জলপাইগুড়ি: প্রদীপকুমার বর্মা (তৃণমূল), সুজিত সিংহ (বিজেপি), সুখবিলাস বর্মা (কংগ্রেস)
৪. রাজগঞ্জ: খগেশ্বর রায় (তৃণমূল), সুপেন রায় (বিজেপি), রতন রায় (সিপিএম)
৫. ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি: গৌতম দেব (তৃণমূল), শিখা চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), দিলীপ সিং (সিপিএম)
৬. মাল: বুলুচিক বড়াইক (তৃণমূল), মহেশ বাগে (বিজেপি), মনু ওরাওঁ (সিপিএম)
৭. নাগরাকাটা: জোসেফ মুন্ডা (তৃণমূল), পুনা ভেংরা (বিজেপি), সুখবীর সুব্বা (কংগ্রেস)
৮. কালিম্পং*: রাম বাহাদুর ভুজেল (জিজেএম/ গুরুং), রুডেন সদা লেপচা (জিজেএম/তামাং), সুভ প্রধান (বিজেপি), দিলীপ প্রধান (কংগ্রেস)
৯. দার্জিলিং*: প্রেম্বা শেরিং (জিজেএম/ গুরুং), কেশবরাজ শর্মা (জিজেএম/তামাং), নীরজ জিম্বা (বিজেপি), গৌতম রাজ রাই (সিপিএম)
১০. কার্শিয়াং*: নরবু লামা (জিজেএম/ গুরুং), শেরিং লামা দাহাল (জিজেএম/তামাং), বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (বিজেপি), উত্তম ব্রাহ্মণ (সিপিএম)
১১. মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি: রজন সুনদাস (তৃণমূল), আনন্দময় বর্মন (বিজেপি), শঙ্কর মালাকার (কংগ্রেস)
১২. শিলিগুড়ি: ওমপ্রকাশ মিশ্র (তৃণমূল), শঙ্কর ঘোষ (বিজেপি), অশোক ভট্টাচার্য (সিপিএম)
১৩. ফাঁসিদেওয়া: ছোটন কিস্কু (তৃণমূল), দুর্গা মুর্মু (বিজেপি), সুনীলচন্দ্র তিরকে (কংগ্রেস)
১৪. শান্তিপুর: অজয় দে (তৃণমূল), জগন্নাথ সরকার (বিজেপি), ঋজু ঘোষাল (কংগ্রেস)
১৫. রানাঘাট উত্তর পশ্চিম: শঙ্কর সিংহ (তৃণমূল), পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), বিজয়েন্দু বিশ্বাস (কংগ্রেস)
১৬. কৃষ্ণগঞ্জ: তাপস মণ্ডল (তৃণমূল), আশিসকুমার বিশ্বাস (বিজেপি), অনুপ মণ্ডল (আরএসএমপি)
১৭. রানাঘাট উত্তর পূর্ব: সমীরকুমার পোদ্দার (তৃণমূল), অসীম বিশ্বাস (বিজেপি), দীনেশচন্দ্র বিশ্বাস (আরএসএমপি)
১৮. রানাঘাট দক্ষিণ: বর্ণালী দে (তৃণমূল), মুকুটমণি অধিকারী (বিজেপি), রমা বিশ্বাস (সিপিএম)
১৯. চাকদহ: শুভঙ্কর সিংহ (তৃণমূল), বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ (বিজেপি), নারায়ণ দাশগুপ্ত (সিপিএম)
২০. কল্যাণী: অনিরুদ্ধ বিশ্বাস (তৃণমূল), অম্বিকা রায় (বিজেপি), সবুজ দাস (সিপিএম)
২১. হরিণঘাটা: নীলিমা নাগ মল্লিক (তৃণমূল), অসীম সরকার (বিজেপি), অলোকেশ দাস (সিপিএম)
২২. পানিহাটি: নির্মল ঘোষ (তৃণমূল), সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি), তাপস মজুমদার (কংগ্রেস)
২৩. কামারহাটি: মদন মিত্র (তৃণমূল), অনিন্দ্য রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি), সায়নদীপ মিত্র (সিপিএম)
২৪. বরানগর: তাপস রায় (তৃণমূল), পার্নো মিত্র (বিজেপি), অমলকুমার মুখোপাধ্যায় (কংগ্রেস)
২৫. দমদম: ব্রাত্য বসু (তৃণমূল), বিমলশঙ্কর নন্দ (বিজেপি), পলাশ দাস (সিপিএম)
২৬. রাজারহাট নিউটাউন: তাপস চট্টোপাধ্যায় (তৃণমূল), ভাস্কর রায় (বিজেপি), সপ্তর্ষি দেব (সিপিএম)
২৭. বিধাননগর: সুজিত বসু (তৃণমূল), সব্যসাচী দত্ত (বিজেপি), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (কংগ্রেস)
২৮. রাজারহাট গোপালপুর: অদিতি মুন্সি (তৃণমূল), শমীক ভট্টাচার্য (বিজেপি), শুভজিৎ দাশগুপ্ত (সিপিএম)
২৯. মধ্যমগ্রাম: রথীন ঘোষ (তৃণমূল), রাজশ্রী রাজবংশী (বিজেপি), বিশ্বজিৎ মাইতি (আরএসএমপি)
৩০. বারাসত: চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (তৃণমূল), শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় (ফব)
৩১. দেগঙ্গা: রহিমা মণ্ডল (তৃণমূল), দিপীকা চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), করিম আলি (আরএসএমপি)
৩২. হাড়োয়া: হাজি শেখ নুরুল ইসলাম (তৃণমূল), রাজেন্দ্র সাহা (বিজেপি), কুতুবুদ্দিন ফতেহি (আরএসএমপি)
৩৩. মিনাখাঁ: ঊষারানি মণ্ডল (তৃণমূল), জয়ন্ত মণ্ডল (বিজেপি), প্রদ্যোৎ রায় (সিপিএম)
৩৪. সন্দেশখালি: সুকুমার মাহাতো (তৃণমূল), ভাস্কর সরদার (বিজেপি), বরুণ মাহাতো (আরএসএমপি)
৩৫. বসিরহাট দক্ষিণ: সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল), তারকনাথ ঘোষ (বিজেপি), অমিত মজুমদার (কংগ্রেস)
৩৬. বসিরহাট উত্তর: রফিকুল ইসলাম মণ্ডল (তৃণমূল), নারায়ণ মণ্ডল (বিজেপি), বাইজিদ আমিন (আরএসএমপি)
৩৭. হিঙ্গলগঞ্জ: দেবেশ মণ্ডল (তৃণমূল), নিমাই দাস (বিজেপি), রঞ্জন মণ্ডল (সিপিআই)
৩৮. খণ্ডঘোষ: নবীনচন্দ্র বাগ (তৃণমূল), বিজন মণ্ডল (বিজেপি). অসীমা রায় (সিপিএম)
৩৯. বর্ধমান দক্ষিণ: খোকন দাস (তৃণমূল), সন্দীপ নন্দী (বিজেপি), পৃথা তা (সিপিএম)
৪০. রায়না: শম্পা ধাড়া (তৃণমূল), মানিক রায় (বিজেপি), বাসুদেব খাঁ (সিপিএম)
৪১. জামালপুর: অলোককুমার মাঝি (তৃণমূল), বলরাম ব্যাপারী (বিজেপি), সমর হাজরা (এমএফবি)
৪২. মন্তেশ্বর: সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (তৃণমূল), সৈতক পাঁজা (বিজেপি), অনুপম ঘোষ (সিপিএম)
৪৩. কালনা: দেবপ্রসাদ বাগ (তৃণমূল), বিশ্বজিৎ কুণ্ডু (বিজেপি), নীরব খাঁ (সিপিএম)
৪৪. মেমারি: মধুসূদন ভট্টাচার্য (তৃণমূল), ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য (বিজেপি), সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (সিপিএম)
৪৫. বর্ধমান উত্তর: নিশীথকুমার মালিক (তৃণমূল), রাধাকান্ত রায় (বিজেপি), চণ্ডীচরণ লেট (সিপিএম)
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শনিবার, দেখে নিন ৪৪ কেন্দ্রে কোন দলের প্রার্থী কে
রাজ্য
নজরে কোভিড পরিস্থিতি, ভোটের প্রচারে বড়ো জমায়েত নিয়ে বামফ্রন্টের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত
আপাতত বড়োসড়ো জমায়েত বা রোড শো নয়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে শেষ তিন দফার ভোটের প্রচার নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। বুধবার আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে তোপ দেগে সেলিম এ দিন জানান, “বামফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত বড়োসড়ো জমায়েত বা রোড শো করা হবে না। অল্প সংখ্যক কর্মী-সমর্থককে নিয়ে ছোটো ছোটো সভা করা হবে। প্রার্থী-সহ হাতে গোনা কয়েক জন যাবেন বাড়ি বাড়ি প্রচারে”।
পাশাপাশি নেটমাধ্যম ব্যবহার করেও প্রচারে আরও জোর দেবে বামফ্রন্ট। যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো সমস্যা থাকছে না। সেলিম বলেন, “যেখানে যেখানে ভোট হয়ে গিয়েছে অথবা হবে সেই সমস্ত জায়গায় আমরা গত এক বছর ধরে আমরা পরিষেবা দিয়ে আসছি। এখন একই ভাবে আমরা তা চালিয়ে যাব। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বাস্তব পরিস্থিতি মেনে সবাইকে সচেতন করা এবং অসহায় মানুষের কাছে যাওয়া, মানুষের হক নিয়ে লড়াই করা। রেশন ও খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজ করব”।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সরকারকে নিশানায় রেখে সেলিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর করোনা মোকাবিলায় জোর দেওয়া উচিত। কিন্তু দু’ জনই এখন মেরুকরণের রাজনীতিতে ব্যস্ত। ভোট রাজনীতি করতে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছেন। এমনকি ভ্যাকসিন নিয়েও দুই সরকার উদাসীন”।
আগামী শনিবার রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোট। ৭২ ঘণ্টা আগে ভোটপ্রচার বন্ধ হয়েছে বুধবার। বাকি তিন দফার প্রচারে সামাজিক দূরত্ব মেনে, নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এবং ছোটো ছোটো বৈঠক করেও প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাম নেতৃত্ব।
আরও পড়তে পারেন: ফের লকডাউনের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত অভিবাসী শ্রমিকরা, কন্ট্রোল রুমে ফোনের পর ফোন ঝাড়খণ্ডে
রাজ্য
Bengal Corona: ভয়াবহ পরিস্থিতি! একদিনেই আক্রান্ত প্রায় ছ’হাজার
সাধারণ মানুষের একটা বড়ো অংশ নির্লজ্জের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে কোনো ভাবেই তাঁরা মাস্ক পরবেন না। ফলে বাংলাকে আগামী দিনে আরও ভুগতেই হবে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। রাজ্যে প্রথম বার দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজার ছাড়াল, কিন্তু সেটা এক ধাক্কায় ৬ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হল এক দিনে রাজ্যে সক্রিয় রোগী বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি। অন্যান্য দিন রাজ্যের কোভিডতথ্যে খুঁজে পেতে তাও কিছু ইতিবাচক ব্যাপার দেখা যায়। কিন্তু বুধবারের রিপোর্টে সে সব কিছুই দেখা গেল না।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৮৬২ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ১১৬।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,২৯৭ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। ফলত এ দিন মৃত্যুহার ছিল ০.৪০ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১০ হাজার ৪৫৮ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩২ হাজার ৬২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৫৭১ জন সক্রিয় রোগী বেড়েছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৩.১৬ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার সাড়ে ১৩ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৬৩টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১৩.৫৫ শতাংশ। গত বছর জুলাইয়ে একটা সময়ে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। এ বার করোনার ঢেউ সেই রেকর্ডকে ভেঙে দেয় কি না, সেটাই দেখার।
রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হার বর্তমানে রয়েছে ৬.৫৪ শতাংশ। শনিবার পর্যন্ত মোট ৯৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৪১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
কিছুটা নিশ্চিন্তের ব্যাপার হল গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কোভিডরোগীদের জন্য নির্ধারিত বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৫,৬০৪ থেকে বর্তমানে রাজ্যে কোভিড-শয্যার সংখ্যা ৭,৪২৮। স্বাভাবিক ভাবেই ভরতি হওয়া বেডের শতাংশও কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ৩২.১৫ শতাংশ বেড ভরতি রয়েছে।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড করেই চলেছে। কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত ১,৬০১ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১,২৭৭ জন। এই দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬২০ এবং ৫৪৬ জন। দুই জেলাতেই ৭ জন করে কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৩, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৮৭। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৯,৩৮০ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৭,২৭০। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১৭৫ এবং ২,৫৬৭ জনের।
রাজ্যের বাকি জেলার চিত্র
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণচিত্র দেখে মনে হচ্ছে কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি কলকাতার থেকেও খারাপ। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের জেলাগুলিতে বেশি পরিমাণে টেস্ট হয় না। সব থেকে বেশি টেস্ট কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণাতেই হয়। কিন্তু বেশি টেস্ট না হওয়া সত্ত্বেও ওই কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের যা তথ্য সামনে এসেছে, তা রীতিমতো ভয়ের।
রাজ্যে বাকি ২১টি জেলায় সংক্রমণ কেমন ছিল, তার তালিকা দেওয়া হল নীচে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে এ দিন কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য দেওয়া হল ব্র্যাকেটে।
১) দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৩৩৭)
২) হাওড়া (৩৩০)
৩) বীরভূম (৩২৯)
৪) হুগলি (২৮৯)
৫) পশ্চিম বর্ধমান (২৫৩)
৬) মালদা (২৪৯)
৭) মুর্শিদাবাদ (১৭০)
৮) নদিয়া (১৬৮)
৯) পূর্ব বর্ধমান (১৬২)
১০) পুরুলিয়া (১২৫)
১১) দার্জিলিং (১০৯)
১২) জলপাইগুড়ি (৯৮)
১৩) পূর্ব মেদিনীপুর (৮৫)
১৪) পশ্চিম মেদিনীপুর (৮১)
১৫) উত্তর দিনাজপুর (৮০)
১৬) বাঁকুড়া (৪৯)
১৭) দক্ষিণ দিনাজপুর (৪০)
১৮) কোচবিহার (২২)
১৯) কালিম্পং (১৪)
২০) ঝাড়গ্রাম (১২)
২১) আলিপুরদুয়ার (১২)
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের