খবর অনলাইনডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বাম আন্দোলনের ইতিহাসে সত্যি করেই এক নতুন ইতিহাস তৈরি হল। পাঁচ দশকে এই প্রথম নির্বাচনী মঞ্চে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য সওয়াল করলেন সিপিএম এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন নেতৃত্ব। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লিবারেশনকে সমর্থন করছে সিপিএম এবং বামফ্রন্ট। লিবারেশন প্রার্থী দেবজ্যোতি মজুমদারের সমর্থনে বুধবার বামেদের সভায় উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্বও।
লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নৈহাটির সভায় বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এই প্রথম বাম আন্দোলনের নতুন মোড়। যা ইতিবাচক ও ঐতিহাসিক। রাজ্যে এক ক্ষমতাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। আর জি কর আন্দোলনে নাগরিক সমাজের গণ-জাগরণের এক ধারাবাহিকতা ফুটে উঠেছে। এই পরিমণ্ডলে এক ঐতিহাসিক মোড় ঐক্যবদ্ধ বাম জোটের প্রার্থী। দেশ জুড়ে বামপন্থার পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, লুঠতন্ত্র, অপশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাম আন্দোলনই বিকল্প গড়ে তুলবে।’’
দীপঙ্করের বক্তব্যকে সমর্থন করে সেলিম বলেন, ‘‘এক দিকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি, অন্য দিকে রাজ্যে সিন্ডিকেট-রাজ, হুমকি-প্রথা, দুর্নীতি – এ সবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। রাজ্যে ৫৫ বছর পরে এই প্রথম আমরা আর লিবারেশন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ালাম নির্বাচনে। সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।’’ বক্তা ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি-র মিহির পাল, সিপিএমের জেলা নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়, লিবারেশনের জয়তু দেশমুখ প্রমুখ।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভাগাভাগি করে প্রচারে যাবেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। মেদিনীপুরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কর্মসূচির পরে আগামী ৯ নভেম্বর যাওয়ার কথা রাজ্য সম্পাদক সেলিমের। মেদিনীপুর থেকে ফিরে হাড়োয়া ও নৈহাটিতে প্রচার-সূচি রয়েছে সুজনের। তালড্যাংরায় ইতিমধ্যেই গিয়েছেন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।