শ্রয়ণ সেন
রবিবার দুপুর থেকে কলকাতা ও তার সংলগ্ন অঞ্চল এবং দুই ২৪ পরগনায় যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাওয়ার দাপট। হাওয়া ক্রমশ ঝড়ে রূপ নিতে চলেছে।
এখন রাত প্রায় ১২টা। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর রবিবার রাত সওয়া ৯টার রিপোর্টে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটি চলবে চার ঘণ্টা ধরে।

উড়ানের অনিশ্চয়তা। কলকাতা বিমানবন্দর। ছবি: রাজীব বসু
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রাত সওয়া ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল। তার অবস্থান ছিল ক্যানিং থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে, বাংলাদেশের মোংলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে।

ঢেউয়ে মাতাল গঙ্গা। বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে। ছবি: রাজীব বসু
কোথাও লাল, কোথাও হলুদ সতর্কতা
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার এবং সোমবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায়। এই সব জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা। ছবি: রাজীব বসু।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে মাঝারি এবং মাঝেমধ্যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই সব জেলার কোথাও কোথাও কমলা সতর্কতা এবং কোথাও কোথাও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছ।২৭ এবং ২৮ তারিখ উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোচবিহার আর আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়ার সম্ভাব্য গতিবেগ
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭ সকাল পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ উঠতে পারে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো। নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।