দার্জিলিং
রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান
পাহাড়ে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক মান্নানের। নয়া সমীকরণের নতুন ইঙ্গিত?

খবর অনলাইন ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার সকালে সেখানেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan)।
এমনিতে ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। তাঁর আচরণে যারপরনাই অখুশি রাজ্যের শাসক দল। একের পর টুইটে ধানখড় যে ভাবে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সমালোচনা করেন, তাতে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস নেতার বৈঠক বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
জানা যায়, দলের কাজে পাহাড়ে গিয়েছেন মান্নান। সূত্রের খবর, এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রাতরাশে যোগ দিয়ে তাঁরা দীর্ঘ আলোচনাও করেন। তবে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়েই কোনো পক্ষই কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিজিটাল আনন্দবাজারের কাছে মান্নান বলেন, “আমি দলের কাজে দার্জিলিংয়ে এসেছি। রাজ্যপাল যেহেতু এখানেই আছেন, তাই বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি। এর অন্য কোনও তাৎপর্য নেই”।
যদিও রাজনৈতিক মহল বিষয়টিকে এতটা হালকা ভাবে নিতে চাইছে না। আগামী বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যে ভাবে জোট গড়ার দিকে এগোচ্ছে, তাতে মান্নানের এই পদক্ষেপে শাসক দলের বাড়তি অস্বস্তি সৃষ্টির ইঙ্গিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস সূত্রে খবর, এক সময় দার্জিলিং পাহাড়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রভাব ছিল যথেষ্ট। কিন্তু বিজেপির উত্থানের সঙ্গেই সেই প্রভাব খর্ব হয়েছে। ইদানীং মোর্চার একটা অংশের হাত ধরে তৃণমূলের তরফেও পাহাড়ে ‘আধিপত্য’ বিস্তারের চেষ্টা চলছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতেই পাহাড়ে গিয়েছেন মান্নান। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্যমূলক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-বাম জোট প্রস্তুতি শুরুর মুখেই কয়েক দিন আগেই ফুরফুরা শরিফ অভিযান করেন মান্নান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhry)। হুগলির পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সাক্ষাৎ না পেয়ে তাঁর তুতো ভাই ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনা করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়তে পারেন: ২১-এর লক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
দার্জিলিং
ঘন কুয়াশায় মুখ লুকিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, মন খারাপ দার্জিলিংয়ের
জানুয়ারিতেও সে ভাবে শীতের দেখা নেই দার্জিলিংয়ে।

নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিং: “এতদিন পর দার্জিলিং এলাম। ভেবেছিলাম ম্যাল থেকে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখব। কিন্তু কোথায় কী…”
হতাশার সুর শকুন্তলা বসু সাহার গলায়। স্বামী হিমাংশু সাহাকে নিয়ে দার্জিলিং বেড়াতে এসেছেন ষাটোর্ধ এই প্রৌঢ়া। বছর কুড়ি আগে শেষ বার যখন দার্জিলিং এসেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরিয়ে দিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু এ বার এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা তিনি ভাবতেই পারেননি।
জুন-জুলাইয়ে এ রকম কুয়াশা মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু জানুয়ারিতে এমন আবহাওয়া থাকবে দার্জিলিংয়ে, সেটা শুধু শকুন্তলাদেবীই নন, দার্জিলিংয়ের ম্যালে ঘুরে বেড়ানো বেশিরভাগ পর্যটকই ভাবতে পারছেন না।
কোভিডের আতঙ্ক কাটিয়ে দার্জিলিং এখন জমজমাট। অফ-সিজন হয়ে গেলেও ম্যাল, কেভেন্টার্স, গ্লেনারিজে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা অনেকেই করছেন না, সেটা যেমন ঠিক, আবার এটাও ঠিক যে সব ধরনের বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার মতো মানুষজনও রয়েছেন।
কিন্তু সবাই মোটামুটি হতাশ দার্জিলিংয়ের আবহাওয়াটা দেখে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও আবহাওয়া এক্কেবারে পরিষ্কার ছিল। দু’তিন দিন হল কুয়াশার আস্তরনে ঢেকে গিয়েছে পাহাড়। আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি এখনও না হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তার সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে।
আর শীত? দার্জিলিংবাসীই বলছেন জানুয়ারিতে এই রকম ‘উষ্ণ’ শীত খুব একটা দেখা যায় না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে এখন। দিল্লিতেও এর থেকে ঠান্ডা অনেক বেশি।
এমন কি এই মরশুমেই দক্ষিণবঙ্গের পানাগড় এবং পুরুলিয়ার তাপমাত্রা দার্জিলিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে। এই পারদের কারণেই আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
শকুন্তলাদেবীদের মতো বাকি পর্যটকদেরও আশা, সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা না গেলেও, অন্তত মঙ্গলবার বা বুধবার তার দেখা পাওয়া যাবে। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
১৩ বছরে উষ্ণতম জানুয়ারি, তবে ৪৮ ঘণ্টায় ফিরছে শীত
আলিপুরদুয়ার
একই দিনে সভা বিমল গুরুং, বিনয় তামাংয়ের, দু’জনেরই আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি
পাহাড়ের রাজনীতিতে ফের নতুন করে নাটক।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: তিন বছর ধরে আত্মগোপন করে থাকার পর ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছেন বিমল গুরুং। এখনও পাহাড়ে উঠতে না পারলেও সমতলে একাধিক সভা করছেন তিনি। অন্য দিকে বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তাঁর চরম বিরোধী বিনয় তামাংও।
রবিবার উত্তরবঙ্গের সমতলের দুই প্রান্তে দু’টি সভা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা। এবং সরাসরি, দু’জনেরই টার্গেট কিন্তু কেন্দ্রের শাসক বিজেপি। সব মিলিয়ে পাহাড়ের রাজনীতি ফের নতুন করে নাটক তৈরি করছে।
ইন্দো-ভুটান, ইন্দো-নেপাল চুক্তি বাতিলের দাবি বিনয়ের
শিলিগুড়ির কাছে সুকনায় সভা করেন বিনয়। সেখানে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেও দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়। তাঁর হুঁশিয়ারি, “আপনাদের সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সমাধান করুন। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিনয়ের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বার পাহাড়ের গোর্খাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও কেন্দ্র সেটা শোনেনি। ইন্দো-নেপাল এবং ইন্দো-ভুটান চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার দাবিও তোলেন বিনয়। তাঁর কথায়, “ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠাব।”
মমতা কথা রাখতে জানেন, বললেন গুরুং
অন্য দিকে, বীরপাড়ার সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার বার্তা দেন বিমল গুরুং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানান।
সভায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকেই বিঁধেছেন তিনি। বলেন, “পঞ্চায়েতে বিজেপিকে জেতালাম, বিধানসভায় জেতালাম, লোকসভায় জেতালাম। কিন্তু আমাদের কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বলেছিলেন আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কিছুই করেননি।”
মমতা স্তুতি করে গুরুং বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে রাখতে জানেন। তাই তাঁর হাত ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাব।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আন্দোলন আরও তীব্র, অনশন শুরু কৃষকদের
দার্জিলিং
বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র শিলিগুড়ি
এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিজেপির (BJP) উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিলিগুড়ি। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এই সংঘর্ষে এক কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
সোমবার বেলা একটু বাড়তেই বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা জড়ো হন উত্তরকন্যা অভিযানে অংশ নিতে। আগে থেকেই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের শীর্ষ নেতারা। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি মোড় থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু। বাকি দু’টি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়।
অভিযান আটকাতে শহরের তিনবাতি মোড়ে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। বেলা ২টো নাগাদ আচমকা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। পুলিশ-বিজেপি কর্মী ধস্তাধস্তিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। তিনবাতি মোড়ের কাছে রাস্তায় বসে পড়েন যুব মোর্চার কর্মীরা।
পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বিজেপির যুব মোর্চা।
এর পরই বিক্ষোভকারীদের হটাতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। পালটা ইট বৃষ্টি করে বিজেপির কর্মীরা। জলকামান ব্যবহার করেও বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জখম হন বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ও বিজেপি কর্মী, পুলিশকর্মী। কাঁদানে গ্যাসের শেলেই এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি।
এর পর ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ময়দানে নামে মহিলা মোর্চার কর্মীরা। খুলে দেন ব্যারিকেডের দড়ি। সেই সময় ফের জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। জলের মুখে পিছু হটে বিজেপি কর্মীরা। প্রায় একঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের আবহ থাকার পর বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে চাপা উত্তেজনা এখনও রয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪