কালিম্পং
পুজোর আগে পাহাড়ে পর্যটন চালু করতে চাইছে জিটিএ
গত জুন মাস থেকেই পাহাড়ের পর্যটন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিটিএ। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন পাহাড়বাসীরাই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের (Lockdown) কারণে ব্যাবসা লাটে উঠেছে। যে পাহাড়ের অর্থনীতির একটা বিশাল বড়ো স্তম্ভ পর্যটন, সেই পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় স্থানীয় মানুষজনের রুজিরুটিতে টান পড়তে শুরু করেছে।
অসুস্থ হলে চিকিৎসায় সেরে ওঠা যাবে, কিন্তু এ ভাবে ব্যবসা মার খেলে তো খাদ্য সংকট দেখা দেবে, যা কোভিডের (Covid 19) থেকেও ভয়াবহ। ঠিক সেই কারণেই এ বার অন্য রকম চিন্তাভাবনা শুরু করছে পাহাড়। আর পর্যটন বন্ধ করে রাখা নয়, পুজোর আগেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে পাহাড়।
পাহাড়ের বাসিন্দাদের বড়ো অংশই যে পর্যটন চালু করার পক্ষে, সেটা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর আধিকারিকদেরও কানে পৌঁছেছে। আর তাই পাহাড়ের হোটেল মালিক আর পর্যটন ব্যবসার সব অংশীদারের সঙ্গে আগামী রবিবার দার্জিলিংয়ের জিমখানা ক্লাবে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা।
জিটিএ (GTA)-এর এই বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল উত্তরবঙ্গ সংবাদকে জানিয়েছেন, “পর্যটন শুরু করার ব্যাপারে আমরা কিছু প্রস্তাব রবিবারের বৈঠকে দেব। ধীরগতিতে হলেও পাহাড়ের পর্যটন ফিরুক।”
অন্য দিকে দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঙ্গে ছেরিং বলেন, “পুজোয় পর্যটনে কিছুটা হলেও পুরোনো ছবি দেখা যাবে বলে আশা করছি।”
উল্লেখ্য, গত জুন মাস থেকেই পাহাড়ের পর্যটন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিটিএ। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন পাহাড়বাসীরাই। তাঁদের যুক্তি ছিল পর্যটক এলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে আর পাহাড়বাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কিন্তু করোনা যে সহজে যাওয়ার নয়, সেটা এখন বুঝতে পারছেন অনেকেই। তা বলে দীর্ঘদিন ব্যবসাপত্তর লাটে উঠিয়ে দিলে পরিস্থিতি কোভিডের থেকেও ভয়াবহ হয়ে উঠবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ের মানুষই যে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে চাইছেন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জিটিএ-এর চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তবে পর্যটন ফিরলে পাহাড়ে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করলেও ‘দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেলার্স এজেন্ট’-এর সম্পাদক প্রদীপ লামা মনে করেন, যত দিন না ট্রেন চালু হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।
জিটিএ সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাহাড়ে পর্যটকদের স্বাগত জানানো যায় কি না, সেই ব্যাপারে আলোচনা হবে রবিবারের বৈঠকে।
কালিম্পং
মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjunga)। কোভিডের (Covid 19) আবহেও এই ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা। অনেক দিন পর এই ছবি দেখে খুশি স্থানীয়রাও।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগেই। কিন্তু কিছুতেই মেঘ সরছিল না উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে। এমনকি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। অবশেষে সেই মেঘ আর বৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু সে দিন পর্যটকদের মন ভরেনি। কারণ সকালের দিকে তাকে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়েছিল সে। তবে বুধবার সকাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্য রূপ দেখা গিয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সময়ে ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্দান্ত রঙ বদল দেখা গিয়েছে।

কালিম্পংয়ের কাফের থেকে এ দিন দুর্দান্ত সূর্যোদয় দেখেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে আসছেন তিনি। তবে বুধবার ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যে মায়াবী রঙ বদলের খেলা হয়েছে, সেটা খুব একটা দেখা যায় না বলেই জানান তিনি।
অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের কাছে লেপচাজগৎ থেকেও দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন চন্দননগরের বাসিন্দা অনির্বাণ নান। ডুয়ার্সের কিছু জায়গা থেকেও এ দিন দর্শন দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হলেও বেলা বারোটাতেও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুর্দান্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড় থেকে।
তবে দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এখনও সে ভাবে ঠান্ডা পড়েনি পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ দিন ১১ ডিগ্রি ছিল। সমতলেও শীতের লেশমাত্র নেই। শিলিগুড়ির পারদ রয়েছে কুড়ি ডিগ্রির ওপরেই। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিসর্জনের আগেই আগুন, পুড়ে ছাই সল্টলেকের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
কালিম্পং
চাপের মুখে ‘গোর্খাল্যান্ড’ বদলে গেল ‘জিটিএ’-তে, বিজ্ঞপ্তি বদল কেন্দ্রের
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করল কেন্দ্র। ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ (Gorkhaland) নিয়ে ডাকা বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু বদলে গেল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (Gorkhaland Territorial Administration)-এ। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত’ বিষয়ে আলোচনা ডাকার পরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্যের এক্তিয়ার থেকে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দের ব্যবহার — একাধিক কারণে রাজ্য প্রশ্ন তোলে। বেশি আপত্তি ছিল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে।
রাজ্যের শাসক তো বটেই, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস-সহ বিজেপি-বিরোধী একাধিক দল বলতে শুরু করে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। কিন্তু এর পরেও নাটক ছিল। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতেই, বিকেলে ‘বাতিল’ শব্দটি বদলে যায় ‘স্থগিতে’। কিন্তু কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠক স্থগিত হল, তা বিশদে বলতে রাজি হয়নি মন্ত্রক সূত্র। কোনো বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। বরং মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়।
এরও কিছু ক্ষণের মধ্যে আসে নতুন বিজ্ঞপ্তি। তার উপরে লেখা ছিল, ‘সংশোধনী’। সেই বিজ্ঞপ্তিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দের উল্লেখ ছিল না। তার বদলে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়। বৈঠকের স্থান, কাল, পাত্র সবই সেই বিজ্ঞপ্তিতে অপরিবর্তিত রাখা হয়।
যার ফলে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে ডাকার বিতর্কটি রয়েই গেল। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য এর পরেও ৭ অক্টোবরের বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল। যেমন সংশয় রইল পাহাড়ের দলগুলি কী ভাবে বৈঠকে যোগ দেবে বা আদৌ দেবে কি না, তা নিয়েও।
তবে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুংকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্যই এই বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গেই কালিম্পঙের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার, বিমল গুরুংকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আসলে ভোট আসছে। পাহাড়ের খেলা শুরু হয়েছে।’’
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
হাওড়া থেকে প্রতিদিন চলবে মুম্বই, অমদাবাদ স্পেশাল ট্রেন
কালিম্পং
রাজ্যে নিজেদের প্রথম শাখা খুলেই ‘গোর্খাল্যান্ড’ উসকানি বিজেপির শরিকের
দিন কুড়ি আগেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন সাংমা।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পাহাড়ে শাখা খুলল নতুন একটি রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এরা নতুন হলেও দেশের রাজনীতিতে নয়। কারণ এই দলটিই বিজেপির সমর্থনে মেঘালয়ে সরকার গঠন করেছে।
দলটির নাম ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (NPP)। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) এই দলের নেতা। বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে নিজেদের প্রথম শাখা খুলেছে এনপিপি। আর তার পরেই ‘গোর্খাল্যান্ড’ উসকানি দিতে শুরু করেছে তারা।
দিন কুড়ি আগেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছিলেন সাংমা। এর পরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে তাদের আবির্ভাব। ওই চিঠিতে সাংমা লিখেছিলেন, “গোর্খারাও ভারতীয় নাগরিক। নিজেদের বাসভূমির (গোর্খাল্যান্ড) অধিকার রয়েছে তাদেরও।”
এনপিপির উত্তরবঙ্গ শাখার সমন্বয়ক কেনজা ফোনিং বলেন, “আমাদের দলের দীর্ঘদিনের দাবিই হল বাকি পশ্চিমবঙ্গের থেকে দার্জিলিং আর কালিম্পংকে আলাদা করে দেওয়া।”
তবে এনপিপিকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী শাখা। দলের মুখপাত্র কেশব রাজ পোখরেল বলেন, “৮০-এর দশকে পিএ সাংমা যখন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন অসংখ্য গোর্খাকে ওই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। খুব অদ্ভুত ব্যাপার যে তাঁর ছেলে এখন গোর্খাদের জন্য কাঁদুনি গাইছেন।”
এই নিয়ে, সাংমা দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী যিনি গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিকে সমর্থন জানালেন। ২০১১ সালে এই দাবিকে সমর্থন করেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কোভিড পজিটিভ
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের