কালিম্পং
করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গে

খবর অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জেরে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল এ রাজ্যে। মৃত্যু হয়েছে কালিম্পংয়ের (kalimpong) ৫৪ বছর বয়সি মহিলার। রবিবার রাত দু’টো নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই মহিলা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ২৫ মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical College) হাসপাতালে ভরতি করা হয়। করোনাভাইরাসের সব রকম লক্ষণই থাকায় তাঁর নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয় সেখান থেকে।
রিপোর্টও পজিটিভ আসে। কিন্তু কোনো চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সিএমওএইচ প্রলয় আচার্য, ওই মহিলার মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন “৭ এপ্রিলের মধ্যে করোনামুক্ত হবে রাজ্য”, দাবি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৬ মার্চ চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন ওই মহিলা। চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কালিম্পং
মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjunga)। কোভিডের (Covid 19) আবহেও এই ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা। অনেক দিন পর এই ছবি দেখে খুশি স্থানীয়রাও।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগেই। কিন্তু কিছুতেই মেঘ সরছিল না উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে। এমনকি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। অবশেষে সেই মেঘ আর বৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু সে দিন পর্যটকদের মন ভরেনি। কারণ সকালের দিকে তাকে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়েছিল সে। তবে বুধবার সকাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্য রূপ দেখা গিয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সময়ে ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্দান্ত রঙ বদল দেখা গিয়েছে।

কালিম্পংয়ের কাফের থেকে এ দিন দুর্দান্ত সূর্যোদয় দেখেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে আসছেন তিনি। তবে বুধবার ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যে মায়াবী রঙ বদলের খেলা হয়েছে, সেটা খুব একটা দেখা যায় না বলেই জানান তিনি।
অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের কাছে লেপচাজগৎ থেকেও দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন চন্দননগরের বাসিন্দা অনির্বাণ নান। ডুয়ার্সের কিছু জায়গা থেকেও এ দিন দর্শন দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হলেও বেলা বারোটাতেও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুর্দান্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড় থেকে।
তবে দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এখনও সে ভাবে ঠান্ডা পড়েনি পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ দিন ১১ ডিগ্রি ছিল। সমতলেও শীতের লেশমাত্র নেই। শিলিগুড়ির পারদ রয়েছে কুড়ি ডিগ্রির ওপরেই। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিসর্জনের আগেই আগুন, পুড়ে ছাই সল্টলেকের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
কালিম্পং
চাপের মুখে ‘গোর্খাল্যান্ড’ বদলে গেল ‘জিটিএ’-তে, বিজ্ঞপ্তি বদল কেন্দ্রের
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করল কেন্দ্র। ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ (Gorkhaland) নিয়ে ডাকা বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু বদলে গেল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (Gorkhaland Territorial Administration)-এ। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত’ বিষয়ে আলোচনা ডাকার পরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্যের এক্তিয়ার থেকে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দের ব্যবহার — একাধিক কারণে রাজ্য প্রশ্ন তোলে। বেশি আপত্তি ছিল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে।
রাজ্যের শাসক তো বটেই, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস-সহ বিজেপি-বিরোধী একাধিক দল বলতে শুরু করে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। কিন্তু এর পরেও নাটক ছিল। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতেই, বিকেলে ‘বাতিল’ শব্দটি বদলে যায় ‘স্থগিতে’। কিন্তু কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠক স্থগিত হল, তা বিশদে বলতে রাজি হয়নি মন্ত্রক সূত্র। কোনো বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। বরং মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়।
এরও কিছু ক্ষণের মধ্যে আসে নতুন বিজ্ঞপ্তি। তার উপরে লেখা ছিল, ‘সংশোধনী’। সেই বিজ্ঞপ্তিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দের উল্লেখ ছিল না। তার বদলে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়। বৈঠকের স্থান, কাল, পাত্র সবই সেই বিজ্ঞপ্তিতে অপরিবর্তিত রাখা হয়।
যার ফলে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে ডাকার বিতর্কটি রয়েই গেল। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য এর পরেও ৭ অক্টোবরের বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল। যেমন সংশয় রইল পাহাড়ের দলগুলি কী ভাবে বৈঠকে যোগ দেবে বা আদৌ দেবে কি না, তা নিয়েও।
তবে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুংকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্যই এই বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গেই কালিম্পঙের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার, বিমল গুরুংকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আসলে ভোট আসছে। পাহাড়ের খেলা শুরু হয়েছে।’’
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
হাওড়া থেকে প্রতিদিন চলবে মুম্বই, অমদাবাদ স্পেশাল ট্রেন
কালিম্পং
রাজ্যে নিজেদের প্রথম শাখা খুলেই ‘গোর্খাল্যান্ড’ উসকানি বিজেপির শরিকের
দিন কুড়ি আগেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন সাংমা।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পাহাড়ে শাখা খুলল নতুন একটি রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এরা নতুন হলেও দেশের রাজনীতিতে নয়। কারণ এই দলটিই বিজেপির সমর্থনে মেঘালয়ে সরকার গঠন করেছে।
দলটির নাম ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (NPP)। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) এই দলের নেতা। বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে নিজেদের প্রথম শাখা খুলেছে এনপিপি। আর তার পরেই ‘গোর্খাল্যান্ড’ উসকানি দিতে শুরু করেছে তারা।
দিন কুড়ি আগেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছিলেন সাংমা। এর পরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে তাদের আবির্ভাব। ওই চিঠিতে সাংমা লিখেছিলেন, “গোর্খারাও ভারতীয় নাগরিক। নিজেদের বাসভূমির (গোর্খাল্যান্ড) অধিকার রয়েছে তাদেরও।”
এনপিপির উত্তরবঙ্গ শাখার সমন্বয়ক কেনজা ফোনিং বলেন, “আমাদের দলের দীর্ঘদিনের দাবিই হল বাকি পশ্চিমবঙ্গের থেকে দার্জিলিং আর কালিম্পংকে আলাদা করে দেওয়া।”
তবে এনপিপিকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী শাখা। দলের মুখপাত্র কেশব রাজ পোখরেল বলেন, “৮০-এর দশকে পিএ সাংমা যখন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন অসংখ্য গোর্খাকে ওই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। খুব অদ্ভুত ব্যাপার যে তাঁর ছেলে এখন গোর্খাদের জন্য কাঁদুনি গাইছেন।”
এই নিয়ে, সাংমা দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী যিনি গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিকে সমর্থন জানালেন। ২০১১ সালে এই দাবিকে সমর্থন করেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কোভিড পজিটিভ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা