উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বর্ষার দাপটে স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটকদের বেশ কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার প্রধান রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েন তাঁরা। পর্যটন ব্যাবসাও মার খায়। সেই সড়ক বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হল। তবে শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। এবং রাস্তা খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
এ বছর বর্ষা সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যায় এবং তার পর টানা বৃষ্টির তোড়ে ধস নামে পাহাড়ে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা নদীর ধার বরাবর এই রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েন। তাঁদের ভোগান্তি বাড়ে। রাস্তা মেরামত করার মাঝেই আবার নামে ভূমিধস। একের পর এক ভূমিধসে বন্ধ থাকে জাতীয় সড়ক। শেষ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতির কাজ আপাতত শেষ হয়েছে।
কালিম্পঙের জেলাশাসক টি বালাসুব্রমানিয়ান মঙ্গলবার এক নির্দেশ জারি করে বলেছেন, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের চিত্রে এবং শ্বেতি ঝোরার মধ্যে যান চলাচল বন্ধ রাখার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হল। বুধবার থেকে ওই সড়কের ওই অংশে যান চলাচল করতে পারবে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক সার্কেল ৩-এর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে জাতীয় সড়কে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি জায়গায় এক লাইনে গাড়িগুলিকে চলতে হবে। সেই জায়গাগুলি হল -সেলফি দাঁড়া, বিরিক দাঁড়া, লুকু বীর, আন্ধেরি এবং ২৭ মাইল।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সিকিমবাসীদের খুব উপকার হল। পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া সিকিম রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিলিগুড়ি যেতে হলে তাদের অনেকটা ঘুরপথে যেতে হচ্ছিল। কোথাও কোথাও গন্তব্যে পৌঁছোনোর জন্য ৭০ থেকে ১০০ কিমি অতিরিক্ত যেতে হচ্ছিল। আপাতত সেই দুরবস্থা ঘুচল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সারা দিনই পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হবে এবং সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টি চলবে। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা ও দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পং এ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে আগের মতো দুর্যোগের কোনও সঙ্কেত নেই।