কালিম্পং
দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর মান বাড়াতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ দায়িত্ব কেন্দ্রের

কালিম্পং: চা-এর পাশাপাশি দার্জিলিং পাহাড় বিখ্যাত ছিল তার কমলালেবুর জন্য। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু যেন অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ছে। দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর ফলনকে আবার আগের জায়গায় পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
কমলালেবুর ফলন বাড়ানো আর এর ফলনের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র।
মুলত রোগ-পোকার আক্রমণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ভাইরাসের দাপটে দার্জিলিঙের কমলালেবুর গুণগত মান কমছে৷ পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ না করা এবং নতুন গাছ রোপণ না করার জন্যও কমলালেবুর ফলন কমেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রসঙ্গেই উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কালিম্পং ক্যাম্পাসের অধ্যাপক ডঃ শরদ গুরুং বলেন, “স্বাদে ও গন্ধে বিশ্ব সেরা দার্জিলিং কমলালেবু। কিন্তু তার ফলন ও মান দিন দিন কমছে৷ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন বিল আটকে দেওয়ার অভিযোগের জবাবে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের
কী ভাবে প্রকল্পের কাজ নিয়ে এগোবে বিশ্ববিদ্যালয়?
গুরুং বলেন, “এই প্রকল্পে পাহাড়ের কমলালেবু চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বীজ থেকে চারা তৈরি ও গাছের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা সব কিছুই এই প্রকল্পে শেখানো হবে৷”
এ বছর থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান ডঃ গুরুং। তাঁর আশা আগামী দু’এক বছরের মধ্যেই আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু।
কালিম্পং
Bengal Polls 2021: বিজেপি প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শরিক জিএনএলএফ, আলাদা ভাবে প্রার্থী দেওয়ার হুমকি
পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বিমল গুরুং।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: সমতল ছাড়িয়ে পাহাড়েও পৌঁছে গেল বিজেপির প্রার্থীতালিকা নিয়ে ক্ষোভ। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যখন পাহাড়ের ‘বন্ধু’দের জন্য তিনটে আসন ছেড়ে দিয়েছে, তখন আরও এক বড়ো দল বিজেপি কেন তাদের ‘বন্ধুদের’ জন্য আসন ছাড়ল না, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, বিমল গুরুং বেরিয়ে আসায় পাহাড়ে এখন বিজেপির জোট শরিক জিএনএলএফ এবং সিপিআরএম। জিএনএলএফ সুপ্রিমো মন ঘিসিং জানিয়েছেন, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং – এই তিনটে আসনের মধ্যে দুটি আসন তাদের জন্য ছাড়ার কথা বলা হলেও বিজেপি সেই কথা রাখেনি।
ক্ষুব্ধ ঘিসিং প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “আমাদের উপেক্ষা করে তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এটা আমরা মানতে পারছি না। দু’টি আসন আমাদের ছাড়ার কথা বলা হলেও, তা ছাড়া হয়নি।” এ দিকে, পৃথক ভাবে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে সিপিআরএমও।
উল্লেখ্য, দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে বিজেপি যাঁকে প্রার্থী করেছে সেই নিরজ জিম্বা বর্তমানে জিএনএলএফেরই নেতা, কিন্তু ভোটে লড়ছেন বিজেপির প্রতীকে। এর ফলে প্রার্থী না ঘোষণা করলে গুরুংপন্থী মোর্চার বিরুদ্ধে পাহাড়ের কোনো আঞ্চলিক দল প্রতিনিধিত্ব করবে না, লড়াইটা মূলত হয়ে যাবে মোর্চা বনাম বিজেপি।
তৃণমূলকেই সমর্থন বিমল-বিনয়ের
এ দিকে, পাহাড়ের তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বিমল গুরুং। দার্জিলিংয়ে পি টি ওলা, কার্শিয়ংয়ে নরবু লামা এবং কালিম্পংয়ে রাম ভুজেলকে প্রার্থী করা হয়েছে। জিএনএলএফ এবং সিপিআরএমের কাছেও সমর্থন চাইবেন বলে জানিয়েছেন গুরুং।
অদ্ভুত ভাবে পাহাড়ে আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে বিনয়পন্থী মোর্চাও। কিন্তু দুই পক্ষই রাজ্যের অন্য জায়গায় তৃণমূলকে সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Weather Update: পরিস্থিতি অনুকূল, আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
কালিম্পং
মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjunga)। কোভিডের (Covid 19) আবহেও এই ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা। অনেক দিন পর এই ছবি দেখে খুশি স্থানীয়রাও।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগেই। কিন্তু কিছুতেই মেঘ সরছিল না উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে। এমনকি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। অবশেষে সেই মেঘ আর বৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু সে দিন পর্যটকদের মন ভরেনি। কারণ সকালের দিকে তাকে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়েছিল সে। তবে বুধবার সকাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্য রূপ দেখা গিয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সময়ে ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্দান্ত রঙ বদল দেখা গিয়েছে।

কালিম্পংয়ের কাফের থেকে এ দিন দুর্দান্ত সূর্যোদয় দেখেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে আসছেন তিনি। তবে বুধবার ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যে মায়াবী রঙ বদলের খেলা হয়েছে, সেটা খুব একটা দেখা যায় না বলেই জানান তিনি।
অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের কাছে লেপচাজগৎ থেকেও দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন চন্দননগরের বাসিন্দা অনির্বাণ নান। ডুয়ার্সের কিছু জায়গা থেকেও এ দিন দর্শন দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হলেও বেলা বারোটাতেও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুর্দান্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড় থেকে।
তবে দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এখনও সে ভাবে ঠান্ডা পড়েনি পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ দিন ১১ ডিগ্রি ছিল। সমতলেও শীতের লেশমাত্র নেই। শিলিগুড়ির পারদ রয়েছে কুড়ি ডিগ্রির ওপরেই। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিসর্জনের আগেই আগুন, পুড়ে ছাই সল্টলেকের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
কালিম্পং
চাপের মুখে ‘গোর্খাল্যান্ড’ বদলে গেল ‘জিটিএ’-তে, বিজ্ঞপ্তি বদল কেন্দ্রের
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করল কেন্দ্র। ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ (Gorkhaland) নিয়ে ডাকা বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু বদলে গেল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (Gorkhaland Territorial Administration)-এ। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত’ বিষয়ে আলোচনা ডাকার পরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্যের এক্তিয়ার থেকে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দের ব্যবহার — একাধিক কারণে রাজ্য প্রশ্ন তোলে। বেশি আপত্তি ছিল ‘গোর্খ্যাল্যান্ড’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে।
রাজ্যের শাসক তো বটেই, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস-সহ বিজেপি-বিরোধী একাধিক দল বলতে শুরু করে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। কিন্তু এর পরেও নাটক ছিল। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতেই, বিকেলে ‘বাতিল’ শব্দটি বদলে যায় ‘স্থগিতে’। কিন্তু কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠক স্থগিত হল, তা বিশদে বলতে রাজি হয়নি মন্ত্রক সূত্র। কোনো বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। বরং মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়।
এরও কিছু ক্ষণের মধ্যে আসে নতুন বিজ্ঞপ্তি। তার উপরে লেখা ছিল, ‘সংশোধনী’। সেই বিজ্ঞপ্তিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দের উল্লেখ ছিল না। তার বদলে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়। বৈঠকের স্থান, কাল, পাত্র সবই সেই বিজ্ঞপ্তিতে অপরিবর্তিত রাখা হয়।
যার ফলে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে ডাকার বিতর্কটি রয়েই গেল। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য এর পরেও ৭ অক্টোবরের বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল। যেমন সংশয় রইল পাহাড়ের দলগুলি কী ভাবে বৈঠকে যোগ দেবে বা আদৌ দেবে কি না, তা নিয়েও।
তবে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুংকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্যই এই বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গেই কালিম্পঙের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার, বিমল গুরুংকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আসলে ভোট আসছে। পাহাড়ের খেলা শুরু হয়েছে।’’
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
হাওড়া থেকে প্রতিদিন চলবে মুম্বই, অমদাবাদ স্পেশাল ট্রেন
-
রাজ্য11 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার23 hours ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট24 hours ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ15 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী