জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তাদের জন্য রাজ্যে শুরু হল বিশেষ উদ্যোগ। এবার প্রথমবার, সরাসরি উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট। গত বছর পর্যন্ত ব্লকের আধিকারিকরা উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শারীরিক উপস্থিতি যাচাই করে রিপোর্ট করতেন। কিন্তু এবার প্রযুক্তির সাহায্যে আরও সহজ হচ্ছে প্রক্রিয়া।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে মোট উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। যার মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা, পাঁচ লক্ষ বিধবা ভাতা এবং প্রায় ৪৫ হাজার বিশেষভাবে সক্ষম ভাতা প্রাপক রয়েছেন।
কীভাবে চলছে কাজ?
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লক স্তর থেকে বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে আধিকারিকরা তাঁর ছবি তুলে, আধার নম্বর ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করে অ্যাপে আপলোড করছেন। এরপর অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে উপভোক্তার মোবাইলে যাচ্ছে একটি মেসেজ।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ব্লক অফিস থেকে সার্টিফিকেটের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা সরাসরি উপভোক্তার হাতে তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি, উপভোক্তার ব্যাংকেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই তথ্য, যাতে পেনশন তুলতে কোনও সমস্যা না হয়।
কবে শেষ হবে কাজ?
পঞ্চায়েত দপ্তরের লক্ষ্য, আগামী ৩০ আগস্ট-এর মধ্যে প্রতিটি উপভোক্তার হাতে এই সার্টিফিকেট পৌঁছে দেওয়া। আধিকারিকরা এখন জোরকদমে কাজ চালাচ্ছেন।
উপভোক্তাদের অভিজ্ঞতা
ঘরে বসেই হাতে লাইফ সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম উপভোক্তারা। তাঁদের কথায়, এতদিন ব্যাংকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে নানা ভোগান্তি হত। এবার সেই ঝামেলা অনেকটাই কমবে।
আধার সংযুক্তিতে রাজ্য শীর্ষে
এই প্রকল্পে আধার লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক। রাজ্যের দাবি, ইতিমধ্যেই ৯৯ শতাংশ উপভোক্তার আধার লিঙ্কিং সম্পূর্ণ। দেশের মধ্যে এই হার সর্বাধিক বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
আরও পড়ুন: ওবিসিদের আবেদনেও ছাড় নয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করল এসএসসি