ঝাড়গ্রামের ফল নিয়ে আলোচনায় বসছে জেলা তৃণমূল

0
Samir mahat
সমীর মাহাত

ঝাড়গ্রাম জেলাপরিষদ ও সমিতিতেও খাতা খুলল গেরুয়া শিবির। নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনের পর এটাই ছিল প্রথম ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাটন। পশ্চিমমেদিনীপুর জেলাপরিষদ ভেঙে জরুরি ভিত্তিতে এলাকার ১৬টি আসন নিয়ে গঠিত হয় এই জেলাপরিষদ। জেলার ৮টি ব্লক থেকে ২ জন হিসেবে পদ নির্ধারিত। এ বারে ১৬টি আসনের তিনটিতে জয়লাভ করে পরিষদে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি।

এই জেলাপরিষদের বিদায়ী সভাপতি সমায় মান্ডি ও সহ-সভাপতি সোমা অধিকারী তৃণমূল থেকে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে হেরে গিয়েছেন। এই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির তুহিন শুভ্র সিং ও দুলালি দাস। সাঁকরাইল ব্লকের তৃণমূল প্রার্থী প্রণব ধাওড়িয়া ধরাশায়ী হয়েছেন, বিজেপির প্রসেনজিত নায়েকের কাছে। এই হল বিজেপির জয়ের খাতা।

আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রাম ব্লকের এই অঞ্চলে এ বার তৃণমূল শূন্য হয়ে গেল!

বাকি ১৩টি আসন তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। তৃণমূলের পুরনো বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে এবারেও আছেন শুভ্রা মাহাত, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাধবী বিশ্বাস। ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতেও একই ভাবে বিজেপির ১১ জন প্রার্থী জায়গা করে নিয়েছেন। মোট ২৯টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসন পেয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল।

jhargram-tmc-leader
গত বারের সমিতি সভাপতি রেখা সরেন এবারেও জয়ী হয়েছেন। যাঁকে প্রার্থী পদ দিতেই দলে টালবাহনা চলেছিল।

এ ব্যপারে বিজেপির জেলা নেতা সঞ্জিত মাহাত বলেন, “এর আগে প্রশাসনিক স্তরে সাধারণের অসুবিধা নিয়ে কথা বলার জায়গা ছিল না, এখন তা হবে। এই জয় এলাকার সাধারণ মানুষের জয়”। ঝাড়গ্রামের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “কেন এই ফল খারাপ তা নিয়ে জেলা নেতৃত্ব শীঘ্রই পর্যালোচনায় বসবেন”। পাশাপাশি, গত বারের সমিতি সভাপতি রেখা সরেন এ বারেও জয়ী হয়েছেন। যাঁকে প্রার্থী পদ দিতেই দলে টালবাহনা চলেছিল। উল্লেখ্য, জেলার শিরশি গ্রামে এর আগে প্রথম বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী জয়ী হন, সেই জয়ী প্রার্থী ছিলেন এখন কার জেলা নেতা সঞ্জিত মাহাত।

বিজ্ঞাপন