অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে ফেরানোর সিদ্ধান্তে উত্তাল চিকিৎসক মহল। সোমবার কাউন্সিলের বৈঠকে তাঁরা অংশ নেওয়ার পর থেকেই ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর সদস্যরা সল্টলেকের মেডিক্যাল কাউন্সিল দফতরের সামনে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেছেন। ত্রিপল টাঙিয়ে রাতভর অবস্থান করছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা, তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও।
অভীক এবং বিরূপাক্ষের উপর নিষেধাজ্ঞা কেন প্রত্যাহার করা হলো, তা নিয়েই মূলত বিক্ষোভ। চিকিৎসকদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত আন্দোলন দমনের কৌশল। দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দ-সহ বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বক্তব্য, কাউন্সিল তাদের সিদ্ধান্তে স্থায়িত্ব রাখেনি এবং আন্দোলনকারীদের গুরুত্ব দেয়নি। তাঁদের মতে, আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার সুযোগ নিয়েই অভীক এবং বিরূপাক্ষকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
চিকিৎসকরা আরও অভিযোগ করেছেন, অবস্থানস্থলে পুলিশের উপস্থিতি এবং ত্রিপল খুলে দেওয়ার চাপ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। সোমবার রাত থেকেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের বাগ্বিতণ্ডা চলে।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যুর পর অভীক এবং বিরূপাক্ষের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ এবং সরকারি হাসপাতালে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগও ছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁদের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তবে সোমবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় চিকিৎসক সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনেও আন্দোলন জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, অভীক এবং বিরূপাক্ষকে কাউন্সিল থেকে সরাতে হবে।