৭ টাকায় পৌঁছেছে ডিমের দাম, আরও বাড়বে?

0

কলকাতা: ক্রমশ বাড়তে বাড়তে কলকাতায় এখন একটা ডিমের দাম ৭ টাকা! ক’মাস আগেও যা ছিল ৫ টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই ‘সস্তা প্রোটিনে’র দাম হুহু করে বেড়ে চলায় সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন একটাই- কবে কমবে ডিমের দাম?

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, একাধিক কারণে বাজারে ডিমের দামে আগুন লেগেছে। করোনাভাইরাস লকডাউনে এমনিতেই মার খেয়েছিল হ্য়াচারিগুলি। চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার উপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়িয়ে যায়, মুরগি ভাইরাসের বাহক। যে কারণে চরম লোকসানের মুখোমুখি হতে হয় হ্যাচারিগুলোকে। এখন বাজারে চাহিদা ফিরলেও জোগানে কিছুটা টান, লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সাময়িক সুযোগ এবং মাঝপথে ফড়েদের ভূমিকাকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

ক’মাস আগেও প্রতি জোড়া ডিমের দাম ছিল ১০ টাকা। এখন একটা ডিমের দামই তা ছুঁয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। এমনকী ব্র্যান্ডেড ডিমের দামও বেড়ে ১০-১২.৫০ টাকা। তা হলে দাম কী এ ভাবে বাড়তেই থাকবে?

ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছে, উৎসবের পর ডিমের দাম কমতে পারে। তবে দীপাবলির আগে পর্যন্ত দাম ৭ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে। এই সময় বাজারে ডিমের চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে বেকারিগুলি। শীতকাল এবং বড়োদিনকে সামনে রেখে কেক তৈরির জন্য ডিমের চাহিদা আরও তুঙ্গে উঠবে।

হ্যাচারিগুলির অভিযোগ, খুচরো বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ফড়েরা ব্যাপক আকারে লাভবান হচ্ছে। উৎপাদনকারীরা যেখানে ডিম পিছু ৫.১০ টাকায় পাইকারি দরে ডিম বিক্রি করছেন, সেখানে ক্রেতার হাতে তা পৌঁছোচ্ছে ৭ টাকায়। পরিবহণের জন্য ডিম পিছু ১০ পয়সা খরচ হলেও অতিরিক্ত ১.৮০ টাকা দাম বেড়ে যাচ্ছে।

খুচরো বিক্রেতারা যদি প্রতিটা ডিমে ৫০-৭৫ পয়সার লাভ রাখেন, সে ক্ষেত্রেও দাম কোনো মতেই ৭ টাকায় পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে। সে ক্ষেত্রে খুব বড়োজোর একটা ডিমের দাম হতে পারত ৬ টাকা।

কলকাতায় প্রতিদিন ১ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের মত, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন প্রায় ২.৮ কোটি ডিমের প্রয়োজন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উৎপাদনক্ষমতা ৮০ লক্ষ। উম্পুনের পর সেই উৎপাদনের পরিমাণ আরও কমেছে। তাই ডিমের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা উপর নির্ভর করতে হয়। ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। তাই আগামী দিনে ডিমের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ডিম ব্যবসায়ীদের একাংশ।

আরও বলা হচ্ছে, মার্চ এপ্রিলে সারা রাজ্যে প্রতিদিনের ডিমের চাহিদা কমে দাঁড়ায় এক কোটিতে। ফলে সে সময় ডিম পিছু দাম কমে ঠেকে ৪ টাকায়। সে সময় মুরগির খাবার জোগাড়ে করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল হ্যাচারিগুলোকে। ফলে মুরগির সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয় তারা।

আরও পড়তে পারেন: সরষের তেল থেকে এলপিজি হয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ১ অক্টোবর থেকে যে ১০টি নিয়ম বদলে গেল

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন