ভ্রমণের খবর
খুলে গেল পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন আর বনোন্নয়ন নিগমের আরও কয়েকটি লজ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আনলক পর্বে ধাপে ধাপে রাজ্যের পর্যটনস্থলগুলি খোলা হচ্ছে। প্রথম দফার আনলকে গত ১ জুলাই থেকে বেশ কিছু পর্যটনস্থল খোলা হয়েছে। এ বার দ্বিতীয় দফায় আনলকে, অর্থাৎ বুধবার থেকে রাজ্যের আরও কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রও খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার থেকেই পর্যটকদের জন্য খুলে গিয়েছে দিঘা, ডুয়ার্স আর পাহাড়। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু জায়গায় রাজ্য পর্যটন আর বনোন্নয়ন নিগমের লজগুলিও খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দিঘা, বকখালি, ব্যারাকপুর, কালিম্পং (মর্গ্যান হাউজ) আর ঝাড়গ্রামে অবস্থিত রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের লজগুলির দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী এক মাসের অনলাইন বুকিং করা যাবে নিগমের ওয়েবসাইট (wbtdcl.com) থেকে।
গত ৮ জুন, মাইথন, বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ড হারবার, লাটাগুড়ি (টিলাবাড়ি) আর রাঙাবিতান (শান্তিনিকেতন) লজগুলি খুলে দেওয়া হয়েছিল।
একই ভাবে বুধবার থেকে রাজ্যের বনোন্নয়ন নিগমের অন্তর্গত আরও কয়েকটি রিসর্টের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল মূর্তি, বড়োদাবরি (লাটাগুড়ি), ঝালং, পারেন আর মংপং। নিগমের ওয়েবসাইট (wbfdc.net) থেকে অনলাইনে বুক করে এই রিসর্টগুলিতে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
উল্লেখ্য, করোনার আতঙ্কের মধ্যেও লকডাউনের প্রতিবন্ধকতা (Lockdown) ঝেড়ে ফেলতে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। ফলে, অন্য রাজ্যের থেকেও পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্প ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে রাজ্যের পর্যটনে নতুন দিক খুলে যেতে পারে আগামী কয়েক মাসে।
ভ্রমণের খবর
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
সংগঠনের দাবি, ভোটের কারণে পর্যটকদের বুকিং বাতিলের ফলে কম করে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন তাঁরা।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনার করাল গ্রাসে পড়ে পর্যটন ব্যাবসা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। গত কয়েক মাস হল সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ক্রমশ সুদিন দেখতে শুরু করেছে রাজ্যের পর্যটন। কিন্তু এরই মধ্যে ফের বাজ পড়ল। রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন পড়েছে ২৭ মার্চ, অর্থাৎ দোলের আগের দিন।
দোলে যে যে জায়গায় ভিড় সব থেকে বেশি হয়, সেখানেই নির্বাচন। অর্থাৎ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার একাংশ। পাশাপাশি দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো জায়গাতেই ভোট পড়েছে ওই দিনই।
রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি ইতিমধ্যেই হোটেল বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। স্থানীয় পুলিশের তরফে নির্দেশ এসে গিয়েছে গাড়ি অধিগ্রহণ করার, সব নির্বাচনের ক্ষেত্রেই যা খুবই পরিচিত চিত্র। ভোট মিটলে ফের ছেড়ে দেওয়া হবে গাড়িগুলিকে।
বুকিং বাতিলের জেরে প্রভূত আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে হোটেল-রিসর্ট কর্তৃপক্ষ, ট্র্যাভেল এজেন্সি, ট্র্যাভেল এজেন্ট-সহ পর্যটন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ মার্চ রাজ্যের কেন্দ্রগুলিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে লিখিত ভাবে আর্জি জানাল ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (TAAB)।
সংগঠনের দাবি, ভোটের কারণে পর্যটকদের বুকিং বাতিলের ফলে কম করে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা। ট্যাবের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু এই প্রসঙ্গেই বলেন, “অতিমারির কারণে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পর্যটনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। আমরা তাই দোলের দিকেই তাকিয়েছিলাম, পর্যটন ব্যবসায়ে লাভের আশায়। লক্ষাধিক মানুষ এই সময়ে হোটেল বুক করেছিলেন। সেগুলো বাতিল হয়ে গেলে কী বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে তা আমরা ধারণাও করতে পারছি না।”
লিখিত আর্জিতে আরও জানানো হয়েছে যে ভোটের কাজ থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্য পর্যটন দফতর স্বীকৃত গাড়িগুলোকে যাতে অন্তত রেহাই দেওয়া হয়। ট্যাবের এই লিখিত আর্জির কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে পাওয়া যায়নি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আচরণবিধি ভঙ্গ! পেট্রোল পাম্প থেকে নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ভ্রমণের খবর
দোলেই ভোট! পর্যটন ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ রাঢ়বঙ্গ
২৪ থেকে ৩১ মার্চ, পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম যাওয়া অনুচিত!

খবরঅনলাইন ডেস্ক: টানা কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সদ্য গত বছর অক্টোবর থেকে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ রাঢ়বঙ্গের পর্যটন। গত বছর দোলের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যটন, ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছিল দুর্গাপুজোর পর থেকে। করোনাতঙ্ক কাটিয়ে মানুষও বেরিয়ে পড়ছিলেন ভ্রমণে।
আশা ছিল এই দোলের সময়ে পর্যটকদের ঢল নামবে রাঢ়বঙ্গে। পলাশের পার্বণে মেতে উঠবে এই সব অঞ্চল। পর্যটন ব্যবসায়ী-সহ স্থানীয় মানুষজন ফের লাভের আশা দেখতে শুরু করেছিলেন।
কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের ৮টা দফা ভোটের প্রথম দফাটিই পড়েছে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম। এবং সেটা ২৭ মার্চ, অর্থাৎ দোলের আগের দিন। এই পরিস্থিতিতে রাঢ়বঙ্গের পর্যটনে আচমকা কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। ভোটের সময়ে পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই ইতিমধ্যেই দোল এবং আশেপাশের তিন-চারটে দিনের বুকিং বাতিল করতে শুরু করে দিয়েছেন পর্যটকরা।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বড়ন্তির একটি রিসর্টের কর্ণধার সপ্তর্ষি রায় বলেন, “পুরুলিয়া এমনিতেই পিছিয়ে পড়া জেলা। কিন্তু বর্তমানে পর্যটনের সুবাদে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তো বটেই স্থানীয় মানুষজনের আর্থিক অবস্থাও অনেকটাই উন্নত হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ ছিল পর্যটন। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন সবাই। এ বার দোলের সময়েই ভোট স্থানীয় মানুষদের কাছে একটা বড়ো আঘাত।”
ভোটের সময়ে নিজের রিসর্ট খুলে রাখতে পারবেন কি না জানেন না সপ্তর্ষিবাবু। পুলিশের তরফে কী নির্দেশ আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।
ভ্রমণ ব্যবসায়ে যুক্ত সৌরভ নায়েক নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে হতাশ। হোটেল বা রিসর্ট খোলা থাকলেও তাঁর চিন্তা গাড়ির পরিষেবা নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, ট্রেনে করে কোনো স্পটে যদি চলেও যাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রেও ঘরবন্দি হয়েই হয়তো কাটাতে হবে, কারণ ভ্রমণের গাড়ি হয়তো পাওয়াই যাবে না। তাঁর উপদেশ, অন্তত ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাঢ়বঙ্গে যাওয়া উচিত নয়।
এই সাত দিনের সময়টাই যে পিক সিজন এ বার। সেই সময়টা কাটিয়ে পর্যটনের পালে হাওয়া লাগবে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ, এর পরেই গরম পড়ে যাবে। এপ্রিলের গরমে রাঢ়বঙ্গকে এড়িয়েই যেতে চাইবেন পর্যটকরা।
বাংলার বিভিন্ন দিক চষে বেড়ানো ভ্রামণিক সঞ্জয় গোস্বামী চাঁচাছোলা ভাবেই বলে দিচ্ছেন যে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের পেটে সরাসরি হাত দিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, “গোটা রাঢ়বঙ্গের পর্যটন শিল্প চলে এই সময়টার ওপর ভিত্তি করে। আজ তাদের জন্য ভোটের করাল গ্রাসের খবর।”
কিন্তু এই ব্যাপারটার সমাধান আগেই মিলত বলে মনে করেন সঞ্জয়বাবু। তাঁর কথায়, “আমার প্রশ্ন হল পর্যটনের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকশো প্ল্যাটফর্ম বা বিভিন্ন ইউনিয়নের তো নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই। সব সরকারের উপর ছেড়ে বসে না থেকে নিজেদেরই এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”
ভারতে খেলাধুলো (ক্রিকেট বাদে) এবং পর্যটন সব থেকে ব্রাত্য বিষয় বলেই মনে করেন সঞ্জয়বাবু।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দু’মাস আগের টুইট মনে করিয়ে বিজেপির উদ্দেশে প্রশান্ত কিশোর বললেন, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”
ভ্রমণের খবর
পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী রাজ্য, বাজেটে বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা
বেশ কয়েক বছর ধরেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনা অতিমারির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে। এই শিল্পকে চাঙ্গা করতে রাজ্য বাজেটে পর্যটনের দিকেও বিশেষ নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটনে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেন তিনি।
এক দিকে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজা অন্য দিকে এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বা যাঁরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সমৃদ্ধ করাও যে লক্ষ্য তা তাঁর এ দিনের বাজেট থেকে আবার স্পষ্ট হল।
শুক্রবার রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়ে পর্যটন সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় আসবে রিসর্ট, হোটেল, হোমস্টে, ভ্রমণ সহায়ক সংস্থাগুলি। ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পাওযার সুবিধা দেওয়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুদের ৫০ শতাংশ প্রথম বছরে বহন করবে রাজ্য।
বাজেট ভাষণে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ অতিমারিতে ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও বহু মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এই সব সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার একটি পর্যটন সহায়ক প্রকল্প শুরু করেছে।” এ ছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি নতুন ইনসেনটিভ স্কিমের কথাও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কয়েক বছর ধরেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পর্যটন মেলাও চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গত কয়েক বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে বেশ উন্নতিও হয়েছে। যদিও অতিমারির কারণে ২০২০-এর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
আজ সন্ধ্যার পর রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর3 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা