জুনে বর্ষার ঘাটতি ছিল ৩১ শতাংশ। গোটা জুলাই মাসের ভালো বৃষ্টি সেই ঘাটতি প্রায় পুষিয়ে দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জারি করা আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাকি ঘাটতিটাও পুষিয়ে দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। এমনকি বাড়তির ঘরেও ঢুকে যেতে পারে বর্ষা।
গত দু’দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের ওপর বর্ষা অতি সক্রিয়। ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর উত্তর ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি কমে এসেছে মাত্র ৬ শতাংশে। রবিবার প্রকাশ করা আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে রবিবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি সোমবার আর মঙ্গলবার অতি ভারী বৃষ্টি- অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টির কবলে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গা। বাকি জায়গাগুলিতেও জোর বৃষ্টি চলবে।
এই মুহূর্তে বর্ষার প্রধান চালিকাশক্তি অর্থাৎ নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তার করছে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে। ছত্তীসগঢ়-ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি নিম্নচাপ, এর ওপর যোগ হতে পারে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া আরও একটি নতুন নিম্নচাপ। এই ত্রিফলা শক্তির আক্রমণেই আরও বেশি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের মতো এত বেশি না হলেও ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও।
আগামী ৭২ ঘণ্টার বৃষ্টি চাষের ক্ষেত্রেও যেমন ভালো খবর তেমনই ভালো খবর ডেঙ্গু-আক্রান্ত কলকাতার জন্য। গত বছর জুলাইয়ে বানভাসি বৃষ্টি হওয়ার পর আগস্ট, সেপ্টেম্বরে তেমন বৃষ্টি হয়নি, পাশাপাশি এ বার জুনেও দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জল কমে আসছিল বিভিন্ন নদীতে। গত এক মাসের জোর বৃষ্টির জন্য এই অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়। আগামী দিনের আরও বৃষ্টি নদীগুলিকে যে জলভর্তি করে দেবে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের মতে, বেশি বৃষ্টি ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকর। ডেঙ্গুর মশা জন্ম নেয় বিভিন্ন ভাবে জমে থাকা স্থির জলে। বেশি বৃষ্টির ফলে এই জমে থাকা জল উপচে যাবে, এর ফলে ভেসে যাবে মশার লার্ভা।
অতএব, আশার বাণী নিয়েই আগামী কয়েক দিন জোর বৃষ্টিতে ভিজতে প্রস্তুত দক্ষিণবঙ্গে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।