রাজ্য
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
দফায় দফায় বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।

কলকাতা: আগামী বুধবার (২০ জানুয়ারি) তিন দিনের সফরে রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
এর আগে দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। কলকাতা ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জৈন।
জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজ্যে পৌঁছাবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। গুয়াহাটি থেকে সরাসরি কলকাতা বিমানমবন্দরে নেমে কমিশনের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যাবে বৈঠকস্থলে। রাজ্যের ইলেক্টোরাল অফিসার ও পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন সম্পর্কিত সমস্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে কমিশন। ওই দিন সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বৈঠক করার কথা রয়েছে কমিশনের। বৈঠক হবে বিভিন্ন জেলার ডিএম-এসপিদের পাশাপাশি প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গেও। এই মর্মে সমস্ত জেলাশাসকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
শুক্রবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে। যেখানে রাজ্য পুলিশের ডিজির উপস্থিত থাকার কথা। এ ছাড়া আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে আসতে পারেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং রাজীব কুমার। তার পরেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন।
বিবেচনায় করোনা
করোনা সংক্রমণ এড়াতে এ বার প্রায় ২৫ হাজারের মতো বুথ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের জন্য স্থান বাছাইয়েরও কাজ চলছে।
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ছ’টি পর্যায়ে। তবে এ বার নির্বাচনের পর্যায় সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। ক’টি পর্যায়ে ভোটগ্রহণ হবে, তা এখনই বলা সম্ভব না হলেও পর্যায়ের সংখ্যা যে বাড়বে, তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।
এ বারের ভোটে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাওয়া যাবে। শারীরিক ভাবে অক্ষমরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
১৫ জানুয়ারি আগামী বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০। ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩।
সংশোধিত তালিকায় পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩০৬ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪, পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ জন।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপি আসন বাড়ালেও রাজ্যে ক্ষমতায় থাকবে তৃণমূলই, ইঙ্গিত সি ভোটারের সমীক্ষায়
মালদা
পশ্চিমবঙ্গে গো-হত্যা, চুরি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ যোগী আদিত্যনাথের
মালদহের গাজোল কলেজ মাঠের সভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার মালদহের গাজোল কলেজ মাঠের সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচার তুঙ্গে। এ দিন বিজেপির সভায় অংশ নিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আজ বাংলায় দারিদ্র্য ও দুর্দশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলি বাংলায় বাস্তবায়িত করতে দেওয়া হচ্ছে না”।
তিনি বলেন, “বাংলায় বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র এখানকার সুরক্ষার সামনেই একটি সংকট সৃষ্টি করছে না, এটা সারা দেশের নিরাপত্তার সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে”।
তাঁর কথায়, “এখন বাংলায় অপরাধ, অরাজকতা বেড়েছে। বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। দুর্গাপুজো করতে এখানে সমস্যায় পড়তে হয়, মহরমের অনুমতি দেওয়া হয়। ইদে জোর করে গো-হত্যা শুরু হয়”।
তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এসে গো-হত্যা, পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশে কেউ গো-হত্যা করতে পারেন না, অথচ এখানে গোরুপাচার হচ্ছে। বিজেপিকে আনুন, গোরুচুরি, অরাজকতা বন্ধ হয়ে যাবে “।
তিনি আরও বলেন, “২৫-৩০ বছর আগেও উত্তরপ্রদেশের যুবকরা বাংলায় চাকরির জন্য আসত। এখন বাংলার যুবকরা কর্মসংস্থানের জন্য দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে আসে। প্রতারণা করে লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটছে। আমরা উত্তরপ্রদেশে এ নিয়ে আইন করেছি”।
তাঁর অভিযোগ, “আজ বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে বাধা দেওয়া হয়। রামনাম যাঁদের অপছন্দ, দেশে এবং বাংলায় তাঁদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের এই অঙ্গীকার করতে হবে”।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি মমতাদিদির উদ্দেশে বলতে চাই যে একসময় উত্তরপ্রদেশে এমন একটি সরকার ছিল যারা অযোধ্যায় রাম ভক্তদের উপর গুলি চালাত, আপনি সেই সরকারের পরিণতি কী হয়েছে, তা আপনি নিশ্চয় দেখেছেন। এ বার বাংলায় তৃণমূল সরকারের পালা”।
আরও পড়তে পারেন: কেন্দ্রীয় সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

খবর অনলাইন ডেস্ক: জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার অস্থায়ী চেয়ারম্যানপদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে চর্চায় মেতেছে রাজনৈতিক মহল।
গত ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক অস্থায়ী ভাবে ওই পদে বসিয়েছিল শুভেন্দুকে। নিয়োগপত্র অনুযায়ী তাঁর মেয়াদ ছিল তিন বছর। তাঁকে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু দু’মাস পেরতে না পেরতেই সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু।
ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, “নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা বাড়ছে। তাই শুভেন্দু ইস্তফা দিয়েছেন”।
একটি সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। ফলে ভোটে দাঁড়ানোর আগে সরকারি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শুভেন্দু। যেহেতু চেয়ারম্যানপদটি লাভজনক, তাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ওই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই প্রশ্ন, রাজ্য-রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠা নন্দীগ্রামেই কি প্রার্থী হবেন শুভেন্দু?
সব মিলিয়ে আচমকা জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানপদ থেকে তাঁর এই পদত্যগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়তে পারেন: ‘সংযুক্ত মোর্চা’ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, সতীর্থ নেতাকে তোপ অধীররঞ্জন চৌধুরীর
রাজ্য
‘সংযুক্ত মোর্চা’ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, সতীর্থ নেতাকে তোপ অধীররঞ্জন চৌধুরীর
নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা খোঁজার জন্য কোনো কোনো কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে সময় নষ্ট করছেন, তোপ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।

খবর অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। গত সোমবার জোটের সমালোচনায় সরব হন আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এর পরই একের পর এক টুইটে সতীর্থকে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
আনন্দ শর্মার সমালোচনা করার একদিন পরে রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান এবং লোকসভার সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী এই জোটের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “কংগ্রেস এবং বামেরা বিজেপিকে পরাস্ত করতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে”।
কী বলেছিলেন আনন্দ শর্মা?
গত রবিবার কলকাতার ব্রিগেড মঞ্চে আইএসএফের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের উপস্থিতিকে “বেদনাদায়ক এবং লজ্জাজনক” উল্লেখ করে আনন্দ শর্মা টুইটারে লিখেছিলেন, “আইএসএফের মতো শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা নেহরু-গাঁধীর ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবনার সঙ্গে মেলে না। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনও বাছ-বিচার করতে পারে না”।
কী বললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী?
এর পাল্টা দিতে একাধিক টুইট করেন অধীর। তিনি লিখেছেন, “আনন্দ শর্মাজি, আপনি সত্যটা জানুন। সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছে যার মধ্যে কংগ্রেস একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনমূলক রাজনীতি এবং স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কংগ্রেস নিজের চাহিদা মতো আসনগুলির সম্পূর্ণ অংশ পেয়েছে। বামফ্রন্ট তার অংশ থেকে নতুন গঠিত ভারতীয় আইএসএফকে আসন দিচ্ছে। সিপিএম-নেতৃত্বাধীন ফ্রন্টের সিদ্ধান্তকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলার জন্য আপনার এই মন্তব্য শুধুমাত্র বিজেপির মেরুকরণ এজেন্ডারই প্রচার করছে”।
শর্মার উদ্দেশে অধীর বলেছেন, দলকে শক্তিশালী করা দরকার। তাঁদের যে বৃক্ষ লালনপালন করেছে, তাকে ক্ষুণ্ণ করার কোনো মানে হয় না।
অধীর বলেছেন, “এক দল বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে সময় নষ্ট করছেন। তাঁদের কর্তব্য দলকে শক্তিশালী করা এবং যে বৃক্ষ তাঁদের লালনপালন করেছে, তার প্রতি কর্তব্য পালন করা”।
অধীরের পাশে জিতিন প্রসাদ
দলীয় নেতৃত্বের বাগ্যুদ্ধে অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে এআইসিসির পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ। তিনি বলেন, “জোটের সিদ্ধান্ত দল ও কর্মীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই নেওয়া হয়। যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, সেখানে কংগ্রেসের সম্ভাবনা জোরদার করার জন্য সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার এখন সময় এসেছে”।
রাজনৈতিক মহলের যুক্তি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আনন্দের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সম্ভবত সেই প্রসঙ্গ টেনেই তাঁকে খোঁচা দিতে চাইলেন!
আরও পড়তে পারেন: ৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
রাজ্য2 days ago
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ