কলকাতা: হাওড়া ও বালি পুরসভার বিভাজনের ব্যাপারে রাজ্যের তরফে কোনো সদুত্তর মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। শনিবার সকালে হাওড়ার শিবপুরে নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে যান তিনি। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা গেল তাঁকে।
এমনিতেই বিলটি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল রাজ্যপালের। এর আগেই বিল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন ধনখর। যে সবের উত্তর এখনও তিনি পাননি বলে জানিয়ে, বিলটিকে আইনে পরিণত করার বিলম্ব নিয়েও সরব হলেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, বিল নিয়ে স্পিকারের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। এ ভাবে আর বেশি দিন অপেক্ষা না করে বিলটিকে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা রাষ্ট্রপতিই নেবেন।
রাজ্যপাল এ দিন বলেন, “হাওড়া ও বালি পুরসভার বিভাজনের বিষয়টি বিচারাধীন আছে। আমি গত ২৪ নভেম্বর বিধানসভার স্পিকারের কাছে এই বিল সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেওয়া হল না। উল্টে আমার বিরোধিতা করা হচ্ছে। যেটা আমার ভালো লাগছে না। প্রয়োজন হলে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে”।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট একই সঙ্গে হবে। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা আটকে যায়। কলকাতায় পুরভোট আগামী ১৯ ডিসেম্বর। ও দিকে হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাওড়া পুরসভা থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে বালি পুরসভা। অন্য দিকে রাজ্যপাল হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলটিতে স্বাক্ষর না করলে আইনগত ভাবে আটকে থাকবে হাওড়া পুরসভার ভোট।
আরও পড়তে পারেন:
দুবাই থেকে চুরি হয়েছিল দিয়েগো মারাদোনার বহুমূল্যের ঘড়ি, চার মাস পর উদ্ধার অসমে
স্ত্রীর অজান্তে তাঁর কল রেকর্ড করা গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন, তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজারের নীচে, আরও অনেকটাই কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা
ট্রেন চলাচল পুরনো নিয়মে ফিরলেও প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় আর হয়তো ফেরাবেই না ভারতীয় রেল
মৃত ব্যক্তিদের নামেও টিকার শংসাপত্র, সংসদে স্বীকার করে নিল কেন্দ্র
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।