খবর অনলাইন: এ বার বর্ষা শুরু থেকে রাজ্যের দুই প্রান্তে দু’ রকম আচরণ করে চলেছে। এক দিকে পুরো জুন মাস ধরে উত্তরবঙ্গের চার জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার আর কোচবিহার যখন প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছে, চাতক পাখির মতো হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়েছে দক্ষিণবঙ্গকে। আবার অন্য দিকে জুলাইয়ের গোড়া থেকে বর্ষার ভাগ্য দক্ষিণবঙ্গের ওপর কিছুটা সদয় হলেও বৃষ্টি কমে এসেছে উত্তরে। এই মুহূর্তে উত্তরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে আর মালদায় বর্ষা স্বাভাবিক হলেও, প্রবল ঘাটতির সম্মুখীন উত্তর আর দক্ষিণ দিনাজপুর। আবার দক্ষিণবঙ্গে, বর্ষা ঘাটতি রয়ে গেছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা আর পুরুলিয়ায়। কলকাতা আর হাওড়ার অবস্থা সব থেকে খারাপ। এই অবস্থায় একমাত্র প্রবল বৃষ্টিই যাবতীয় ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারে।
তবে দু’টি ভিন্ন কারণে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টি হবে সমগ্র রাজ্য জুড়ে। নিম্নচাপ অক্ষরেখা, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মধ্য-ভারত থেকে সরে যাবে হিমালয়ের পাদদেশে। এর ফলে উত্তরবঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। ভারী বৃষ্টির সাথে অতি ভারী বৃষ্টি তো বটেই এমনকি কোথাও কোথাও চরম অতি ভারী বৃষ্টি, অর্থাৎ এক দিনে ২৫০ মিমির বেশির বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে উত্তরবঙ্গের সমতলে বন্যা আর পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি হবে হিমালয় সন্নিহিত বিহার, অসম আর মেঘালয়ে।
অন্য দিকে উত্তর ওড়িশা আর ঝাড়খণ্ডে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর ফলে কাল, শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের মতে আগামী শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই, শনিবার দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সাথে ঝাড়খণ্ডেও হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দামোদরের অববাহিকা অঞ্চলে। এর ফলে ডিভিসির জলাধারগুলিতে জল বাড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গে সামগ্রিক ভাবে বর্ষা এখন ১৪ শতাংশ ঘাটতিতে রয়েছে। সপ্তাহান্তের বৃষ্টির ফলে এই ঘাটতি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলেই আশা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।