রাজ্যের জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে আর বাধা সহ্য করা হবে না। স্থানীয় জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাজ্য প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ১ মার্চ থেকে অবিলম্বে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ থমকে রয়েছে। আদালতবান্ধব আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীর জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি জমি জবরদখলের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। আইনজীবী জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে দেখা গেছে, জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও ঠিকাদাররা কাজ করতে পারছেন না। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনের ফলে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবুও কাজ শুরু করতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এনএইচএআই-এর তরফেও জানানো হয়েছে, সরকারি জমিতে কাজ করতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাষ পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যেখানে যেখানে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সেখানে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করবে। প্রয়োজনে জেলার রিজার্ভ ফোর্স বা আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, শুধু উত্তর ২৪ পরগনাই নয়, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারেও দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। জেলা শাসকদের এনএইচএআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, জেলা শাসক, এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠক করতে হবে। আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে কি না, তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।