রাজ্যের ১০০-রও বেশি ফেরিঘাটের নজরদারি দায়িত্ব কার এবং সেই ঘাটগুলির নজরদারির জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাইল হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে এই ঘাটগুলির যেমন দৈন্যদশা তেমনই ঘাটগুলিতে ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। যার ফল ভুগতে হয় জলপথ-যাত্রীদের।
সম্প্রতি কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাটে নৌকাডুবিতে বেশ কয়েক জন মারা যান। এরর পর পিইউসিএল একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টে। ওই সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, রাজ্যের এই ফেরিঘাটগুলি ইজারা নিয়ে চলে। রাজ্য সরকার এগুলি চালায় না। যার ফলে ঘাটগুলির যেমন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয় না, তেমনই ঘাটগুলিতে কোনও নিরাপত্তাও নেই। যাঁরা ইজারা নিয়ে এই ঘাটগুলি চালাচ্ছেন, তাঁরা জলযানগুলিতে নিজেদের ইচ্ছেমতো যাত্রী তোলেন। যার ফলে ঘটে নৌকাডুবি এবং কালনা-শান্তিপুরের দুর্ঘটনার মতোই তা সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে।
এই বিষয়ে পিইউসিএল-এর পক্ষ থেকে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করা হলে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।