হুগলি
অনলাইনে চন্দননগরের সেরা ‘জগদ্ধাত্রী সম্মান’, অভিনব উদ্যোগ আইডিইএম-এর
কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে অনলাইনে ‘জগদ্ধাত্রী সম্মান’, একটি অভিনব উদ্যোগ!

চন্দননগর: করোনা আবহেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এ বার আয়োজনের পরিধি অনেকটাই সীমিত। অন্যান্য বারের মতো উচ্ছ্বাস অথবা সেই উন্মাদনা না থাকলেও আয়োজকরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। একই রকম ভাবে অভিনব পদ্ধতিতে অনলাইনে চন্দননগরের সেরা জগদ্ধাত্রী সম্মান, আয়োজন করেছে ইন্দ্রাক্ষি ড্রিম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (IDEM)।
শারীরিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই একেবারেই অন্যরকম একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা আইডিইএম। সংস্থার পক্ষে প্রতিযোগিতা সংগঠক সৈকত দাস বলেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে পুজো উদ্যোক্তারা যে আগ্রহ এবং সচেতনতা নিয়ে পুজোয় আয়োজন করেছেন, তাতে আমাদেরও কোনো না কোনো ভাবে তাঁদের উৎসাহ দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করেছি। এটা পুরোটাই হচ্ছে অনলাইনে”।
অনলাইনে এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আইডিইএম-এর কর্ণধার দোলা রায় বলেন, “চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো এমনিতে বিশ্ববিখ্যাত। কিন্তু এই অতিমারি পরিস্থিতিতেও যে ভাবে সমস্ত নিয়মবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, সেই উৎসাহকে সাধুবাদ জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ”।
পুজো উদ্যোক্তারাও জানান, সমস্ত রকমের সরকারি গাইডলাইন মেনে কোনো রকমে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে এ বছর। ভিডিয়োয় দেখে নিন, সেরা পুজোগুলির কয়েক ঝলক–
হুগলি
তৃণমূলে যোগ দিলেন শিক্ষাবিদ, ক্রীড়া ও অভিনয় জগতের এক ঝাঁক তারকা
তৃণমূলে যোগ দিলেন কাঞ্চন, জুন, মানালি, সায়নী, রাজ, সুদেষ্ণা, মনোজ তিওয়ারি-সহ আরও অনেকে!

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জে রাজনৈতিক জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভাতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন শিক্ষাবিদ, ক্রীড়া ও অভিনয় জগতের এক ঝাঁক তারকা।
এ দিন ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, মানালি দে ও সায়নী ঘোষ। পাশাপাশি যোগদানের তালিকায় ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও সুদেষ্ণা রায়। এ ছাড়া তৃণমূলে যোগ দিলেন শিক্ষাবিদ অনন্যা চট্টোপাধ্য়ায়, ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি, ফুটবলার সৌমিক দে-সহ আরও কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
এ দিনের সভা থেকেই রাজ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, তিনি আসন্ন ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামবেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে জুন বলেন, সায়নী বলেন, “দিদিকে ধন্যবাদ এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আগামী দিনে বাংলার মা-বোনেদের মর্যাদা, সম্মান দেখে রাখব। বাংলার সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আমরা এগিয়ে যাব। শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখব। আমাদের এই বাংলার মাটি ১০ কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন, ভোটের আগে তা কারও পাখির চোখ হয়ে উঠতে পারে না। তাই নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিশ্বাস রেখে কণ্ঠ ছেড়ে বলুন, জয় বাংলা”।
জুন বলেন, “খেলা হবে তো? আমি দিদির সঙ্গ ছিলাম, দিদির সঙ্গেই থাকব। আমি বুঝি মা-মাটি-মানুষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মাটি, বাংলার মানুষ দিদিকেই চায়”।
অন্য দিকে, বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, “কয়েক দিন আগে দিদি বলেন, ‘তোকে এগিয়ে আসতে হবে’। সেটা শোনার পর দিদিকে ‘না’ বলতে পারিনি। কারণ উনি আমাদের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। তাই ওঁর দলের সৈনিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম”।
আরও পড়তে পারেন: ঘরে ঢুকে বাচ্চা মেয়েকে কয়লা চোর বলে দিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
হুগলি
ঘরে ঢুকে বাচ্চা মেয়েকে কয়লা চোর বলে দিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বুধবার হুগলির সভা থেকে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: দিন দু’য়েক আগে হুগলির সাহাগঞ্জের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই জায়গা থেকেই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ খুললেন ভাইপো অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই যে সকলে বলে গেল খেলা হবে। কী মা-বোনেরা, ভাইয়েরা, খেলা হবে? ২০২১ সালে একটাই খেলা হবে। একদিকে তৃণমূল, অন্য দিকে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি। আমি থাকব গোলরক্ষক। একটা গোল-ও করতে পারবে না। সব বারের উপর দিয়ে চলে যাবে”।
তিনি আরও বলেন, “খেলা তো হবেই। তবে বাংলার এই খেলায় যদি বিজেপি হরে যায়, তা হলে বুঝে নিতে হবে সারা ভারত থেকেই ওদের বিদায় নিতে হবে”।
এখানে এসেই প্রধানমন্ত্রী একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করে কেন্দ্রের বহু প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। মমতা এ দিন জবাবে বলেন, “বলছে আমরা সব করে দিয়েছি। আপনারা বলুন, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন কে করেছিল? আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করে দিয়ে গেছি। ডানলপ থেকে অমৃতসর ফ্রেইট করিডর করে দিয়ে গেছি। দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া, তারাতলা-জোকা, গড়িয়া থেকে মেট্রো লাইন আমি করে দিয়ে গেছি।…আর তুমি ফিতে কেটেছো। লজ্জাও করল না। এক বারও মনে পড়ল না, কে করল”?
ডানলপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শ্রমিকদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে পবন রুইয়ার অতিথি হয়েছেন তাঁরা। ডানলপের মালিকের বাড়িতে বিজেপি নেতারা থাকেন। এঁদের মুখে বড় বড় কথা শুনব আমি? কথায় কথায় বলেন, তৃণমূল তোলাবাজ? আর আপনি কি? আপনি দাঙ্গাবাজ? যাঁরা ৫টাকা, ১০ টাকা তোলে, তাঁকে বলে তোলাবাজ। আর আপনারা কোটি কোটি টাকা কাটমানি খান। কারখানা বিক্রি করে দেন। দেশটাকেই বিক্রি করে দেন। গরিব লোকেরা খেলে হয় কাটমানি, আর আপনারা খেলে হয় ক্যাটমানি”?
মঙ্গলবার কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সম্ভবত সেই ঘটনার রেশ টেনেই মমতা বলেন, “আমার উপর বিজেপির খুব রাগ। আমাকে আক্রমণ করতে পারেন। তাই বলে মা-বোনেদের অসম্মান করতে পারেন? বাড়িতে ঢুকে গিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ে, ২২-২৩ বছর বয়সের একটা ঘরের বউকে কয়লা চোর বলছেন? আপনার গায়েই কালি লেগে আছে। আর আপনারা কয়লা চোরের হোটেলে থাকছেন। আপনারা কী ভাবেন, আমি জানি না? সেল, রেল সব বিক্রি হচ্ছে কেন”?
আরও পড়তে পারেন: আব্বাস সিদ্দিকিকে জোটে আনার প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসকে বিশেষ বার্তা দিলেন সনিয়া গান্ধী
হুগলি
কারসাজি করলে এত দিন কেন তাড়াননি, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কঠিন’ প্রশ্ন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্যানডোরা বক্স খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? কোন বিধায়ক, কালীঘাট থেকে কী সুপারিশ, সব কিছুরই তথ্য আছে রাজীবের কাছে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের কর্মিসভায় বন সহায়কপদে নিয়োগ নিয়ে কারও নাম না করে কারসাজির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।
কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে ছিল, এখন বিজেপির কাছে চলে গিয়েছে। বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করেছে, এই অভিযোগ আমার কাছে অনেকেই করেছেন। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে”।
তিনি আরও বলেন, “ওই ছেলেটা, যে পাহাড়ে গিয়ে অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে। তার আগে তাকে প্রশ্ন করুন, বন সহায়কপদে নিয়োগ নিয়ে কী করেছে। চুরি করে বিজেপির পকেটে চলে গেছে”।
কী বললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতার আক্রমণের জবাব দিয়ে রাজীব বলেন, “এখন আমায় বলছেন কারসাজি করেছি। অথচ, ৮ অক্টোবর আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। বন সহায়কপদে নিয়োগ নিরপেক্ষ ছিল। কোন বিধায়ক, কালীঘাট থেকে কী সুপারিশ, সব কিছুরই আমার কাছে তথ্য আছে”।
পাশাপাশি ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে মমতা প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় রাজীব বলেন, “সব কিছু জেনে থাকলে এত দিন কেন আমাকে দল থেকে তাড়াননি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই কারসাজির কথা কি মনে পড়েনি”?
হুগলির গুড়াপ থেকে পালটা জবাব মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজীব বলেন, “সব রেকর্ড করে রেখেছি। প্যানডোরা বক্স খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন এটুকুই থাক। প্রয়োজনে আবার বলব”।
আরও পড়তে পারেন: বন সহায়কপদের নিয়োগে কারসাজি! তৃণমূলত্যাগী নেতার কেলেঙ্কারির হদিশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর3 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা